নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। আজকের থিম মোহনবাগান স্পেশাল। কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
জয়ের পর বিস্ফোরক অভিযোগ বাগান অধিনায়ক শুভাশিসের
এই মুহূর্তে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের। পরাজয়ের দোরগোড়া থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে তারা। বলা যায় রীতিমতো দাপটের সঙ্গে ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তুলেছে তারা। ২-০ গোলে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বে তারা হারিয়েছে ওড়িশা এফসিকে। সৌজন্যে জেসন কামিংস ও সাহাল আব্দুল সামাদের দুর্দান্ত গোল। এছাড়া দলের রক্ষনভাগও উপহার দিয়েছে দুর্দান্ত ফুটবল।
এই পারফরম্যান্স নিয়ে অত্যন্ত খুশি দলের অধিনায়ক শুভাশিস বসু। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি খুশি প্রকাশ করেন। তবে এর সঙ্গে তিনি করেন একটি বিস্ফোরক অভিযোগ বিরোধীদলের বিরুদ্ধে। বাগান অধিনায়ক বলেন যে ম্যাচ শেষে তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে ওড়িশার ফুটবলাররা। এখানেই শেষ নয় তিনি আরো দাবি করেন যে তাঁর দিকে লক্ষ্য করে জলের বোতল পর্যন্ত ছোঁড়া হয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে বাগান অধিনায়ক বলেন, “ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ওদের ডাগআউটের দিকে যাই ওদের ফুটবলারদের সঙ্গে হাত মেলাতে। কিন্তু যেটা পেয়েছি, সেটা আমি একেবারেই আশা করিনি। খুব খারাপ ব্যবহার করেছে ওরা আমার সঙ্গে। ওরা আমার দিকে জলের বোতল ছোড়ে। এমনকি আমায় ধাক্কা পর্যন্ত মারা হয়। মনে হচ্ছে ম্যাচ জিততে না পেরে ওরা হতাশ হয়ে গেছে এবং সেই কারণেই এমন কীর্তি করেছে।” যদিও ওড়িশা এফসি এখনো পর্যন্ত এই অভিযোগ প্রসঙ্গে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেনি।
এরপর দলের জয় নিয়ে নিজের মতামত পেশ করেন শুভাশিস। তিনি বলেন, “দেখুন ত্রিমুকুট জয় আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়না। আমার এটা ভেবেই আরো ভালো লাগছে যে গোটা বছর ধরে আমরা যে পরিশ্রমটা করেছি তার ফল আমরা আজ পাচ্ছি। এবার ফাইনালটা জিতলে, সেটা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এই ম্যাচে দারুন প্রত্যাবর্তন হয়েছে আমাদের। কঠিন সময়ে আমাদের ফুটবলাররা যে পারফরম্যান্সটা দিয়েছে, তার জন্য আমি ওদের সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ওরিশাতে দাঁড়িয়েই আমি বলেছিলাম যে দল ঘুরে দাঁড়াবে এবং আজ ওরা সেটা সত্যি প্রমাণ করে দেখিয়েছে। অধিনায়ক হিসেবে এই দলের জন্য আমি গর্বিত।”
উল্লেখ্য, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বে মোহনবাগানের হয়ে দুটি গোল করেন জেসন কামিংস ও সাহাল আব্দুল সামাদ। এবার দেখার বিষয় ফাইনালে কেমন পারফর্ম করে দেখায় সবুজ-মেরুন বাহিনী। তারা কি পারবে খেতাব জিততে? তা বলবে সময়।
“এবার আমাদের মনোযোগ পরবর্তী ম্যাচের উপর” ম্যাচ শেষে জানালেন হাবাস
আর মাত্র একটা ম্যাচ আর সেটা জিততে পারলে আইএসএল খেতাব ফের যাবে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের ঝুলিতে। রবিবার তারা ২-০ গোলে পরাজিত করে ছন্দে থাকা শক্তিশালী দল ওড়িশা এফসিকে। দুই লেগ মিলিয়ে তারা ৩-২ গোলে হারায় রয় কৃষ্ণনাদের। সবমিলিয়ে, দাপটের সঙ্গে ওড়িশাকে নিজেদের ঘরের মাঠে বধ করে আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের ছেলেরা।
এই বড় জয় যতটা খুশি দিয়েছে বাগান সমর্থকদের ঠিক ততটাই খুশি দিয়েছে দলের কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর আইএসএলের ওয়েবসাইটে একটি সাক্ষাৎকার দেন তিনি এবং দাবি করেন যে দলের ফুটবলাররা যেভাবে পরিশ্রম করেছে, সেটা প্রশংসার যোগ্য। এখানেই শেষ নয়, বাগান কোচ আরো দাবি করেন যে ফাইনাল জেতার লক্ষ্যে মাঠে নামবে সবুজ-মেরুন বাহিনী।
হাবাস বলেন, “এবার আমাদের মনোযোগ পরবর্তী ম্যাচের উপর। এই গরমে আমাদের দলের ফুটবলাররা যেভাবে পরিশ্রম করেছে, তার প্রশংসা না করে থাকতে পারলামনা। আমি সকলকেই এই জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই। ওরা যে কতটা পেশাদার, তার প্রমাণ ম্যাচে দিয়েছে এবং এর জন্য আমি খুবই খুশি। তবে ফাইনালে যেই দলের সঙ্গেই আমাদের মুখোমুখি হোক না কেন, আমরা যে তার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবো।”
তিনি আরো বলেন, “সেমিফাইনালে আমি দলের মধ্যে একটা বিশেষ জিনিস লক্ষ্য করেছি যে ওদের শক্তির কোন ঘাটতি হয়নি। আমাদের ছেলেরা পুরো ম্যাচটাই সমান শক্তি ও উৎসাহ নিয়ে খেলেছে এবং সেই কারণেই ওরা জিততে পেরেছে। এছাড়া যারা পরিবর্ত হিসেবে নামে, তাদের মধ্যেও একই জিনিস আমি লক্ষ্য করি। ওরাও সমান গতিতে খেলে গেছে এবং এই কারণে আমি মনে করি যে এই জয়ের পিছনে দলের সকল ফুটবলারের ভূমিকা রয়েছে।”
এছাড়া ম্যাচ শুরুর আগে দলের ফুটবলারদের সঙ্গে কি কথা হয়েছিল, তা নিয়েও মুখ খুললেন হাবাস। তিনি বলেন, “ম্যাচ শুরুর আগে যখন আমি ওদের সঙ্গে কথা বলি তখন আমি একটা জিনিসই ওদেরকে বোঝাই এবং সেটা হল ইচ্ছেশক্তি। একটা ফুটবলারের জন্য এই জিনিসটা অত্যন্ত জরুরি আর আমাদের ছেলেরা পুরো ৯০ মিনিট যেই দাপটের সঙ্গে খেলেছে, সেটা সম্ভব হয়েছে ইচ্ছেশক্তির জন্যই। আমার দলের সকল খেলোয়ারদের উপর বিশ্বাস রয়েছে যে ওরা পারবে।”
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।