সপ্তাহের সেরা গল্প: বদলা
নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক নতুন সপ্তাহের শুরুতে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে গত সপ্তাহের সেরা সব খবর। তবে এবার থেকে প্রকাশিত হবে সপ্তাহের সেরা গল্পগুলি। এই সপ্তাহের সেরা গল্প ‘বদলা’।
অনিকেত আর অভিজিৎ সদ্য একটা প্রাইভেট ব্যাংক এ চাকরী পেয়েছে, তাই দুজনের মধ্যে একটা বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে কারণ দুজনের বয়েস একই প্রায়, আর দুজনের ফ্রিকুয়েন্সি অনেকটা মিলে যায়। একদিন ব্যাংক এর শেষে দুজনে বাড়ি যাওয়ার পথে একটা ধাবা তে কিছু ক্ষণ আড্ডা দেওয়ার জন্যে বসে। সবে সন্ধ্যা হয়ে আসছিল, পাশে একটা হাইওয়ে।হাইওয়ে দিয়ে কেবল এক এর পর এক গাড়ি ছুটে চলছে, পুরো গা ছমছম করা পরিবেশ। এরকম সময়ে অনিকেত বলে “ভাই তোর নতুন অডিও গল্প কবে আসবে ইউটিউবে”।
অভিজিৎ- “আসবে ভূত চতুর্দশীর দিন “।
অনিকেত- “তা এবারো কি একটা দেবদাস টাইপ দুঃখের গল্প না এবার একটা নতুন কিছু আসবে। আরে ভাই ভূত চতুর্দশীর এর দিন গল্প আসছে আর একটা ভূত এর গল্প আনবি না। তোকে ভাই সিরিয়াসলি বলছি ভিউ আনতে চাইলে একটা ভূতের গল্প লেখ। ওই এক রোমান্টিক গল্প আর ভিউ হবে না। ”
অভিজিৎ- “দেখ গল্প লেখাটা আমার একটা হবি, আমি নিজে ভূতে ভয় পাই আর ভূতের গল্প লিখে লোক কে ভয় দেখাব। আর আমার রোমান্টিক গল্প লিখতে ভালো লাগে আমি কখনো ভূতের গল্প লিখতে পারব না, সেই হরর ফিল টা আনতে পারবো না। এই যে তুই হন্টেড রেল লাইনে গিয়ে ব্লগ করিস তোকে যদি এখন বলি এইসব ছেড়ে ফুড ব্লগিং শুরু কর তুই কি পারবি?”
অনিকেত- “আমি নতুন কন্টেন্ট খুঁজছি এবার ভাবছি আর হন্টেড রেল লাইনে নয় একটা হন্টেড বাড়িতে গিয়ে ব্লগ করব।”
অভিজিৎ আর অনিকেত দুজনে ব্যাংকে চাকরি করলেও একজন গল্প লেখে আর একজন ইউটিউব করে অবসরে। অভিজিৎ আর অনিকেত এর কথা শুনছিল পাশে বসে থাকা একজন।
সেই ব্যক্তি- “নমস্কার দাদা কিছু মনে করবেন না। আমি আপনাদের অনুমতি ছাড়া আপনাদের কথা তে ঢুকে এলাম। আমার নাম রাজা। আমার দেশের বাড়ি ঘাটশিলা তে ওখানে এরকম হাইওয়ে এর ধারে একটা বাড়ি আছে, সবাই বলে হন্টেড হাউস, বাড়িটা বেচতে পারছি না। কিন্তু আমার বিশ্বাস ভূত বলে কিছু হয়না। আপনি যদি ওই বাড়িতে গিয়ে একটা ব্লগ বানান তাহলে আপনিও কন্টেন্ট পাবেন আর আপনার চ্যানেলের মাধ্যমে এই বার্তাটা দিতে পারবেন আসলে ভূত বলে কিছু নেই। আমি আপনার চ্যানেলের নিয়মিত দর্শক আপনি আপনার ভিডিওগুলোর মাধ্যমে এই বার্তাটা দেন আসলে ভূত বলে কিছু নেই। আপনি এই বার্তাটা দিলে আমার বাড়িটা বেচতে সুবিধা হবে।”
