নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক প্রতিদিন সকালে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে গতকালের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। রাজ্য থেকে দেশ, কি ঘটলো গত ২৪ ঘন্টায়? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য! “নিট পরীক্ষায় দুর্নীতি মামলায় হাত রয়েছে সন্ত্রাসবাদীদের” অনুমান তদন্তকারীদের
দিন যত এগোচ্ছে তত চাপ বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর। আরও অস্বস্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের। নিট পরীক্ষায় দুর্নীতি মামলায় একাধিকবার মুখ পুড়েছে এনডিএ জোটের। এবার আরো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এলো মামলায়। মহারাষ্ট্রের এন্টি টেরেনিজম স্কোয়াডের হাতে দুই শিক্ষক আটক হয়। নাম সঞ্জয় তুকারাম যাদব ও জলিল ওমারখা পাঠান। লম্বা সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে সঞ্জয়কে ছেড়ে দিলেও, রাতেই গ্রেফতার করা হয় জলিলকে। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীদের অনুমান যে এই দুর্নীতির সঙ্গে জঙ্গিযোগ থাকতে পারে। প্রশ্নপত্র বিক্রি করে যে অর্থ হাতে এসেছে, তার একটা বড় অংশ যায় সন্ত্রাসবাদীদের কাছে।
প্রশ্ন: এবার দেখার বিষয় যে কিভাবে এই চাপ সামাল দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। কি চাল চলবে এবার বিরোধীরা? কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে? কোন পথে এগোচ্ছে এই অধ্যায়? আগামীদিনে কি একটি বড় বিক্ষোভ দেখা যাবে পরীক্ষার্থীদের তরফ থেকে? সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আর কিছুদিনের মধ্যে।
উত্তরপ্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ থেকে ৬জন গ্রেফতার
লোকসভা নির্বাচনে জয় পেলেও সেটা একেবারেই স্বস্তির জয় ছিলোনা বিজেপি সরকারের। একা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। অর্থাৎ অন্যান্য জোটসঙ্গীদের উপর এবার নির্ভর করে চলতে হবে গেরুয়া শিবিরকে। তবে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় তারা যখন নিট পরীক্ষায় দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসে। পাশাপাশি এবার আরও একটি বড় চাপ এলো যখন যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশ থেকে উত্তরপ্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার হলো ৬জন এবং এই ছয়জনই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। এছাড়াও যোগ রয়েছে আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশের এক ছাপাখানার কর্মীরও। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় যে অর্থের বিনিময়ে সে প্রশ্নপত্র বিক্রি করে। স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনা জনসমক্ষে আসতে প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্র সরকারের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে।
প্রশ্ন: এবার দেখার বিষয় যে কিভাবে এই চাপ সামাল দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। কি চাল চলবে এবার বিরোধীরা? কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে? কোন পথে এগোচ্ছে এই অধ্যায়? আগামীদিনে কি একটি বড় বিক্ষোভ দেখা যাবে পরীক্ষার্থীদের তরফ থেকে? সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আর কিছুদিনের মধ্যে।
সংসদ অধিবেশনের প্রথমদিনই বিক্ষোভ ইন্ডিয়া জোটের! কেন ঘটলো এমন ঘটনা?
দিল্লিতে ১৮তম সংসদ অধিবেশন হয় সোমবার, অর্থাৎ ২৪শে জুনে। সমস্ত রাজনৈতিক দলই উপস্থিত ছিলেন এদিন। কিন্তু প্রথমদিনই একেবারে হইচই পড়ে যায় সংসদে। শুরু থেকেই ভিতরে ও বাইরে সংবিধানের কপি হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ইন্ডিয়া জোট। বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠায় ইন্ডিয়া জোটের সমস্ত দলের নেতারা। সকলেই দাবি করে যে সংবিধান বাঁচাতে প্রথমদিন থেকেই বিক্ষোভে নেমেছেন তাঁরা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দাবি করেন যে বিজেপি সরকারের আসল উদ্দেশ্য সংবিধানে আঘাত আনা। কিন্তু কোনভাবেই গেরুয়া শিবির তা করে উঠতে পারবেনা। একই সুরে সুর মেলালেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ও। তিনি দাবি করলেন যে রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখে চুক্তি করা একেবারেই অগণতান্ত্রিক।
প্রশ্ন: এবার দেখার বিষয় যে পরবর্তী স্ট্র্যাটেজি কি হবে গেরুয়া শিবিরের। ইন্ডিয়া জোটের তরফ থেকে কি পরিকল্পনা করা হবে? আগামীদিনে আর কি দেখা যাবে সংসদে? ইন্ডিয়া জোট কি পারবে এনডিএ জোটকে চাপে ফেলতে? নাকি পাল্টা চাপ দেবে কেন্দ্র সরকার? কোথায় এগোচ্ছে এই বিষয়টি? সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আর কিছুদিনের মধ্যে।
নবান্নে বৈঠকে পুরসভার পুরপ্রধান ও প্রশাসকদের ধমক দিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়
লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় অপ্রত্যাশিতভাবে বড় ব্যবধানে জয় পায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। কোনভাবেই দাগ কাটতে পারেনি গেরুয়া শিবির। তাদের তরফ থেকে যে আশা করা হয়েছিল, তা একেবারেই করে দেখাতে পারেনি তারা। কিন্তু পুরসভাগুলিতে খুব একটা ভালো ফল করতে সফল হয়নি ঘাসফুল শিবির, যা রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলেছে দলের সুপ্রিমো, তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরপরই তিনি নবান্নে একটি বৈঠক ডাকেন পুরসভার পুরপ্রধান ও প্রশাসকদের নিয়ে এবং ধমক দেন সকলকে এবং স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন যে কারোর কাজেই তিনি সন্তুষ্ট নন। পাশাপাশি, দেন একাধিক নির্দেশিকাও।
প্রশ্ন: এবার দেখার বিষয় যে আগামীদিনে এর ফল কি হবে? কিভাবে এই চাপ সামাল দেবে তৃণমূল কংগ্রেস? পরবর্তী পরিকল্পনা কি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? বিজেপির তরফ থেকে কি স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হবে? কোথায় এগোচ্ছে এই অধ্যায়? সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আর কিছুদিনের মধ্যে।
‘সাতসকাল’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। সুপ্রভাত।