নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক নতুন সপ্তাহের শুরুতে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে গত সপ্তাহের সেরা সব খবর। তবে এবার থেকে প্রকাশিত হবে সপ্তাহের সেরা গল্পগুলি। এই সপ্তাহের সেরা গল্প ‘অদৃশ্য বদলা’।
জানুয়ারি মাস ,জমিয়ে শীত পড়েছে,আর শীতকালে বাঙালি ঘরে বসে থাকবে কোথাও বেড়াতে যাবে না তা কি কখনো হয়। ইউনিভার্সিটি পাশ করার পর থেকে অভিজিত বার বার তার বন্ধুদের বেড়াতে যাওয়ার জন্য বলছে,কিনতু সকলের একসাথে কিছুতেই টাইম ম্যাচ করছিল না। অবশেষে সকলের সম্মতিতে ঠিক হল কাছে পিঠের মধ্যে নর্থ বেঙ্গল ঘুরতে যাবে ৪ দিনের জন্য। 4th জানুয়ারি ডেট ঠিক হল। শিয়ালদহ স্টেশনে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস ধরার জন্য সকলে হাজির হলেও অরিত্র যথারীতি লেট ।
পাঁচ বন্ধু অভিজিত, অরিত্র, দ্বীপ্তজিত, সৌম্য আর মৃন্ময়। পাঁচজন চুটিয়ে বাওয়াল করতে পছন্দ করে ,ইউনিভার্সিটিতে ওদের একটা কুখ্যাত গ্যাং ছিল, কিনতু সেসব এখন অতীত ওরা প্রত্যেকেই জীবনযুদ্ধে নিজেকে প্রতিস্ঠিত করার লড়াই তে সামিল।দৈনন্দিন এক ঘেয়ে জীবন থেকে ৪টে দিনের জন্য পাহাড় জঙ্গলের মাঝে হারিয়ে যেতেই ওদের এই টুর।দ্বীপ্ত বলে উঠলো “অরিত্রটার লাস্ট মোমেন্টে এন্ট্রি নেওয়ার স্বভাব টা গেলো না”।সৌম্য বললো “আরে ভাই এক্সকারশান এর সময় আমরা তো ধরেই নিয়েছিলাম,ও ট্রেন টা মিস করলো ,ম্যাম যা রেগে গিয়েছিলো”। এদিকে ট্রেন ছাড়ার ঠিক 5 মিনিট আগে অরিত্রর এন্ট্রি । বন্ধুদের খিস্তির বাণ যখন তার দিকে ধেয়ে আসছে সে ঢাল হিসাবে রাস্তার জ্যাম কেই দায়ী করে ।যাইহোক ট্রেন একদম রাইট টাইমে 7:15 মিনিটে শিয়ালদহ স্টেশন ছাড়লো।
অরিত্র: “বল ভাই সব কেমন আছিস,ফাইনালি আমরা যাচ্ছি । আজ কিনতু সারারাত ঘুমাবো না,যে ঘুমাবি তার ভাগ্যে দু:খ আছে,আগে থেকেই বলে রাখলাম। ”
সৌম্য-“আর মৃন্ময় গার্লফ্রেন্ডের সাথে বেশী ভাটালে খিস্তি খাবি,আর অভি pubg এখন বন্ধ ।”
অভিজিত-“ভাই সৌম্য তোর গিটার টা বার কর”।
মৃন্ময়-“ভাই মনে পড়ে আমরা যখন এক্সকারশান গেছিলাম ,ট্রেনের সেই রাত”।
অভিজিত-“সে আবার মনে থাকবে না সৌম্য আর প্রিয়াঙ্কা র প্রেম তো জমে ক্ষীর ,আর অরিত্র – মেঘনা”
অরিত্র-“মেঘনার সামনেই বিয়ে,আমি কখনোই ভাবি নি ,ও আমাকে —-”
সৌম্য -শোন ওসব ছাড় বিয়ে করছে করুক আমরাও ওর বিয়ের দিন ব্যাচেলর পার্টি মানাবো।
ইতিমধ্যে ট্রেন বর্ধমান পৌছালো ।
দ্বীপ্ত-” কি ব্যাপার বলতো ভাই বর্ধমান চলে এলো উইন্ডো সিট গুলোতে কেউ আসছে না”।
