নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। রাজ্য থেকে দেশ, কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
“নিশানা করা হচ্ছে” অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারিতে বিস্ফোরক তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়
এবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়ালেন বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো, তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপ প্রধানের গ্রেফতারি নিন্দা করে নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে টুইট করেন তিনি এবং দাবি করেন যে বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের লোকসভা নির্বাচনের আগে নিশানা করা হচ্ছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, “ভোটের আগে বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের নিশানা করছে কেন্দ্র সরকার এবং তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে এবং বিজেপিতে চলে গেছে তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা ইডি বা সিবিআই। এটা গণতন্ত্রের উপর একটা বড় আঘাত। এই গ্রেপ্তারির আমি চরম প্রতিবাদ জানাই।”
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরো লেখেন, “দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ওদের পাশে আমি আছি। গোটা ইন্ডিয়া জোট এক হয়ে এই গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ করবে। শুক্রবার এর বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনে যাবে ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধি দল। তাতে থাকবে তৃণমূলের দুই রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং নাদিমুল হক।”
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর রণক্ষেত্রের চেহারা নিল রাজধানী
সামনেই লোকসভা নির্বাচন আর তার আগে বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ২১শে মার্চ, আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হলো আপ সুপ্রিমো, তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায় গোটা রাজনৈতিক মহলে। পাশাপাশি, চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় গোটা রাজধানী জুড়ে। যদিও বৃহস্পতিবার রাতেই সুপ্রিম কোর্টে গেছিল আপ, কিন্তু জরুরি শুনানির আরজি খারিজ করে দেওয়া হয়।
কিন্তু শুক্রবার, অর্থাৎ ২২শে মার্চ, একেবারে যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নিল দিল্লি। আপ দলের নেতা থেকে শুরু করে কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে পারে, এমন আঁচ অনেক আগে থেকেই পেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। তাই নিরাপত্তা মোতায়ন করতে বিন্দুমাত্র দেরি করেনি তারা। বেশ কয়েকটি স্পর্শকাতর এলাকায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। এছাড়াও আইটিও মেট্রো স্টেশন বিকেল ছটা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।
তবে এখানেই শেষ নয়। আপ ও বিজেপির সদর দপ্তরে যাওয়ার সব রাস্তায় জলকামান নিয়ে তৈরি ছিলো সিআরপিএফ। কিন্তু এদিন আটক করা হয় দলের দুই মন্ত্রী অতিশী ও সৌরভ ভরদ্বাজকে।
আবারো টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ সন্দেশখালিতে! বিজেপি নেতাদের সঙ্গে স্থানীয়দের মিছিল
ফের বিক্ষোভের আগুনে জ্বললো সন্দেশখালি। আবারো স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভে উত্তাল এলাকা। শুক্রবার, অর্থাৎ ২২শে মার্চ, জেলিয়াখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের লাল কাছারি এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় তারা। শাসকদলের স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে বলপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ তুলে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করে স্থানীয়রা। যদিও পুলিশ এসে কথা বলে তাদের সঙ্গে। স্থানীয়দের অস্থায়ী ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার কথা জানানো হয় এবং সেই অনুযায়ী তদন্তেরও আশ্বাস দেওয়া হয়।
এছাড়াও এদিন উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে যান বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ ও রাজ্য মহিলা মোর্চার নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। সেখানে স্থানীয়দের নিয়ে একটি মিছিলও করেন তাঁরা। পাশাপাশি, সন্দেশখালি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া ৯জনকে আজ বসিরহাট মহকুমা আদালতের তোলা হয়। আজকেই তাদের সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে বলে খবর।
উল্লেখ্য, সন্দেশখালি কান্ড নিয়ে এখনো উত্তেজনা তুঙ্গে গোটা বাংলায়। যদিও সেখানকার বেতাজ বাদশাহ শেখ শাহজাহানকে নিজেদের খাঁচায় বন্ধি করতে সফল হয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি, গ্রেফতার করা হয়েছে আরো অনেককেও। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলি এখনো তৃণমূল কংগ্রেসের উপর নিজেদের আক্রমন বজায় রেখেছে।
“কাজ চালিয়ে যাবো” গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথম বার্তা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের
বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ২১শে মার্চ, আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, তথা আম আদমি পার্টি প্রধান, অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরপরই গোটা দেশজুড়ে সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি। কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করতে শোনা যায় বিরোধী দলগুলির মুখ্যমন্ত্রীদেরও। শুক্রবার গোটা দিল্লি পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ায় দলের নেতা সহ কর্মী-সমর্থকরা। এমনকি আটক করা হয় দলের দুই মন্ত্রীকেও। সবমিলিয়ে, লোকসভা নির্বাচনের আগে আপ বনাম বিজেপি লড়াই কাঁপিয়ে দিয়েছে গোটা রাজধানী।
তবে এমন আবহাওয়া এবার গ্রেফতারির পর প্রথমবার মুখ খুললেন আপ সুপ্রিমো। আদালতে তোলার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি এবং স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে কারাগারে থেকেও নিজের দায়িত্ব পালন করে যাবেন। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, “আমি নিজের জীবনটাই দেশের নামে করে দিয়েছি। জেলে থাকলেও মানুষকে সেবা করার কাজ চালিয়ে যাবো।”
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।