অনিকেত- “বাহ খুব ভালো প্রস্তাব আমি সামনে সপ্তাহে আপনার বাড়ি যাচ্ছি, আমার বান্ধবী দেবলিনাও যাবে। অনেকদিন আমরা কোথাও ঘুরতে যাইনা। আমাদের একসাথে ঘোড়া হয়ে যাবে।
রাজা-“কোন ব্যাপার নয়। এটা আমার ফোন নং যেদিন যাবেন তার আগের দিন ফোন করে নেবেন, আমি ঘর গুলো পরিষ্কার করে রাখবো আর কেয়ারটেকারকে বলে রাখবো।
পরেরদিন ব্যাংক থেকে ফেরার পথে অভিজিৎ- “ভাই একটা অচেনা লোকের কথাতে এভাবে তুই থাকতে যেতে রাজি হয়ে গেলি, তাও আবার দেবলিনাকে নিয়ে। যদি কোন বিপদ হয়।”
অনিকেত- “আরে তুই একটা ভীতুর ডিম হয়েই থেকে গেলি। আমি কোথায় না গেছি বলত বেগুনকোদর এ অবধি ব্লগ করে এসেছি। এসব তো আমার বাম হাতের খেলা। শোন আমি আর দেবলীনা গিয়ে আগে দুদিন থেকে আসি। তারপর তুই আর সোমাশ্রীও চলে আয়। শোন কালকে ব্যাংকে আমি ছুটির অ্যাপ্লিকেশনটা করে দিচ্ছি। তুই ও করে দে।”
যথারীতি রাজাকে জানিয়ে কয়েকটি দিন পর অনিকেত আর দেবলিনা পৌঁছে গেলো ঘাটশিলা। স্টেশনে থেকে নামার পর রাজা ফোনে অনিকেতকে জানায়- “দাদা আমি আমার কেয়ারটেকারকে বলে বাড়িটা পরিষ্কার করিয়ে রেখেছি কোন অসুবিধা হবেনা। আপনাদের খাবার রেডি করা আছে। খালি কেয়ারটেকারের শরীর খারাপ বলে আজকে আপনাদের এটেন্ড করতে পারছেনা। কাল গিয়ে আমি দেখে নিচ্ছি। খালি আজকের রাতটা আপনারা থেকে যান।”
এদিকে ট্রেন থেকে নেমে ওরা অটো ধরে অটোওয়ালা ওই বাড়িতে যাচ্ছে শুনে ওদের সাবধান করে বলে ওই বাড়িতে কোন কাপল গেলে ফল মারাত্মক হয়। অনেক বছর আগে নাকি ওই বাড়িতে একটা ছেলে আর মেয়ে রাত কাটাতে এসেছিল। কিন্তু তারপর ওই ছেলেটা আর মেয়েটা নিখোঁজ হয়ে যায়। তারপর আরো একটা কাপল কয়েকদিন আগে ওই বাড়িতে উঠেছিল। পরেরদিন দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয় ওই বাড়িতে। প্রথম প্রথম একটু ভয় পেলেও পরে বাড়িতে পৌঁছে ওদের বাড়িটা বেশ পছন্দ হয়। মূল শহর থেকে কিছুটা দূরে হাইওয়ের পাশে সবুজে ঘেরা সুন্দর একটা দোতলা বাড়ি। এরকম নিরিবিলি একটা জায়গায় ওরা দুজন একসাথে থাকবে ভেবেই একটা আলাদা অনুভূতি হচ্ছিল। পরেরদিন সকালে অভিজিৎ কে ফোন করে অনিকেত।
অনিকেত- “ভাই বিন্দাস কাল রাতটা কাটলো। ওহ কাল রাতে যা হলো না সেরা ভাই সারা জীবন মনে থাকবে। একটু পর বৃষ্টি নামলো পুরো সেই ওয়েদার, দেবলিনা যে এত খুশি কি বলব। তুই আর দেরি করিসনা। সোমাশ্রীকে নিয়ে আজ চলে আয়। এই সুযোগ আর পাবিনা ভাই ফ্রিতে।” আর ভূতের রহস্যটা ফাঁস করেছি। এই বাড়ির কেয়ার টেকার রাতে মদের আসর বসায় যাতে কেউ বিরক্ত না করে তাই ভূতের গল্পটা রটিয়ে দিয়েছে, তুই চলে আয়।”