অরিত্র-“তুই কি ভেবেছিলি কোন সুন্দরী আসবে, তোর এই মেয়ে মেয়ে করা স্বভাব টা গেলো না”।
এমন সময় ট্রেনে এক ভদ্রলোক ,এক ভদ্র মহিলা ও তাদের মেয়ে ট্রেনে উঠলো ।
হন্তদন্ত হয়ে সিট খুজে ঐ উইন্ডো সিটটিতেই বসলো। ট্রেনে উঠে ওনারা খুব একটা কথা বলছিলেন না,তবে সৌম্য আসতে আসতে কাকু কাকিমা বলে ওদের সাথে ভাব জমালো।তারপর আসতে আসতে ওদের 5 জনের সাথে বেশ জমে উঠলো গল্প।রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে অবশেষে গিটার সহযোগে অরিত্র গান ধরলো-“শহরের উষ্নতম দিনে”।সকল যাত্রীরাই ট্রেনের জার্নিটা বেশ এনজয় করতে লাগলো। পাশেই এক বৃদ্ধ বৃদ্ধা সওয়ার ছিলেন,তারাও বেশ আনন্দিত হলেন।ক্রমে তারাও জানালেন ছেলে লন্ডনে থাকে, কলকাতার বাড়ি তে তারা একা তাই শেষ বয়সে একাকিত্বের নাগপাশ থেকে মুক্ত হতে তারাও একটু মুক্ত বাতাসের খোজে যাচ্ছেন পাহাড় এক্সপ্লোর করতে। ইতিমধ্যে মাঝরাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লেও দ্বীপ্তর কিছুতেই ঘুম আসছিল না।।অগত্যা সে গেলো বাথরুমের দিকে একটা সিগারেট ধরাতে। গিয়ে দেখলো তাদের পাশের উইন্ডো সিটের মেয়ে টি আনমনা ভাবে গেটের পাশে দাড়িয়ে আছে। আস্তে আস্তে একে অপরের আলাপ জমে ওঠে। মেয়েটির নাম শ্রীপর্না, ওরা আলিপুরদুয়ার যাচ্ছে মামার বাড়িতে।
রিসেন্টলি ওদের ফ্যামিলি তে একটা আক্সিডেন্ট হয়ে গেছে। শ্রীপর্নার দিদি বিয়ের পর হানিমুন যায় নর্থ বেঙ্গল সেখানেই এক দুর্ঘটনায় মারা যায়,তবে তার ধারণা এটা দুর্ঘটনা নয় এই মৃত্যুর পিছনে কিছু একটা রহস্য রয়েছে, নিখোজ হয় তার জামাইবাবু। তারা একে অপরের ফোন নম্বর নিয়ে নেয়। অবশেষে পরদিন সকালে নিউ জলপাইগুরি স্টেশনে নেমে 5 বন্ধু গাড়ি করে রওনা দিলো গন্তব্য র দিকে।পাহাড় জঙ্গলের সাথে শীতের কুয়াশা ঘেরা সকালের অপুর্ব মেলবন্ধন পড়তে পড়তে উপভোগ করতে লাগলো 5 বন্ধু।কিনতু দ্বীপ্তর অবচেতন মনে আগের দিন রাতের শ্রীপর্না র কথা গুলো রয়েই গেলো। অবশেষে তারা রাজাভাতখাওয়ার নিকট এক ফরেস্ট কটেজে এসে উঠলো। আসলে প্রকৃতির খুব কাছাকাছি থেকে সবুজ এর সমারোহে তারা হারিয়ে যেতে চেয়েছিলো।
