নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। আজকের থিম কলকাতা নাইট রাইডার্স। কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
চলতি আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ব্যাটিং হোক কি বোলিং হোক কি ফিল্ডিং, সব বিভাগই কাজ করছে দারুন ছন্দে। প্রায় অধিকাংশ ম্যাচেই ব্যাটারদের ব্যাট থেকে উঠে এসেছে মারকুটে ইনিংস। অন্যদিকে, বোলাররাও রান আটকাতে সফল হয়েছে। সবমিলিয়ে, এই মুহূর্তে টুর্নামেন্টে নিজেদের দাপট বজায় রেখেছে শ্রেয়স আইয়ার সহ গোটা নাইট বাহিনী।
একইভাবে শনিবার, অর্থাৎ ১১ই মে, কলকাতা নাইট রাইডার্স চলতি আইপিএলে নিজেদের দাপট দেখিয়েছে টিম ইন্ডিয়ার তারকা অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে। একেবারে কঠিন লড়াই দিয়ে তারা গুঁড়িয়ে দিয়েছে মুম্বাইকে। প্রথমে ব্যাট করে কলকাতার দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা, মুম্বাই তুলতে অসফল হয়েছে ইডেন গার্ডেনসে। বৃষ্টি বিঘ্নিত ছিল এই ম্যাচ। ২০ ওভারের পরিবর্তে ১৬ ওভার করে খেলা হয়েছে। মুম্বাই শেষ করেছে ১৩৮ রানে। ১৯ রানে ম্যাচ নিজেদের নামে করে নেয় কেকেআর। ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয় দলের তরুণ স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীকে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বরুণ চক্রবর্তী বলেন কিভাবে তিনি মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে আউট করেন। এরপর তিনি জানান যে কিভাবে তিনি সুনীল নারিনের চেয়ে আলাদা। রোহিত শর্মাকে আউট প্রসঙ্গে বরুন বলেন, “প্রথমদিকে যেভাবে রোহিত শর্মা খেলছিল, আমরা ভাবছিলাম কিভাবে ওকে আউট করা যায়। আমাদের পরিকল্পনাটা এটাই ছিল যে ওনাকে এক্রস দা লাইন শট খেলানোর। তবে এদিনের ম্যাচে আমি পিচ থেকেও যথেষ্ট সাহায্য পেয়েছি। আমি পুরোপুরি ওটাকে নিজের কাজে লাগিয়েছি।” এরপরই নাইট স্পিনারকে প্রশ্ন করা হয় যে কিভাবে তিনি সুনীল নারিনের চেয়ে আলাদা। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “হ্যাঁ আমাদের দুজনের মধ্যে একটা জিনিস একই আছে তবে টেকনিক্যালি আমরা একে অপরের চেয়ে একটু আলাদা। উইকেটগুলো প্রথমদিকে খুবই ফ্ল্যাট ছিল। প্রথম ম্যাচ থেকে এখনো পর্যন্ত একইভাবে বল করে চলেছি এবং সেই কারণেই আমি আজ ফল পাচ্ছি।”
অন্যদিকে দলের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারও এদিন জয়ের পর মুখ খোলেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নাইট অধিনায়ককে প্রথমে প্রশ্ন করা হয় প্রথম দল হিসেবে প্লে অফে টিকিট পাকা করার প্রসঙ্গে। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় যে এটা আমি খেলা শুরু হওয়ার অনেক আগেই বলে দিয়েছিলাম। সত্যি বলতে গেলে চাপ অনেক ছিল, কিন্তু আমাদের দলের ছেলেরা তার মধ্যেই নিজেদের সেরাটা দিয়ে ম্যাচ জিতিয়েছে। আমি মনে করি যে যেই দল ভালো খেলবে, সেই জিতবে। প্রথম ছয় ওভার ওরা দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। কিন্তু ওখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো এবং জেতার ব্যাপারটাই সম্পূর্ণ আলাদা।”
এরপরই দলের বোলারদের প্রসঙ্গে মুখ খোলেন শ্রেয়স আইয়ার। তিনি বলেন, “আমি অংক বা রেকর্ড, ওসব নিয়ে কিছু ভাবছিলামনা। তার উপর আবহাওয়াও খুব একটা ভালো ছিলনা। কিন্তু তা সত্ত্বেও যে আমরা ম্যাচ জিততে পেরেছি, ওটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। দিনের শেষে এটা বুঝতে হয় যে কোন বলার কোনদিন ভালো বোলিং করছে। আমার মনে হয় যে দুজনেই দুর্দান্ত বোলিং করছিল, কিন্তু আমার গার্ড ফিলিং বলল যে বরুণকে দিয়ে ওই মুহূর্তে বল করে এবং আমি ওর উপর বিশ্বাস রেখেছিলাম।”
এছাড়াও এদিন ম্যাচ শেষে সাক্ষাৎকার দেন নাইট দলের তারকা অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। প্রথমেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয় পিচ প্রসঙ্গে। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “প্রথমে তো আমরা ব্যাট করেছি, তাই আমরা জানতাম পিচটা কেমন। পিচটা একটু স্টিকি ছিল, কিন্তু স্পিনারদের জন্য ভালো। আমাদের বোলিং বিভাগ যেমন, তাতে মনে হয়েছিল যে আমরা যা রান করেছি, যথেষ্ট করেছি। ওদের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল, কিন্তু আমাদের বোলাররা পরাজয়ের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে এনেছে।”
এরপরই রাসেলকে প্রশ্ন করা হয় সূর্যকুমার যাদব প্রসঙ্গে। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ও ৩৬০ ডিগ্রি ক্রিকেটার। আমি যতটা সম্ভব ব্যাপারটা সহজ করেছিলাম। এটা পুরোপুরি বিশ্বাসের উপর। যতো আপনার বয়স হয়, ততো আপনার অভিজ্ঞতা বাড়ে। আমি নিজের ফিটনেসের উপর অনেক কাজ করেছি এবং খুশি যে আমি দলের হয়ে সেটা করতে পেরেছি যেটা দল আমার থেকে চেয়েছে।” এছাড়াও দল প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় রাসেলকে। তাতে তিনি বলেন, “আমি দলের সকলের সঙ্গে যতটা সম্ভব কথা বলেছি। আমাদের দলে অনেক অল্পবয়সী ক্রিকেটার রয়েছে। ওরা সকলেই ভালো ফল করতে চায়। ওরা সকলেই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের কথা শুনে এবং যেটা আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে যে ওদের সকলের মধ্যে শেখার একটা দারুন আগ্রহ আছে। এটা ওদের ভালো গুণ।”
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।