অনিকেতের কথায় অভিজিতের মনে কিঞ্চিৎ সাহস এলো। সে সোমাশ্রীকে যাওয়ার কথা বললে সোমাশ্রী কেমন একটা ভয় পেয়ে গেলো এবং কিছুতে তাকে যাওয়ার জন্যে রাজি করা গেলোনা। কিন্তু অনিকেতের রিকুয়েস্ট ফেলতে না পেরে অভিজিৎ বেড়িয়ে পরল ঘাটশিলার উদ্দেশ্য। ঘাটশিলা স্টেশন থেকেই অনিকেত আর দেবলিনা অভিজিৎকে নিয়ে গেলো ওই বাড়িতে।
অনিকেত-“বল ভাই কেমন লাগছে?”
অভিজিৎ-” হম বাড়িটা সুন্দর”।
অনিকেত- “শোন কাল কালীপুজো আর আজ ভূত চতুর্দশী। বেশ দারুণ একটা ফিলিংস আসছেনা। সোমাশ্রী এলে জমে যেত, এরকম একটা জায়গায়, যাক আর কি করবি হাতের কাজ কর। মানে ডিনারটা করে নে। গরম রুটি আর মুরগির ঝোল।”
খাওয়া দাওয়া শেষ করে অনিকেত আর দেবলিনা ওদের ঘরে চলে গেছে। বেশ কিছুক্ষণ হয়ে গেছে, এমনই সময়ে অভিজিৎ এসে ওদের ডাকে- “ভাই তোরা যে গোটা বাড়িটা প্রদীপ দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছিস বলিসনি তো আর এতক্ষণ না জ্বালিয়ে এত রাতে কেন জ্বালালি ?
দেবলিনা- “কি বলছো অভিজিৎ দা তুমি ড্রাঙ্ক নাকি? কোথায় প্রদীপ আমরা তো কিছু করিনি।”
অভিজিৎ- “চলো বাইরে গিয়ে দেখবে।”
এমনই সময় ওরা বাইরে বেরিয়ে দেখলো গোটা বাড়িটা প্রদীপে সেজে উঠেছে। যা দেখে দেবলিনা আর অনিকেতও আকাশ থেকে পরল। এমনই সময়ে সব প্রদীপগুলো জ্বলতে নিভতে শুরু করলো খুব অদ্ভূতভাবে, সাথে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো চারিদিকে যেন বিদ্যুতের ঝলকানি চলছে। হঠাত করেই ভয়ংকর ঝড় উঠে গেলো। তারপরেই একটা বিকট আর্তনাদের আওয়াজ। এমনিতে শহর থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় কারো সাহায্য পাওয়ার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। তারা হঠাৎ দেখলো গোটা বাড়িটাতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠলো আর সেই আগুনের মধ্যেই থেকে একটা ছায়া মূর্তি হাতে একটা ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছুটে আসতে লাগলো তাদের দিকে সাথে বিকট আর্তনাদ। কিছু বুঝে ওঠার আগে ওরা তিনজন পাগলের মত ছুটে চললো। তাদের হাত-পা অবস হয়ে আসছে, তাও প্রান ভয়ে তারা ছুটে চলেছে।
তারপর আর অভিজিতের কিছু মনে নেই। অভিজিতের জ্ঞান ফিরল পরেরদিন সকালে। যে ব্যক্তির বাড়িতে অভিজিৎ আছে তিনি জানালেন তিনি অভিজিৎকে হাইওয়ের ধারে পরে থাকতে দেখেছেন। অভিজিৎ যখন ওই বাড়ির আর আগের রাতের কথা জানায় ওই ব্যক্তি বলেন- “আমি ওই বাড়ির দেখাশোনা করতাম, তোমার ভাগ্য ভালো তুমি প্রাণে বেঁচে গেছো। রাজার হাত থেকে কেউ প্রাণে বেঁচে ফেরেনা।
অভিজিৎ- “রাজা! কে রাজা?”
