দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা: সম্প্রতি, ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে দেখা যায় এক সিরিয়াল অভিনেত্রী তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুনাল ঘোষ ও দেবাংশু ভট্টাচার্যকে গণপিটুনির হুমকি দিচ্ছেন। তা নজরে আসতেই কুনাল ঘোষ রসিকতার ছলে একটি পোস্ট করেন। সেটিই ফেলে দেয় শোরগোল। বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমর্থক ও কর্মীরা দাবি করেন যে ঘাসফুল শিবিরের মুখপাত্র মহিলাদের অপমান করেছেন। যদিও কুনাল ঘোষ নিজের ফেসবুক থেকে একটি পোস্ট করে স্পষ্ট করে দেন যে মহিলাদের অপমান করার উদ্দেশ্যে তিনি বলেননি এবং তাঁর পোস্টের ভুল অর্থ বার করা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতি নিয়ে এবার নিজের মুখ খুললেন বিশিষ্ট আইনজীবী দেবরাজ মল্লিক। অভিনেত্রীর সেই মন্তব্যের নিন্দা করে তিনি বলেন, “দেখুন আমাদের সমাজে মহিলা নিগৃহীত হলে চারিদিকে হইচই পড়ে যায়। কিছু মহিলা আছেন যারা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ করছেন বলে মনে করছেন যে তাঁরা শক্তিশালী। কিন্তু সামনাসামনি কোন একটি ওয়েব পোর্টালে বলা যে একটি মানুষকে, বিশেষত পুরুষ মানুষকে, মারবো অর্থাৎ ভায়োলেন্স, এটা কোথাকার ভদ্রতা? আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি যে মারবেন কথাটা বলছেন, এখন এই কথাটা যদি কোন পুরুষ মানুষের তরফ থেকে আসে কোন মহিলার ক্ষেত্রে, তাহলে পুরো সমাজ তেড়ে আসবে।”
তিনি আরো বলেন, “একটা ঠাট্টা-মিশ্রিত চালাকি কুনাল দা করেছেন। যদিও ওনাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনিনা। কিন্তু ওনার পোস্ট ফেসবুকে দেখি বা ওনার বক্তব্য টিভিতে শুনি, তাতে ওনাকে আমার বেশ ভালো লাগে। কিন্তু যাই হোক একটা ঠাট্টাসুলভ কথা কিন্তু উনি বলেছিলেন। ব্যঙ্গাত্মক নয়। সেটা দেবাংশু বাবুর পাত্রী সংক্রান্ত বিষয়ে। এবার সেখানে দাঁড়িয়ে যিনি মারার হুমকি দিলেন, তাহলে তিনি নিজের শিক্ষার পরিচয়টা দিয়ে দিলেন। তারা প্রয়োজনে ভিকটিম কার্ড খেলবেন আবার প্রয়োজনে দেখাবেন তারা প্রচন্ড শক্তিশালী। তারা আগে নিজেদের স্ট্যান্ড পয়েন্টটা ঠিক করুক।”
এছাড়াও আইনজীবী দেবরাজ মল্লিক আন্দোলনে যোগ দেওয়া ছেলেমেয়েদের নাচ-গানেরও তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “এটাকে হিন্দিতে বলে বেহুদা নাচ, যা একেবারেই শোভা পায়না কারণ তারা তাদের ফ্র্যটারনিটির একজনকে হারিয়েছেন। তারা কিন্তু একটা প্রতিবাদে রয়েছে। এক্ষেত্রে যদি দেখা যায় যে তারা তাদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ করে ফেলছে নাচ-গান করে, কখনো আবার মদ্যপানেরও খবর উঠে এসেছে। তাদের দেখে মনে হচ্ছে যে তারা যেন একটা উৎসবের মেজাজে এসে আনন্দ করছে।” আইনজীবী কপিল সিব্বলকে কুরুচিকরভাবে আক্রমণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা বিগত ৩৪ বছরের কালচার। এটা একটা অশিক্ষিতদের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।”