কটেজের চারিপাশের পরিবেশটিও বেশ রোমাঞ্চে ভরপুর।একদিকে জঙ্গল ,পাশে পাহাড়,জঙ্গল তীরবর্তি গ্রাম ও রয়েছে ।তবে এখানে একটাই সমস্যা ফোনের নেটওয়ার্ক একদম থাকছে না।কটেজে ঢুকে ফ্রেস হয়ে লাঞ্চ করে একটু আসে পাশে গ্রাম ঘুরতে বেরিয়ে পড়লো।কটেজের কেয়ারটকার লাল সিং বললো সন্ধ্যে হওয়ার আগে ফিরে আসতে ,দু দিন আগে নাকি গ্রাম থেকে একটা বাছুর গায়েব হয়,মনে করা হচ্ছে চিতাবাঘ নিয়ে গেছে ।সন্ধ্যে হওয়ার আগেই ফেসবুকে দেওয়ার মতো কিছু ফটো তুলে তারা কটেজে চলে এলো।ইতিমধ্যে লাল সিং এসে জানিয়ে গেলো রাতের জন্য পরোটা আর দেশী মুরগি করছে,তাদের রাতের খাবার দিয়ে বাড়ি চলে যাবে। তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী গ্রামেই।আর কিছু সাবধান বাণী শুনিয়ে গেলো।
রাম সিং-“বাবু রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যাবেন , বেশী রাত অবধি জাগবেন না”।আর রাতে কখনো বাড়ির বাইরে বেরোবেন না।টর্চ টা সাথে রাখবেন, কারেন্ট চলে যেতে পারে।আর হ্যা ভয় পাবেন না,ও কারো ক্ষতি করে না”।সৌম্য-“কি সব বলছো,কে আমাদের ক্ষতি করবে ? মাথা ঠিক আছে তো?
লাল সিং সামান্য হেসে চলে গেলো।
ওরা রাতের খাবার খেয়ে একটা 750 ওল্ড মঙ্ক নিয়ে বসলো।শীতের রাত তার ওপর ঝিড়ি ঝিড়ি বৃস্টি শুরু হয়েছে,এ এক অন্য অনুভূতি।যাই হোক কাল সকাল সকাল বেড়োতে হবে তাই তারা ঘুমিয়ে পড়লো 11 টা নাগাদ।মাঝ রাত নাগাদ এক বিকট শব্দে ঘুম ভাঙ্গলো ওদের ।ঠিক যেন কোন গাড়ি উলটে যাওয়ার শব্দ ।।ওরা সবাই ভাবলো রাতে নিশ্চয় কেউ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে,তাই সাহায্য র জন্য বাইরে এলো।এদিকে মৃন্ময় বললো “দেখ ভাই লাল সিং আমাদের রাতে বাইরে যেতে মানা করেছিলো আর এত রাতে কেই বা আসবে এখানে।”বাকি রা মৃন্ময় এর কথা অত গুরুত্ব না দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলো কিনতু অবাক কান্ড কোথাও কোন দুর্ঘটনার চিহ্ন অবধি নেই এমন সময় গোদের উপর বিষফোরা পাওয়ার অফ। ঝিড় ঝিড় করে বৃস্টি তার সাথে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। নিকশ কালো অন্ধকার গ্রাস করেছে চারিদিক, এমন সময় দ্বীপ্ত টর্চের আলোয় যা দেখলো তা হার হিম হওয়ার জন্য যথেস্ট।দেখলো তাদের কটেজের সামনে পড়ে আছে চাপ চাপ রক্ত। কটেজে এসে তাদের কোন হিসেব মিলছিলো না।ঐ রক্ত র কারণ টাও অনুধাবন করতে পারছিলো না।অভিজিত বললো হয়তো চিতাবাঘ গ্রাম থেকে কোন ছাগল ধরে নিয়ে গেছে ,তবে যুক্তি টা অকাট্য হল না।
