নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। আজকের থিম পাঞ্জাব কিংসের জয়। কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
চলতি আইপিএলের শুরুটা ভালো হলেও মাঝমাঠ বিশ্রীভাবে ডুবে যায় পাঞ্জাব কিংসের। একের পর এক ম্যাচে তারা শিকার হয় পরাজয়ের। এমনকি বহুবার জয়ের দোরগোড়ায় এসেও, হাড়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের এবং এর জেরে পয়েন্টস টেবিলের একেবারে নিচে নেমে যায় তারা। যদিও পরেরদিকে কয়েকটি ম্যাচ জেতে ঠিকই। কিন্তু মরশুমের শুরুতে হারের জেরে অনেকটা পিছিয়ে পড়ে তারা চাপ হয়ে যায় ঘুরে দাঁড়াতে।
কিন্তু নিজেদের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ তারা নিজেদের নামে করে নেয় ৫ উইকেটে। তারা পরাজিত করে টেবিল টপার রাজস্থান রয়েলসকে। এদিন ব্যাট ও বল হাতে একটি দুর্দান্ত ক্রিকেটের উপহার দেন দলের অধিনায়ক স্যম কারান। এদিন এক কঠিন পরিস্থিতি থেকে তিনি দলকে ম্যাচ জেতান। তিনি হাকান একটি দুর্দান্ত অর্ধশতরান। মরশুমের শেষটা দুর্দান্ত করতে পেরে খুশি গোটা শিবির। অন্যদিকে, সেমিফাইনালে পৌঁছালেও এই পরাজয় রীতিমতো অস্বস্তিতে রাখবে সঞ্জু স্যামসন ও তাঁর বাহিনীকে।
ম্যাচ শেষে এদিন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ম্যাচের সেরা হয়ে পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক স্যম কারান নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমরা দল হিসেবে খুবই ভালো বোলিং করেছি। সকলকে একটাই বার্তা দিয়েছিলাম যে গর্বের সাথে খেলতে। মরশুমের প্রথম ম্যাচে এলিস দুর্দান্ত বোলিং করেছে। এখন মনে হচ্ছে ওকে আরো আগে খেলালে ভালোই হতো। যখন আমি ক্রিজে ব্যাট করতে এলাম, তখন আমাকে জনি বললো যে পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন। তবে আমি জানতাম বেশি চাপ নেওয়ার মতো ব্যাপার নেই। এরকম মাঠে কয়েকটা ছয় লাগলেই, ম্যাচ পুরোপুরি ঘুরে যাবে।”
এরপরই পাঞ্জাব অধিনায়ককে প্রশ্ন করা হয় ভারত ছাড়া প্রসঙ্গে। সেই প্রশ্নের উত্তরে স্যম কারান বলেন, “আমি আর জনি আগামীকাল ভারত ছাড়ছি। খুব ভালো লেগেছে আমার। গোটা মরসুমে পাঞ্জাব কিংসকে নেতৃত্ব দিয়ে আমার বেশ ভালই লাগছে। গোটা দলের মধ্যে যে পরিস্থিতি রয়েছে তা অত্যন্ত দারুন। এবার আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।”
শেষে নিজের সতীর্থদের প্রশংসা করেন স্যাম। তিনি বলেন, “আমরা অনেকগুলি ক্লোজ ম্যাচ খেলেছি। মনে হচ্ছে দল একটা কিছু বড়সড়ো করার কাছাকাছি রয়েছে। তবে বলা যায় না ভবিষ্যতে কি লেখা আছে আমাদের জন্য। কিন্তু অনেকগুলি ভালো ব্যাপার আছে আমাদের মধ্যে। বিশেষ করে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে আমরা যেভাবে একটা বড় রান তাড়া করে জিতেছিলাম, তা কোনদিনও ভোলা যাবেনা। যেভাবে শশাঙ্ক সিং দলে জায়গা করে নিয়েছে এবং আমাদের হয়ে একের পর এক ম্যাচ জিতিয়েছে সেটা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। আশুতোষ অবধি ভালো খেলেছে। এছাড়া হারশাল আর আর্শদ্বীপ দুর্দান্ত বোলিং করেছে।”
অন্যদিকে পাঞ্জাব কিংসের উইকেটরক্ষক ব্যাটার জিতেশ শর্মাও সাক্ষাৎকার দেন ম্যাচ শেষে। প্রথমেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয় পিচ প্রসঙ্গে। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “যেভাবে দিনটা যাচ্ছিল তাতে মনেই হচ্ছিলনা যে আমি ব্যাট করার সুযোগ পাবো। কিন্তু আজকের পারফরমেন্স নিয়ে আমি স্বস্তি বোধ করছি। ব্যাট হাতে রান করতে পেরেছি আর দলের জয়তে অবদান রাখতে পারায় আমি খুব খুশি। এটা একেবারেই ঠিক যে আজকের উইকেট অত্যন্ত স্লো ছিল. তবে আপনি যদি পজিটিভ মেজাজ নিয়ে খেলেন, তাহলে আপনি ঠিক রান করতে পারবেন। দিনের শেষে আপনার ইচ্ছের উপর সবকিছু নির্ভর করে।”
এরপরই জিতেশ শর্মাকে প্রশ্ন করা হয় উইকেটরক্ষকের ভূমিকা না পালন করা নিয়ে। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “দেখুন জনি আর ক’দিন বাদেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে নামবে। তাই সেই কারণেই ও স্টাম্পের পিছনে উইকেটরক্ষকের ভূমিকা পালন করতে চেয়েছিল। তবে পরের ম্যাচ থেকে আবার সেই দায়িত্ব আমার কাছেই আসবে এবং আমি পালন করবো। কিন্তু আমি খারাপ ফিল্ডিং করিনি।”
শেষে জিতেশকে প্রশ্ন করা হয় বিদেশি খেলোয়াড় ছেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এটা হলে আমাদের দেশি ক্রিকেটারদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে নিজেদের প্রমাণ করে দেখানোর। এছাড়া আমাদের থিঙ্ক ট্যাংকের নজরে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছেন আর এটা ওদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে নিজেদেরকে প্রমাণ করে দেখানোর। এটাই ওদের কাছে একটা বড় সুযোগ হবে।”
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।