নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। রাজ্য থেকে দেশ, কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলো শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস
শুধু আজকের দিনটা শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আর তারপরেই শুরু হবে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই, গোটা দেশে একটা উত্তেজনামূলক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু এমন অবস্থাতেও ফের নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলো বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ঠিক কি কারনে তাদের কাছে গেলো ঘাসফুল শিবির? রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আবহাওয়ায় বেআইনি হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হলো তৃণমূল।
সম্প্রতি, সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকারে বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এমন নৃশংসতার যে বরদাস্ত করা হবেনা, সেদিন তা তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন। রাজ্যপাল আরও জানান যে দরকার পড়লে তিনি নির্বাচনের দিন পথে নামবেন এবং দেখবেন যাতে মানুষের নিরাপত্তায় কোন খামতি না থাকে এবং কোন অপ্রীতিকর ঘটনাও যেন না ঘটে। (লোকসভা নির্বাচনের আগেরদিন)পরে, তিনি ঠিক করেন যে প্রথম দফার ভোটের দিন তিনি আলিপুরদুয়ারে যাবেন। রাজ্যপালের ঠিক এই দাবিতেই আপত্তি জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। ঘাসফুল শিবিরের বক্তব্য যে রাজ্যপালের এমন হস্তক্ষেপ সম্পূর্ণ বেআইনি। এমন অভিযোগ তুলে তারা দ্বারস্থ হন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের।
জানা গিয়েছে যে বুধবার, অর্থাৎ রামনবমীর দিন, রাজভবনে একটি মেল আসে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে যেখানে রাজ্যপালকে অনুরোধ করা হয় যে তিনি যেন কোচবিহারে না যান। তবে ঠিক কি কারনে এই মেইল করা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়, কিন্তু মনে করা হচ্ছে যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় মাথায় রেখেই তা পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সুত্র মারফত জানা যায় যে কোচবিহারে পরিবর্তে তিনি ১৮ ও ১৯ তারিখ আলিপুরদুয়ার যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন।
ঠিক এখানেই আপত্তি জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠিও দেয় ঘাসফুল শিবির। তাতে লেখা রয়েছে, “কোনও রাজনৈতিক নেতা বা প্রভাবশালী ব্যক্তি যার রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে, তাঁদের নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে নির্দিষ্ট সংসদীয় এলাকা ছাড়তে হয়। এটা ‘সাইলেন্ট পিরিয়ড’ যেখানে কোনরকমের রাজনৈতিক প্রচার বা বৈঠক করা যায়না। রাজ্যপাল বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন উত্তরে গেলে। উনি যেটা করছেন সেটা সম্পূর্ণ বেআইনি। উনি নির্বাচনী কাজে হস্তক্ষেপ করতে চাইছেন, যা করা যায়না।(লোকসভা নির্বাচনের আগেরদিন) এটা আমাদের তরফ থেকে আর্জি যে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে আপনারা যেন কঠোর পদক্ষেপ নেন।”
গান্ধীনগর থেকে তৃণমূল ও কংগ্রেসকে একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
লোকসভা নির্বাচনের আগেরদিন
রাত পোহালেই লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা। ইতিমধ্যেই, এই নির্বাচন নিয়ে গোটা ভারতবর্ষের উন্মাদনা তুঙ্গে পৌঁছে গেছে। প্রায় সকলেই ভবিষ্যদ্বাণী করে ফেলেছে এই নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে একপক্ষ দাবি করছে যে এবারও দিল্লির মসনদে বসবে গেরুয়া শিবির। অনেকেই আবার এটাও দাবি করছেন যে এবার রেকর্ড আসনে জয়ী হবে বিজেপি। অন্যদিকে, আরেকাংশের বক্তব্য যে এবার ঘুরে দাঁড়াবে কংগ্রেস। অনেকে এটাও মনে করছেন যে এবার দিল্লীবাড়ির লড়াইয়ে জিতবে হাত শিবিরই।
কিন্তু এমন আবহাওয়ায়ও কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে পিছু হাটলেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।(লোকসভা নির্বাচনের আগেরদিন) ‘ইন্ডিয়া টুডে টিভি’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বড় মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে নিয়ে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন যে রাহুল গান্ধীর প্রথমে আমেঠি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত। অর্থাৎ তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে সেই আসনের লড়াই করতে নামলে রাহুল গান্ধীর হারার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও তিনি পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের শাসন নিয়েও মুখ খোলেন।
বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ১৮ই এপ্রিল, গুজরাটের গান্ধীনগরে দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচারে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সময়ে তাঁকে ‘ইন্ডিয়া টুডে টিভি’ প্রশ্ন করে রাহুল গান্ধীর বিজেপির ১৫০ আসন পার না করা মন্তব্য নিয়ে। (লোকসভা নির্বাচনের আগেরদিন) সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “দেখুন আমার মনে হয় এসব কথা বলার আগে রাহুল গান্ধীর এই লোকসভা নির্বাচনে আমেঠি থেকে দাঁড়ানো উচিত।” এছাড়াও হাত শিবিরকে নিয়ে তিনি আরো বলেন, “এর আগে একই ইভিএমে কংগ্রেস জিতেছে তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে। যখনই ওরা ভোটে হারে তখনই ইভিএমকে দোষারোপ করে।”
এরপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয় তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে।(লোকসভা নির্বাচনের আগেরদিন) সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি তুলে ধরেন সন্দেশখালি কাণ্ডের কথা। অমিত শাহ বলেন, “দেখুন এটা আমি আগেও বলেছি এবং আজকেও বলছি যে শুধু মহিলারা নয়, পশ্চিমবঙ্গের সকল নাগরিকই সুরক্ষিত নয় তৃণমূল কংগ্রেসের অধীনে।” এছাড়াও ছত্তিশগড়ে নকশাল হত্যা নিয়েও নিজের অবস্থান জানান তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ওগুলো সব ভুয়ো এনকাউন্টার। এবার যদি আপনারা ফের মোদি সরকারকে ক্ষমতায় আনেন, তাহলে নকশাল নামের এই জিনিসটাকেই আমরা পুরোপুরি উপরে ফেলবো আগামী দুই বছরের মধ্যে। এটা আমাদের প্রতিশ্রুতি।”
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।