নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক প্রতিদিন সকালে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে গতকালের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। রাজ্য থেকে দেশ, কি ঘটলো গত ২৪ ঘন্টায়? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
বাংলায় নারী নির্যাতন নিয়ে সংসদে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
বুধবার, অর্থাৎ ৩রা জুলাই, সংসদে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তুলে ধরলেন রাজ্যে নারী নির্যাতনের কথা। সদ্য চোপড়ায় হওয়ার নৃশংস অত্যাচারের কথাও তিনি বললেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য যে এই ঘটনা নিয়ে বাংলার রাজনীতি হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরো বলেন যে একজন মহিলাকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হচ্ছে এবং তা দেখতে লোকে ভিড় জমিয়েছে। এগিয়ে গিয়ে সাহায্য করার বদলে ভিডিও করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। যদিও শুধু ঘাসফুল শিবির নয় সকল বিরোধীদেরই একহাত নেন তিনি এবং দাবি করেন যে তারা সংবিধান বিরোধী।
প্রশ্ন: এবার দেখার বিষয় যে এরপর পরবর্তী পরিকল্পনা কি হয় বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। কি পাল্টা উত্তর দেবে তারা বিজেপিকে? এমন ঘটনা রুখতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয় রাজ্যে দলের তরফ থেকে? বঙ্গ বিজেপির পরবর্তী স্ট্রাটেজি কি হয়? সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আর কিছুদিনের মধ্যে।
নির্দেশিকা দিল নবান্ন গণপিটুনি রুখতে! বিল নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে
প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসছে গণপিটুনির খবর এবং এর জেরে প্রাণও হারিয়েছে বেশ কয়েকজন। এই প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন যে মাস কাউন্সিলিং অত্যন্ত প্রয়োজন। অন্যদিকে নবান্নের তরফ থেকেও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে আইন হাতে তুলে নিলে কোনরকমেই তা বরদাস্ত করা হবেনা। কিন্তু তাতেও হয়নি কাজ। অবশেষে একাধিক নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন এই অপরাধ রুখতে।
প্রথমেই নবান্নের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এমন ঘটনা ঘটলে সরকারি আধিকারিকদের তড়িঘড়ি জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়াও কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছে ভিলেজ পুলিশ থেকে শুরু করে সিভিক ভলেন্টিয়ার সকলকেই। স্থানীয় ক্লাবগুলিকেও জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নজর রাখতে বলা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে। এই প্রসঙ্গে নবান্নের মত, যদি কেউ ভুয়ো খবর বা গুজব ছড়ায় তাহলে তার বিরুদ্ধে যেন অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
অন্যদিকে গণপিটুনি বিল নিয়েও লড়াই শুরু হয়েছে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপাল সি বি আনন্দ বোসের মধ্যে। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে গণপিটুনির শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, এমনই একটি বিল পাশ করা হয়েছিল বিধানসভায়। কিন্তু রাজ্যপাল সই না করায় তা আইনে পরিণত হয়নি। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন রাজ্যপাল। নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে বিল সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি রাজ্যের থেকে কিছু ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন, যা আজও তিনি পাননি এবং সেই কারণেই দেরি হচ্ছে। যদিও এরপর এই প্রসঙ্গে ঘাসফুল শিবিরের তরফ থেকে কোন জবাব পাওয়া যায়নি।
প্রশ্ন: এবার দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত কি কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হয় নবান্নের তরফ থেকে গণপিটুনি র রোখার জন্য। পরবর্তী পরিকল্পনা কি হবে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের? বঙ্গ বিজেপির পরবর্তী স্ট্রাটেজি কি হয়? এবার কি এই নিয়েও তারা মিছিলে নামবে? সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আর কিছুদিনের মধ্যে।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেলের মেয়াদ আরো বাড়ানো হলো দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের
সম্প্রতি আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেলে পাঠানো হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। এরপরই কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে দলের সকল কর্মী থেকে শুরু করে নেতা ও মন্ত্রীরা। সাহায্যের হাত বাড়ায় ইন্ডিয়া জোটও। জল গড়ায় দিল্লির আদালত থেকে শুরু করে শীর্ষ আদালত অবধি। এরপর নির্বাচনের জন্য তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হলেও নির্বাচন শেষে তিনি আবার ফিরে যান কারাগারে।
এরপরে লাগাতার আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয় আপের তরফ থেকে কেজরির মুক্তির জন্য। তবে এতকিছু করেও জেল থেকে আর ছাড়া পাচ্ছেনা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো। বুধবার, অর্থাৎ ৩রা জুলাই, ইডি ও সিবিআইয়ের জোড়া আবেদনে আরো তাঁর জেলের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হল দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালতের তরফ থেকে। আদালতের নির্দেশ আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে কেজরিকে।
এমনকি এদিন কেজরিওয়ালের তরফ থেকে আবেদন করা হয় অন্তত জেলে তাঁর চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর স্ত্রী সুনিতাকে যেন থাকতে দেওয়া হয়। কিন্তু সেটিও স্থগিত রাখে তারা। যদিও পুরোপুরি নাকচ করা হয়নি আদালতের তরফ থেকে এবং জানানো হয়েছে যে এই মামলার রায়দান দেয়া হবে চলতি মাসের ৬ তারিখে।
প্রশ্ন: এবার দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত আর কি পদক্ষেপ নেওয়া হয় আম আদমি পার্টির তরফ থেকে। তারা কি পারবে কেজরিকে কারাগার থেকে বার করে আনতে? এবার কি ময়দানে নামবে ইন্ডিয়া জোট কেজরিকে সাহায্যের হাত বাড়াতে? সংসদ কি উত্তাল হবে এই বিষয়ে? পাল্টা চাপে পড়বেনা তো ভারতীয় জনতা পার্টি? সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আর কিছুদিনের মধ্যে।
‘সাতসকাল’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। সুপ্রভাত।