নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। রাজ্য থেকে দেশ, কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
রাজ্যের শ্রমিক-মজদুরের জন্য আলাদা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় ঘোষণা করলো রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে বৈঠক সেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন যে এবার শ্রমিকদের জন্য আলাদা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চালু করা হবে। তিনি বলেন, “আমাদের ২৮ লক্ষ শ্রমিক ভাই ভিনরাজ্যে কাজ করতে যায় এবং ওখানে গিয়ে অসুস্থ হলে পরিবারের লোকের চিন্তা বাড়ে, তাই ওদের আলাদা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়া হবে।” জানা গিয়েছে যে এবার ভিনরাজ্যে শ্রমিকরা অসুস্থ হলে সেখানকার স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা নার্সিংহোমে চিকিৎসা করাতে পারবে।
লোকসভা নির্বাচনে জয়কে পাখির চোখ করে আজ থেকে প্রচারে নামছে তৃণমূল
লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার আগেই জোরদার প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই ৪২টি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেওয়া হয়ে গেছে জনগর্জন সভার দিন। এবার সামনে রয়েছে ‘বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন’, ‘তফসিলির সংলাপ’ও ‘বাংলার অধিকার যাত্রা’র মতো একাধিক কর্মসূচি। সংক্ষেপে, ঘাসফুল শিবিরের এই কর্মসূচিগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা থেকে বঞ্চিত হওয়া শ্রমিক ও আবাস যোজনা প্রকল্পের উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলা থেকে শুরু করে সিএএ আইন কতটা ক্ষতিকারক, তা সকল নাগরিককে বোঝানো হবে।
শীঘ্রই মোদি ঘোষণা করতে পারেন লোকসভা নির্বাচনের তারিখ, এরপরই রাজ্যে প্রবেশ করবে ভোট পর্যবেক্ষকরা
চলতি মাসের ১৯ তারিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দক্ষিণ ভারত সফরের পর বাজিয়ে দেওয়া হতে পারে লোকসভা নির্বাচনের ঘন্টা। তবে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানা গেছে যে দিনক্ষণ ঘোষণা হলেই রাজ্যে আসবেন ভোট পর্যবেক্ষকরা। কলকাতার লোকসভা কেন্দ্রগুলি ঘুরে দেখবেন তারা। এছাড়া এবার বাংলায় অগুন্তি কেন্দ্রীয় আধা সামরিক সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে।
নিজের গড়েই মুখ পুড়লো অধীর চৌধুরীর
লোকসভা নির্বাচনের আগেই নিজের শক্তঘাঁটিতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের থেকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানের মুখোমুখি হলেন বঙ্গ কংগ্রেস প্রধান অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বুধবার বহরমপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। যদিও এই প্রসঙ্গে তাঁর অভিযোগ যে সেখানে পানীয় জল ও রাস্তার সমস্যা থাকলেও তাঁকে সাংসদ তহবিলের টাকা খরচ করতে দেওয়া হচ্ছেনা। পাশাপাশি, তিনি এটাও দাবি করেন যে তাঁর কেন্দ্রে রিগিং হতে পারে এবং তিনি যেভাবে হোক তা রুখবেন। অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ যে পরিদর্শনের নামে তিনি রাজনীতি করতে এসেছিলেন বলেই ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়েছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য ময়নাগুড়িতে বন্ধ থাকবে চারটি স্কুল, বিক্ষোভ বিজেপির অভিযোগ ওড়ালো তৃণমূল
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে ময়নাগুড়িতে বন্ধ বেশ কয়েকটি স্কুল। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ যে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের এনে রাখা হচ্ছে স্কুলে এবং সেই কারণে সেখানকার চারটি স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এমনকি সেই স্কুলগুলির সামনে আজ বিক্ষোভও দেখায় তারা। কিন্তু সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মনোজ রায় এবং দাবি করেছেন যে নির্বাচনের সময় অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী আনা হলে স্কুলগুলির আরো বেশি সমস্যা হবে।
তৃণমূলের সিএএ নিয়ে করা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ময়দানে নামছে বঙ্গ বিজেপি
একদিকে যখন সিএএ ঘোষণা হতেই এর বিরোধিতা করতে প্রচারে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, ঠিক তখন অন্যদিকে এর প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে ময়দানে নামলো বঙ্গ বিজেপি। কেউ যাতে এই আইনকে ভুল না বোঝে, সেই কারণে ঝাড়গ্রামের গড়বেতা ও শালবনি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে প্রচার করবে গেরুয়া শিবির। জানা গিয়েছে যে লিফলেট বিলির পাশাপাশি ‘ডোর টু ডোর’ প্রচারও চালানো হবে। লোকের প্রশ্নের মুখে পড়লে যাতে ঠিকঠাক জবাব দেওয়া যায় সেই কারণে ইতিমধ্যেই এই বিষয়কে নিয়ে জ্ঞান সঞ্চয় করতে শুরু করে দিয়েছেন কার্যকর্তারা।
‘কংগ্রেস তোষণের রাজনীতিতে বিশ্বাসী’ সিএএ নিয়ে হাত শিবিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের
সিএএ প্রসঙ্গে এবার জাতীয় কংগ্রেসকে একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেশের মানুষকে ভুল বোঝানোর অভিযোগ তুলে তিনি দাবি করলেন যে কংগ্রেস তোষণের রাজনীতি করে বলেই সিএএর বিরোধিতা করছে। তিনি নিজের ভাষণে বলেন, “কংগ্রেস নাকি বলছে এর জেরে দেশের সংখ্যালঘুরা নিজেদের নাগরিকত্ব হারাবে। এটা সম্পূর্ণ ভুল কথা। কংগ্রেস তোষণের রাজনীতিতে বিশ্বাসী এবং এই কারণেই ওরা এর বিরোধিতা করছে। আমি সকল সংখ্যালঘুদের বলতে চাই এই আইন নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার নয়, বরং নাগরিকত্ব দেওয়ার। আমি আপনাদের সকলকে আশ্বাস দিচ্ছি যে এমন কোন বিধান এই আইনে একেবারেই নেই।”
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।