দেবজিৎ মুখার্জী, উত্তর ২৪ পরগনা: আরামবাগ ও কৃষ্ণনগরের পর এবার বারাসাতেও সন্দেশখালি কান্ড নিয়ে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কাছারি ময়দানের জনসভা থেকে তিনি উপস্থিত সকল বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের জানালেন যে তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাদের অত্যাচার রুখে দিয়েছেন সেখানকার মা-বোনেরা। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরো দাবি করেন যে বাংলার মহিলারা ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূলের দাদাগিরি বন্ধ করতে। পাশাপাশি, তিনি আরও জানান যে বাংলার নারীদের জন্য একমাত্র বিজেপিই আওয়াজ তোলে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “এই বাংলা সারদা মা, রাণী রাসমনির জন্মস্থান আর এখানেই মা-বোনেদের উপর অত্যাচার করে মহা পাপ করেছে তৃণমূল। সন্দেশখালিতে যা হয়েছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। আপনাদের কষ্ট তৃণমূল সরকার বোঝেনা। ওদের কিছু যায় আসেনা এতে। সেখানকার মা-বোনেরা দেখিয়ে দিয়েছে যে কিভাবে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হয়। আমি দেখতে পাচ্ছি যে বাংলার নারী শক্তি ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূলের দাদাগিরি বন্ধ করতে। সন্দেশখালি ভালো করে বুঝিয়ে দিয়েছে যে বাংলার নারীর জন্য একমাত্র বিজেপিই আওয়াজ তোলে।”
এরপরই প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন যে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের সবটা দিয়ে দেয় অপরাধীদের বাঁচাতে। তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস অপরাধীদের বাঁচাবার জন্য নিজেদের সব শক্তি কাজে লাগাচ্ছে। কিন্তু হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট, দুই জায়গাতেই ওরা ধাক্কা খেয়েছে। ওরা শুধুমাত্র তোলাবাজদের জন্য কাজ করে। তাই ওরা কোনদিনই বাংলার নারীদের সুরক্ষা দিতে পারবেনা।”
উল্লেখ্য, এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতা-নেত্রীরা। তবে দেখা যায়নি দিলীপ ঘোষকে। এছাড়া মঞ্চের পিছনে সন্দেশখালির পাঁচ নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী এবং খোঁজ নেন সেখানকার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।