কেয়ারটেকার- “রাজা ছিল এই বাড়ির মালিক। ওর বাবার অনেক পয়সা ছিল, এটা ছিল একটা বাগান বাড়ি। একদিন রাজা ওর গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে এই বাড়িতে আসে। আর সেই রাতে এই বাড়িতে আগুন লাগে আর রাজা মারা যায়। প্রথমে সবাই ভেবেছিল ওর গার্লফ্রেন্ডও মারা গেছে। কিন্তু পরে জানা যায় ওর গার্লফ্রেন্ড সেই রাতে বাড়িতে আগুন লাগিয়েছিল আর রাজার অনেক টাকাপয়সা হাতিয়ে পালায়। তারপর থেকে রাজার আত্মা ওই বাড়িতে ঘুরে বেড়ায় আর কোন কাপল ওখানে থাকতে গেলে তাকে মেরে ফেলে। যতক্ষণ না ওর মৃত্যুর বদলা নিতে পারছে ততক্ষণ ও থামবেনা।
অভিজিৎ- আমার বন্ধু অনিকেত ও দেবলিনা ওই বাড়িতে কাল আমার সাথে ছিল ওদের কোন খোঁজ জানেন।?
কেয়ারটেকার- না বলতে পারব না। তবে যদি চান আপনাকে নিয়ে থানা তে যেতে পারি ওদের খোঁজ করতে। আর দাঁড়ান আপনার মানি ব্যাগ টা নিয়ে আসি।”
অভিজিৎ- “ঠিক আছে তাই করুন।”
কেয়ারটেকার ফিরে এসে বলে- “আপনার মানিব্যাগ এই ছবি টাপেলাম। এটা কার?
অভিজিৎ- “ওটা আমার বান্ধবী সোমাশ্রীর ছবি।”
কেয়ারটেকার- “সেকি এইতো রাজার সেই বান্ধবী যাকে সেই রাতের পর আর পাওয়া যায়নি।”
অভিজিৎ অবাক হয়ে গিয়ে বলে ওঠে- “কি বলছেন? আমার কিছু মাথায় ঢুকছেনা।”
এরপর সে আরো চমকে যায় যখন সে ফোনে আগেরদিন রাতে তার দুই বন্ধুর সাথে তোলা ছবিগুলোকে দেখতে যায় থানাতে কাজে লাগবে বলে। দেখে সে ছবিগুলো সম্পূর্ন ফাঁকা। সেখানে তার বন্ধুদের ছবি নেই। শুধু তার একার ছবিগুলো রয়েছে।
অন্যদিকে—–
অনিকেত আর দেবলিনা, সোমাশ্রী এর সাথে দেখা করতে এসেছে।
দেবলিনা- “অভিজিতের মুখে শুনলাম তুমি নাকি ঘাটশিলা যেতে চাওনা। তাই তোমার জন্যে আমরা মন্দারমনি যাওয়ার প্ল্যান করেছি। অভিজিৎ আগেই চলে গেছে। আমাদেরকে তোমায় নিতে আসার জন্যে পাঠাল। চলো ৪ দিন খুব আনন্দ হবে।”
সোমাশ্রী রাজি হয়ে ওদের সাথে গাড়িতে উঠে চলে গেলো। কিন্তু গাড়িতে ওঠার পর থেকেই সোমাশ্রীর কেমন একটা অসম্ভব সাফোকেটিং ফিল হতে লাগলো। মনে হচ্ছে তার যেন শ্বাস আটকে আসছে। সে বলে- “অনিকেত দা গাড়িটা প্লিজ থামাও তো।” কিন্তু তার মনে হল গাড়িতে থাকলেও অনিকেত আর দেবলিনার কানে যেন তার কথা