তারা যেন সায়েনস আর অন্ধ বিশ্বাসের দড়ি টানাটানি খেলায় খুটি হয়ে রয়েছে। পরদিন সকালে দ্বীপ্ত কে ফোন করে শ্রীপর্না, জানতে চায় তারা ঠিকঠাক পৌছেছে কিনা। ইতিমধ্যে তাদের থাকার জায়গাটা শুনে শ্রীপর্না জানায় তার দিদি ও নাকি ঐ সেম লোকেশানের একটা ফরেস্ট কটেজেই উঠছিলো। সব কিছু শুনে পাঁচ বন্ধুর মনে হয় কিছু একটা মিসিং লিঙ্ক আছে এই কটেজে আর সেই আর্কিওপটেরিক্স টাকে তাদের খুজে বের না করে তারা নড়বে না। পরের দিন লাল সিং এলো, পাঁচ বন্ধু তাদের পূর্বরাত্রির এক্সপিরিয়েনস জানাল। সব শুনে লাল সিং বললো আমি তো আপনাদের আগেই বলেছিলাম।তারপর সে বলে তাহলে শুনুন ,কিছু দিন আগে একটা কাপেল হানিমুন করতে এসেছিলো এই কটেজে। একদিন ঘুরে ফেরার সময় তারা দুজনেই দুর্ঘটনায় মারা যান।তার পর থেকেই এরকম অনেক অস্বাভাবিক ঘটনার সাক্ষী এই কটেজের অনেকেই হয়েছে ।যাই হোক সেদিন টা ভালোভাবেই কাটলো। তারপরের দিন যে ঘটনা ঘটলো তা অবিশ্বাস্য ছিল তাদের কাছে।সেদিন ঘুরে বেড়িয়ে কটেজে ফিরতে বেশ সন্ধ্যা হয়ে গেলো।সূর্য পাহাড়ের কোলে অস্ত গেছে পাখিরাও ক্রমে বাসায় ফিরছে, শীতের তীব্রতাও ক্রমশ বাড়ছে অন্ধকার ক্রমেই গাঢ় হতে হতে অবশেষে গভীর অন্ধকার ঘনিয়ে এলো।
এরকম সময়তেই ঘটলো সেই দুর্ঘটনা।গাড়ির ড্রাইভার হঠাত আতঙ্কিত হয়ে বলে উঠলো গাড়ির ব্রেক কাজ করছে না। সেদিন 5 বন্ধু মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছিলো। অন্ধকার জঙ্গল ঘেরা পথে দুর্ঘটনা অবশ্যম্ভাবী, সাথে আছে বন্য জনতু র আক্রমনের ভয় ।মৃত্যু নিশ্চিত বুঝেই নিয়েছিলো তারা কিনতু তারপর ঘটে গেলো এক অলৌকিক ঘটনা,বুদ্ধি তে যার ব্যাখ্যা মেলে না ।তারা হঠাত লক্ষ করলো ড্রাইভার যেন প্রাণহীন ভাবে স্টিয়ারিং এ হাত দিয়ে বসে আছে কিন্তু গাড়ি টা যেন কোন অদৃশ্য এক শক্তি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ।অবশেষে কিছুক্ষন বাদে গাড়ি টি জঙ্গল ঘেরা এক জায়গায় এসে থামতে ওরা সকলেই দেহে প্রাণ ফিরে পেলো ।গাড়ি থেকে নেমে ড্রাইভার বললো “আরে আমরা তো কটেজের কাছাকাছি এসে গেছি,এত দূর কি করে এলাম ,আমার তো কিছুই মনে পড়ছে না ,আর ব্রেক কাজ না করা গাড়ি থামলোই বা কি করে”।কোন হিসেব টাই মিলছিলো না , তবে এটা পরিস্কার কোন এক দৈব বলে তারা এ যাত্রা প্রাণে বেচে গেছে,হঠাত দ্বীপ্ত র চোখ পড়লো গাড়িতে ড্রাইভারের সিটে একটা ডায়েরি রাখা ।কিনতু এ ডায়েরি তো তাদের কারো নয়। ডায়েরি টা কটেজে নিয়ে এসে তারা পড়তে শুরু করলো ,তারা বুঝলো ডায়েরি টা অভীক রায় বলে কোন ব্যক্তির ।ডায়েরি তে তারা যা পড়ে
