দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা: আরজি কর হত্যাকান্ড মামলায় সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মন্ডলের জামিনের প্রতিবাদ জানাতে শনিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, কলকাতার রাজপথে নামে জুনিয়র ডাক্তার ও মেডিকেল কর্মী থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ সকলেই। এদিন গোটা কলকাতা যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নেয়। রানী রাসমণি এভিনিউতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান অভয়া মঞ্চের সদস্যরা। অন্যদিকে, নিজাম প্যালেস ঘেরাও কর্মসূচি করতে গিয়েও পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে জড়ান কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা। করুণাময়ী থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সঙ্গে ছিলেন অভয়ার মা-বাবাও।
রানী রাসমণি এভিনিউতে অভয়া মঞ্চের উদ্যোক্তারা পুলিশি বাধার অভিযোগ তোলেন। তাদের বক্তব্য, “প্রথমে মাইক ব্যবহারে বাধা দেয় পুলিশ। পরে একটি ম্যাটাডোরের আয়োজন করা হয়। সেখান থেকে বক্তৃতা দেন অভয়ার মা-বাবা। কুশপুত্তলিকা দাহ করার কর্মসূচি পালন করার সময় পুলিশ এসে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। এক মহিলা আন্দোলনকারী ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান।”
অন্যদিকে, কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরাও নিজাম প্যালেস ঘেরাও অভিযান কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসা ও ধস্তাধস্তিতে জড়ায় তারা। এরপর নিজাম প্যালেসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি, স্লোগান ওঠান “তিলোত্তমা ভেবো না, সেটিং হতে দেব না।”
পাশাপাশি, করুণাময়ী থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত অভয়ার মা-বাবা ও জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে পা মেলান বহু সাধারণ মানুষ। জুনিয়র চিকিৎসকদের ৮জন প্রতিনিধি দল আধিকারিকদের প্রশ্ন করতে সিজিও কমপ্লেক্স পৌঁছে যান। জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, “শুধু সাধারণ মানুষ যে এখনো রাস্তায় রয়েছে এটা বোঝাতে নয়, আমরা সিবিআইকে এটাও বোঝাতে চাই যে বিচার ব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করা যাবেনা।” তিলোত্তমার বাবা বলেন, “আমাদের এভাবেই রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হবে বিচার পেতে হলে।” এছাড়া এসএফআইয়ের তরফ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয় কলেজস্ট্রিটে।