নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। আজকের থিম রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
চলতি আইপিএলের শুরুতে একেবারেই ভালো ফর্মে ছিলোনা রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। একটি ম্যাচে জয়ের পর, গোটা দলকে শিকার হতে হয়েছিল লাগাতার পরাজয়ের। সমর্থকরা প্রায় ধরেই নিয়েছিল যে প্লে অফ খেলার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই তাদের কাছে। কিন্তু হঠাৎ ঘুরে দাঁড়ায় তারা এবং লাগাতার পাঁচটি ম্যাচ নিজেদের নামে করে নেয় ফাফ ডু’প্লেসিরা। সবমিলিয়ে, এই মুহূর্তে প্লে অফের দৌড়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে সফল হয়েছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ৯ই মে, আরসিবি ৬০ রানে পরাজিত করে পাঞ্জাব কিংসকে। এই জয়ের সঙ্গে যেমন একদিকে নিজেদের টুর্নামেন্টে ধরে রাখল বিরাট কোহলিরা, ঠিক তখন অন্যদিকে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল স্যাম কারানরা। এদিন প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান করে বেঙ্গালুরু। বিরাট কোহলি করেন ৯২ ও রজত পতিদার করেন ৫৫। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ১৭ ওভারে ১৮১ রান করে অলআউট হয়ে যায় পাঞ্জাব। রাইলি রুশো করেন ৬১। ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয় কি কোহলিকে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিরাট কোহলি বলেন, “দেখুন আমার কাছে রান বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল মান। আমার কাছে ওটাই বেশি প্রাধান্য পায়। আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে আপনি যদি একবার খেলাটা ও তার পরিস্থিতিটা ভালো করে বুঝে যান, তাহলে আপনাকে বেশি অনুশীলন করতে হয়না। অতীতে আপনি যা করেছেন, ঠিক একই কাজ করলেই চলে যায়। তাও আমি ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটা বিভাগে নিজের খেলাকে আরো উন্নত করার চেষ্টা করি। এগুলো এক ধরনের উঠে আসার মতো ব্যাপার।”
তিনি আরো বলেন, “আমি স্পিনারদের বিরুদ্ধে স্লগসুইপ খেললাম। যদিও আমি ওটা প্র্যাকটিস করিনি কিন্তু এর আগে ওই শট আমি খেলেছি। স্পিনারদের বিরুদ্ধে আমি মাঠের ওদিকটাই টার্গেট করার চেষ্টা করি। আমি জানি আমাকে ঝুঁকি নিতে হবে এবং এটার জন্য পরিস্থিতিটা ভালো করে বুঝতে হয় যদিও। আমি যদিও এগিয়ে থাকার চেষ্টা করি। আমি নিজের ও দলের স্ট্রাইক রেট মাথায় রাখার চেষ্টা করি। যেকোনো বড় টুর্নামেন্টে টিকে থাকার একটাই রাস্তা আর সেটা হল নিজের খেলার প্রতি সৎ থাকা।”
এরপরই বিরাট কোহলি জানান যে পরপর হারের পর দলের সকলের মধ্যে কি কথা হয়েছে। তিনি বলেন, “এই টুর্নামেন্টের আমরা পরপর ম্যাচ হেরেছি এবং এরপরই দলের সকলের মধ্যে আলোচনা হয় যে ঠিক কোথায় ভুল হচ্ছে বা কোন জায়গায় আমাদের সকলকে শুধরে নিতে হবে। যেমন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচটা। আমরা ম্যাচটা খেলতে চেয়েছিলাম নিজেদের সম্মানের জন্য। আমরা নিজেদের মতো করে খেলে সমর্থকদের তো হতাশ করতে পারিনা। তবে এই যে লাগাতার জয় আমরা পেয়ে চলেছি, সেটা আমাদের সকলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে এবং আমরা আশাবাদী যে প্লে অফে আমরা নিজেদের জায়গা পাকা করতে পারবো। সত্যি বলতে গেলে আমরা যদি প্রথম থেকে ভালো খেলতাম, তাহলে আজকে আমাদের অন্যকিছুর উপর নির্ভর করে থাকতে হতোনা।”
অন্যদিকে, দলের পারফরমেন্স প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন অধিনায়ক ফাফ ডু’প্লেসিও। ম্যাচ শেষে তিনি জানান, “দারুন একটা ম্যাচ খেলেছি আমরা সকলে এবং জিততে পেরে খুব ভালোই লাগছে। গত ৫-৬টা ম্যাচে আমরা ২০০ রানের বেশি করতে পেরেছি। আমাদের সকলের মধ্যে আলোচনা হয়েছে এবং আমরা ঠিক করেছি যে একই ভুল আমরা প্রতিটা ম্যাচে করতে পারিনা। এছাড়া আগ্রাসি ব্যাটিংয়েরও প্রচুর দরকার ছিল। একটু আগেই আমাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল কিভাবে দ্রুত উইকেট তোলা যায়। আমাদের বোলিং বিভাগে ৬-৭টা অপশন রয়েছে। দলের মধ্যে একটু ফর্মও থাকা দরকার। সাথে ভাগ্যকেও সহায় হতে হবে। তবে আমাদের দলে কিছু খেলোয়াড় আছে যারা টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই উইকেট ও রানের জন্য ক্ষুধার্ত।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের ছেলেরা দেখিয়ে দিয়েছে যে ওরা কি এবং সেই কারণেই আজ আমরা টুর্নামেন্টে ঘুরে দাঁড়াতে সফল হয়েছি। সকলেরই অবদান রয়েছে এই জয়গুলিতে। ব্যাট হাতে যেমনি একদিকে দলের সকল ব্যাটার রান পেয়েছে, তেমনি বল হাতেও দলের সকল বোলাররা উইকেট তুলেছে। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নিজেদের উপর মনোযোগ দেওয়া। আমরা যেভাবে খেলে চলেছি ঠিক সেভাবেই খেলে চলবো। তবে যদি মনে হয় কোথাও উন্নতি করার দরকার সেখানে নিশ্চয়ই উন্নতি করবো। তবে দিনের শেষে আমরা যদি এটা করে দেখাতে সফল হই, তাহলে এটা প্রমাণিত হয়ে যাবে যে আমরা একটা দারুন দল।”
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।