নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। রাজ্য থেকে দেশ, কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
সমস্ত জল্পনায় ইতি টানলেন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মৌসুম বেনজির নূর
লোকসভা নির্বাচনের ঘন্টা বাজতেই জোরদার প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। সকলেরই একটাই লক্ষ্য এবং সেটা হল ক্ষমতা ধরে রাখা। তবে তার আগে মালদা জেলা থেকে উঠে এলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কি এমন ঘটনা ঘটলো? জেলায় ফিরেই সমস্ত জল্পনাতে ইতি টানলেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মৌসুম বেনজির নূর এবং স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন যে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক হয়েই থাকবেন।
জানা গিয়েছে যে মঙ্গলবার, অর্থাৎ ১৯শে মার্চ, মৌসুম বেনজির নূর কলকাতা থেকে মালদায় ফেরেন। এরপরই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন মালদহ উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। সাক্ষাতের পর রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, “দেখুন অন্যকিছু আমি ভাবতেই পারিনা কারণ আমি তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক। হ্যাঁ ব্যক্তিগত কাজে আমি দুদিন দিল্লিতে গেছিলাম এবং কলকাতায় সময় কাটিয়েছিলাম শারীরিক অসুস্থতার জন্য।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের দলের যিনি মালদাহ উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন, তিনি কোতোয়ালিতে এসেছিলেন এবং ওনার সঙ্গে দলীয় কর্মসূচি নিয়ে অনেক কথাও হয়েছে। ওনাকে সঙ্গে নিয়েই প্রচারে বেরোবো।”
বড় ভাঙ্গন মালদহ জেলার বিজেপিতে! তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুললেন দীপালি বিশ্বাস ও শিশির চক্রবর্তী
লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই, ক্ষমতা ধরে রাখাকে পাখির চোখ করে, ঘুঁটি সাজাতে নেমে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। বলা যায় গোটা দেশজুড়ে এই মুহূর্তে চলছে বুদ্ধিযুদ্ধের খেলা। সকলেই ময়দানে নেমে পড়েছে একে অপরকে টেক্কা দিয়ে মাত করতে।
কিন্তু এর মাঝে একটি বড় ধাক্কা খেলো বঙ্গ বিজেপি। কি ধাক্কা খেলো তারা? পদ্ম শিবির ছেড়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন উত্তর মালদহ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি তথা গাজলের প্রাক্তন বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস। এছাড়াও ফিরে আসেন গাজল ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক শিশির চক্রবর্তী।
গাজলের কোদুবাড়ি মোড়ে একটি প্রচার মঞ্চ থেকে জেলার তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন। উপস্থিত ছিলেন মালদহ উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস সাবনেত্রী সাগরিকা সরকার, ব্লক তৃণমূল সভাপতি দীনেশ টুডু সহ অন্যান্যরা।
ঘর ওয়াপসির পর দীপালি দেবী জানান, “শুভেন্দু অধিকারী অজস্র মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবং ভুল বুঝিয়ে আমায় বিজেপিতে যোগদান করিয়েছিল। কিন্তু দিনের শেষে উনি একটাও কথা রাখেননি। তবে আমি সকলকে অনুরোধ করবো কেউ যেন বিজেপির মিথ্যা প্ররোচনায় ও প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পা না ফেলেন।”
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে জেলার তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, “আসল সত্যি এটাই যে এদের সকলকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করানো হয়েছিল। কিন্তু ২০২৪ সালে এসে এরা সকলেই বুঝতে পেরেছে যে সবকিছুই মিথ্যা এবং সেই কারণেই এরা সকলে আবার তৃণমূলে ফেরত এসেছে বিজেপিতে ভাঙন শুরু হয়েছে এবং আপনাদের বলে রাখি যে আগামীদিনে এটা আরো হবে।”
তবে এই ঘটনায় যে বিন্দুমাত্র কোন ক্ষতি হয়নি বিজেপির তা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন গাজলের বিজেপি বিধায়ক চিন্ময় দেববর্মন। তিনি বলেন, “দেখুন কিছু মানুষ স্বার্থসিদ্ধির জন্য দলে এসেছিল ঠিকই কিন্তু যেই দেখলো তা হয়নি, তখনই দল ছাড়ল। তবে আমি বলে রাখি যে এতে দলের কোন ক্ষতি হবেনা।”
নির্বাচনী আবহাওয়ায় এজেন্সি বনাম শাসক, আবারো রণক্ষেত্রের চেহারা নিলো সন্দেশখালি
কয়লা পাচার মামলায় বড় স্বস্তি পেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন তাঁকে তলব করতে পারবেনা ইডি। এমনটা স্পষ্ট জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ১০ই জুলাই হবে মামলার পরবর্তী শুনানি।
আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে বুধবার সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ নিউ আলিপুরে অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাসের বাড়িতে হানা আয়কর বিভাগের আধিকারিকদের। কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ি ঘিরে রাখলেও তার সামনে এসে উপস্থিত হন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকেরা।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে আবার অশান্তির চিত্র উঠে এলো সন্দেশখালি থেকে। সুখদুয়ানি বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি কালভার্ট তৈরি করার জন্য মজুত ইট তৃণমূল কর্মীরা সরকারি কাজের জন্য তুলে নিয়ে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ায় তৃণমূল কর্মীরা। যদিও পরিস্থিতি তক্ষুনি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ।
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।