“আমি অভীক রায় বয়স 28,একটি সফটওয়ার কোম্পানিতে কর্মরত ।বাড়ি থেকে দেখাশোনা করেই বিয়ে হয় সোমা র সাথে ।কাজের চাপের জন্য সোমাকে খুব বেশী সময় দিতে পারতাম না।অবশেষে বিয়ের 1বছর পর সোমা কে নিয়ে নর্থ বেঙ্গলে আসি।কিন্ত ওর মধ্যে কীরকম একটা আবনর্মাল আটিচিউড লক্ষ করি।মনে হতো ও যেন আমার সাথে এসে বোর হচ্ছে।যেন অপেক্ষা করে আছে কত দিনে ফিরবে।কদিন আগে এখানে ওর এক কলেজ লাইফ এর বন্ধু কোন এক টি এস্টেটের মালিক সৌরভের সাথে দেখা হয় ।তারপর একদিন সৌরভ ওর গেস্ট হাউসে আমাদের ইনভাইট করে।কিন্ত কখনোই বুঝিনি ওটা ছিলো শিকারী র পাতা ফাদ।সৌরভ আমাদের জন্য গাড়ি পাঠায় ।পথে এক জঙ্গল ঘেরা জায়গায় কিছু দুস্কৃতি সোমাকে কিডন্যাপ করে ,তাদের চেজ করতে গিয়ে দেখতে পাই গাড়ির ব্রেক কাজ করছে না ও দুর্ঘটনা তে মারা যাই।
এত অবধি পড়ার পর ওরা 5 বন্ধু বিশ্বাস করতে পারছিলো না ,তারা কি পড়ছে ।কিনতু আরও কিছু চমক তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল ডায়েরির শেষ পাতায় ।ডায়েরির শেষ পাতায় লেখা আছে—-
পরে জানতে পারি সৌরভ আর সোমার কলেজ থেকেই প্রেম ছিলো।কিনতু বিয়ে হয় আমার সাথে কারণ সে সময় সৌরভ বেকার ছিল। তারপর আমি যেহেতু বিয়ের পরপর ওকে বেশী সময় দিতে পারতাম না সেই সময় পুরানো প্রেম মাথা চারা দেয়,আর সোমা শুরু করে পরকীয়া। এরপর সৌরভ প্ল্যান দেয় নর্থ বেঙ্গল নিয়ে এসে আমাকে সরিয়ে দেতে হবে।প্ল্যান মাফিক যান্ত্রিক গলোযোগ যুক্ত গাড়ি পাঠায় সৌরভ, আর কিডন্যাপ টাও ছিল নাটক। তারপর ওরা গোটা ঘটনা টা দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয় আর রটিয়ে দেয় সোমা ও আমি দুজনেই মারা গেছি। আর আমার মৃতদেহ জঙ্গলের মাটি তে পুতে দেয়। তারপর সোমা আর সৌরভ এখন একসাথে থাকে ।এই ডায়েরি যেই পাবেন তিনি যেন আসল সত্যিটা সোমার পরিবারের সামনে তুলে ধরে আর এখানে রইল শ্রীপর্না সোমার বোনের ফোন নম্বর। আবার আমি ফিরবো বিশ্বাসঘাতকের বদলা নিয়ে ।
এই ডায়েরি পড়ার পর তাদের সারা শরীর এ যেন কাটা দিয়ে উঠলো। বতাদের বুঝতে অসুবিধা হল না ট্রেনে দেখা হওয়া শ্রীপর্নার দিদির পরিচয়। এরপর দিন ট্রেন ধরে ফেরার জন্য কটেজ ছেড়ে গাড়ি করে রওনা দেয় 5 বন্ধু। স্টেশনে এসে খবরের কাগজে যে খবর টা দেখলো তাতে আরও একবার চমকে উঠলো পাঁচ বন্ধু
দ্বীপ্ত: “ভুটান রোডে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে স্থাণীয় এক টি এস্টেটর মালিক ও অজ্ঞাত পরিচয় এক মহিলার।”
অরিত্র: “বিশ্বাসঘাতকের শাস্তি হল তাহলে”।
লেখক: মৌক্তিক সাহা
‘ফিরে দেখা সাতদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামী সপ্তাহে আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো সপ্তাহের সব নজরকাড়া গল্প নিয়ে। ধন্যবাদ। সুপ্রভাত।