পৌছাচ্ছেনা। উল্টে গাড়ির গতিবেগ আরো যেন বেড়ে যাচ্ছে। হঠাত সোমাশ্রীর চোখে পরলো গাড়ির আয়নাতে অনিকেত আর দেবলিনাকে দেখা যাচ্ছেনা। সে গাড়ির দরজা খোলার আপ্রাণ চেস্টা করলেও কিছুতে খুলতে পারল না। হঠাত সে দেখলো অনিকেতের শরীর থেকে বেড়িয়ে এলো রাজার আত্মা। তারপরেই একটা বিকট শব্দ।
রাজা বলতে থাকে- ” কি ভেবেছিস আমার সম্পত্তিতে সারা জীবন ফুর্তি করবি। এতদিন ধরে জলতে থাকা প্রতিশোধ এর আগুনে আজ তোকে পুরিয়ে মারবো। তোর দুই বন্ধুকে প্রথম রাতেই শেষ করেছি তারপর ওদের দিয়ে তোর নতুন প্রেমিক আর তোকে ডেকেছিলাম। কিন্তু তুই এলিনা, তাই তোকে শেষ করতে এখানেই আসতে হল আর তোর প্রেমিককে শেষ করবো এরপর।”
সোমাশ্রী- “আমাকে প্লিজ ছেরে দে , ক্ষমা করে দে।”
রাজা – তোকে তো এত ভালবেসেছিলাম তারপর আমাকে মারতে হাত কাপলো না তোর? তারপরে একটা বিকট শব্দ।
এদিকে অভিজিতের কাছে একটা অচেনা নং আসে ফোনের ওপার থেকে বলা হয়- “আমি কোলাঘাট থানা থেকে বলছি। এখানে হাইওয়ের ধারে একটা কার এক্সিডেন্ট হয়েছে। একটা মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। নাম সোমাশ্রী বয়স ৩০এর আশেপাশে। তার ফোন নং থেকে আপনার ফোন নংটা পেলাম আপনি প্লিজ এসে একটু আইডেন্টিফাই করে যান।
এদিকে এই ঘটনার পর অভিজিত ডিপ্রেশনে চলে যায় এবং সুইসাইড করার জন্য রেল লাইন দিয়ে হাটতে শুরু করে। হঠাত সে দেখতে পায় ট্রেন আসছে, সে মৃত্যুকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত এমন সময় তার মনে হলো একটা দমকা ঝোড়ো হাওয়া তাকে ছিটকে লাইন থেকে দূরে সরিয়ে দিল। হঠাত সে দেখল একটা ছায়ামুর্তি পাশে দাড়িয়ে। সেই ছায়ামুর্তি বলতে থাকে- “জীবন নেওয়া খুব সহজ কিন্তু আসল চ্যালেঞ্জ তো জীবন টিকিয়ে রাখা আর তাকে সঠিক পথে চালনা করাতেই। এই বলে ছায়ামুর্তিটা আসতে আসতে শূন্যে মিলিয়ে যেতে থাকে।
লেখক: মৌক্তিক সাহা
‘ফিরে দেখা সাতদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামী সপ্তাহে আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো সপ্তাহের সব নজরকাড়া গল্প নিয়ে। ধন্যবাদ। সুপ্রভাত।
Darun hoyeche…ato vlo vlo golpo lekho❣️
ধন্যবাদ সাথে থাকুন। ❤️❤️❤️