নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক প্রতিদিন সকালে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে গতকালের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। রাজ্য থেকে দেশ, কি ঘটলো গত ২৪ ঘন্টায়? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
শক্তিশালী আফগানিস্তানকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা
দেখতে দেখতে শুরু হয়ে গেল চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল পর্ব। প্রথম ম্যাচেই রীতিমতো তাক লাগানো পারফরম্যান্স উপহার দিল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। একেবারে চোখের নিমেষে উড়িয়ে দিল গোটা টুর্নামেন্টজুড়ে ছন্দে থাকা আফগানিস্তানকে। শুধু হারানোই নয়, একেবারে বড় ব্যবধানে রাশিদ খানদের হারিয়েছে এডেন মার্করামরা। ৯ উইকেটে ম্যাচ নিজেদের নামে করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সৌজন্যে মার্কো ইয়ানসেন ও তাব্রেজ শামসীর দুর্ধর্ষ বোলিং এবং ব্যাটারদের দুর্দান্ত ব্যাটিং। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডিং ছিল দেখার মতো। অন্যদিকে আফগানিস্তানকে একেবারেই সেই আফগানিস্তান লাগেনি যেটা গোটা টুর্নামেন্টে দেখা গেছিল। রীতিমতো হাবুডুবু খেতে দেখা যায় তাদের দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের সামনে।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তান অধিনায়ক রাশিদ খান। তবে নেমেই একের পর এক উইকেট হারাতে শুরু করে তারা এবং অবশেষে বারো ওভার শেষ হওয়ার আগেই ৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায় গোটা দল। ব্যাট হাতে কেউই তেমন প্রভাবশালী ব্যাটিং দেখাতে পারেনি। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট নিজেদের ঝুলিতে তোলেন মার্কো ইয়ানসেন ও তাব্রেজ শামসী। এছাড়া দুটি করে উইকেট পান রাবাডা ও নর্কিয়া। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ৯ ওভার শেষ হওয়ার আগেই এক উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্রিজে অপরাজিত ছিলেন লিজা হেন্ড্রিক্স ও অধিনায়ক এডেন মার্করাম। নিজের দুর্দান্ত বোলিং এর জন্য ম্যাচের সেরা সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান দলের তরুণ পেস বোলার মার্কো ইয়ানসেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মার্কো ইয়ানসেন বলেন, “বেশ ভালো লাগছে। দলের সকলেই বেশ ভালো খেলেছে। সকলেই পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত করেছে। আমরা শুধু নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছি। শুধু গুড লেন্থে বল করে দেখছিলাম পিচ থেকে কি আসে। উইকেটটা একটু খুলছিল এবং আমরা ব্যাপারটা সহজ করে রেখেছিলাম।” এরপরই দলের অধিনায়ক এডেন মার্করামের প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হয় তরুণ পেসারকে। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ওনার মতো একজন অধিনায়ককে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। আজকের রাতটা আমরা সকলেই আনন্দ করবো এবং তারপর ফের নিজেদের পথে ফিরে আসবো।”
জস বাটলারদের হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল টিম ইন্ডিয়া
একেবারে চোখের নিমেষে ও দাপটের সঙ্গে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে গুঁড়িয়ে দিল টিম ইন্ডিয়া। একেবারে বড় ব্যবধানে জয় পেল রোহিত শর্মা ও তাঁর বাহিনী। ৬৮ রানে ম্যাচ জিতলো ‘মেন ইন ব্লু’। সৌজন্যে রোহিত-সূর্যর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ও কুলদীপ-অক্ষরদের দুর্দান্ত বোলিং। এদিন ইংল্যান্ডের চেয়ে সব বিভাগেই এগিয়ে ছিল টিম ইন্ডিয়া। ব্যাটিং হোক কি বোলিং, দুটোতেই রীতিমত হাবডুবু খেতে দেখা যায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে। অন্যদিকে, ভারত শুরু থেকে শেষ অবধি আক্রমনত্বক ক্রিকেট উপহার দেয় উপস্থিত সকল দর্শকদের। গুয়ানার মতো বোলিং পিচে একটা লড়াকু রান বোর্ডে তুলে তাক লাগিয়ে দেয় রোহিত শর্মারা। বল হাতেও আক্রমণাত্মক বোলিং করেন দলের বোলাররা। সবমিলিয়ে, ফাইনালের আগে এই বড় জয় একেবারে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে পৌঁছিয়ের দিয়েছে টিম ইন্ডিয়ার।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন জস বাটলার। বৃষ্টির জন্য খেলা শুরু হতে দেরি হয় এবং মাঝেমধ্যেই বন্ধ রাখতে হচ্ছিল। তা সত্ত্বেও পুরো ২০ ওভারেরই খেলা হয়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে টিম ইন্ডিয়া তোলে ১৭১ রান। দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা একটি দুর্দান্ত অর্ধশতরান করেন। তাঁর মোট সংগ্রহ ৫৭। এছাড়া সূর্যকুমার যাদব করেন ৪৭। শেষে হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা ও অক্ষর প্যাটেলের দ্রুতগতির ইনিংস ভারতকে সুবিধা জনক অবস্থায় পৌঁছে দেয়। অন্যদিকে রান তাড়া করতে নেমেই শুরু থেকে উইকেট হারাতে শুরু করে ইংল্যান্ড। অক্ষর প্যাটেল ও কুলদীপ যাদবের স্পিন ম্যাজিক রীতিমতো কোমর ভেঙে দেয় ইংলিশ বাহিনীর। দুজনেই তোলেন তিনটি করে উইকেট। এছাড়া দলের তারকা পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ নেন দুটি উইকেট। ১০৩ রানে অলআউট হয়ে যায় গোটা দল। তাও আবার ১৭ ওভারের আগে। ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয় অক্ষর প্যাটেলকে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অক্ষর প্যাটেল বলেন, “এর আগে অতীতে আমি পাওয়ারপ্লেতে বোলিং করেছি। তাই আমাকে বল করতে হতো। এটাই পরিকল্পনা ছিল। উইকেটটা থেমে আসছিল আর বলও নিচে নেমে যাচ্ছিল। তাই ঠিক জায়গায় বল করার চেষ্টা করি। উইকেটটা স্লো ছিল। তাই আমি স্লো বলিং করার চেষ্টা করি। এটা আমায় কাজ দিয়েছে। দলের ব্যাটাররা বলল যে উইকেটটা একেবারেই সহজ নয়। তাই আমাদের মতে ১৬০ একটা ভালো টোটাল ছিল। রোহিত শর্মা ও সূর্যকুমার যাদবের সেই পার্টনারশিপটা দুর্দান্ত ছিল। ওরা প্রয়োজনে বাউন্ডারি হাকাচ্ছিল, আবার প্রয়োজনে স্ট্রাইক রোটেট করছিল। এই মুহূর্তে বার্বেডস নিয়ে কিছু ভাবছিনা। এই পুরস্কারটা নিয়ে আপাতত একটু আনন্দ করবো।”
‘সাতসকাল’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। সুপ্রভাত।