নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। দেশের প্রতিটা প্রান্তে, কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে ছয় রাজ্যে নিয়োগ করা হলো বিশেষ পর্যবেক্ষক
আর মাত্র ১৬ দিন! তারপরেই শুরু হবে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন, অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই, অধিকাংশ দল নিজেদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ্যে এনে ফেলেছে। তবে এখনো বাকি অনেকেই। এছাড়াও প্রচার ও জনসভা চলছে জোরকদমে। জয়কে পাখির চোখ করে সমস্ত রাজনৈতিক দলই বইয়ে দিচ্ছে প্রতিশ্রুতির বন্যা। পাশাপাশি, বিরোধী দলগুলির দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে চালিয়ে যাচ্ছে আক্রমণও। সবমিলিয়ে, এবারের লড়াই যে হাড্ডাহাড্ডি হবে তা কার্যত স্পষ্ট।
কিন্তু এরই মাঝে আবার বোমা ফাটালো নির্বাচন কমিশন। কি এমন ঘটলো? মোট ছটি রাজ্যের জন্য তাদের তরফ থেকে নিয়োগ করা হলো বিশেষ পর্যবেক্ষক। তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। কোনরকমের অশান্তি বা অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
লোকসভা নির্বাচনের ঘন্টা বাজানোর পর থেকেই কড়াকড়ি শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিচ্ছে তারা। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে তাদের তরফ থেকে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রার্থীদের উপরও কড়া নজর রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনে পাঠানো হচ্ছে নোটিশও। আবার বিভিন্ন পদে করা হচ্ছে পরিবর্তনও। সবমিলিয়ে, নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা করার দরকার, তারা সব করে চলেছে।
তবে এরই মাঝে আরো একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো নির্বাচন কমিশন। বাংলা, বিহার, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশায় বিশেষ পর্যবেক্ষক ও পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করলো তারা। বাংলায় বিশেষ পর্যবেক্ষক ও পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অলোক সিনহা ও আইপিএস অনিল কুমার শর্মা। বিহারে বিশেষ পর্যবেক্ষক ও পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস মনজিৎ সিং ও বিবের দুবেকে।
মহারাষ্ট্রে বিশেষ পর্যবেক্ষক ও পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে ধর্মেন্দ্র এস গাঙ্গোয়াড় ও এন কে মিশ্রকে। ওড়িশায় বিশেষ পর্যবেক্ষক ও পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে যোগেন্দ্র ত্রিপাঠী ও রজনীকান্ত মিশ্রকে। উত্তরপ্রদেশে বিশেষ পর্যবেক্ষক ও পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে অজয় ভি নায়েক ও মনমোহন সিংকে। অন্ধ্রপ্রদেশে বিশেষ পর্যবেক্ষক ও পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে মোহন মিশ্র ও দীপক মিশ্রকে। এবার দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত এই বদল ঘটানোর পর কি হয় এই ছয় রাজ্যগুলিতে।
রামনবমীর দিন খেলা হবেনা কেকেআর-রাজস্থান ম্যাচ! কবে হবে সেই খেলা?
দেখতে দেখতে ১১ দিন কেটে গেল চলতি আইপিএলের। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ টিম নিজেদের খাতা খুলে নিয়েছে জয়ের রূপে। তবে বাকি এখনো কয়েকজন। প্রায় প্রতিদিনই ক্রিকেটপ্রেমীরা সাক্ষী হচ্ছে জমজমাটি ম্যাচের। অধিকাংশ ম্যাচই গড়িয়েছে শেষ ওভার পর্যন্ত। অর্থাৎ ম্যাচগুলি হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। সুতরাং এই জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের উন্মাদনা যে তুঙ্গে তা বেশ স্পষ্ট।
কিন্তু টুর্নামেন্ট চলাকালীনই একটি বড় সিদ্ধান্ত নিতে হল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই)। কি সেই সিদ্ধান্ত? এগিয়ে নিয়ে আসা হলো কলকাতা নাইট রাইডার্সের আসন্ন ম্যাচ। রাজস্থান রয়েলসের বিরুদ্ধে ম্যাচ হবেনা ১৭ তারিখে। তার পরিবর্তে ম্যাচ খেলা হবে একদিন আগে অর্থাৎ ১৬ই মার্চে। কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে দেশজুড়ে রামনবমী উদযাপন করাকে।
আর দুই সপ্তাহ বাদে গোটা ভারতবর্ষে পালন করা হবে রামনবমী। ইতিমধ্যেই এই উৎসবকে ঘিরে উন্মাদনা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে রামভক্তদের। এছাড়াও দেশের বেশকিছু ধর্মীয়স্থানে শুরু করে দেওয়া হয়েছে সাজগোজের কাজ। সবমিলিয়ে, এই উৎসবের প্রাক্কালে এক আলাদা রূপ নিয়েছে গোটা ভারত। সুতরাং কড়া নিরাপত্তা যে প্রয়োজন, তা বেশ ভালো করেই স্পষ্ট।
কিন্তু এবার রামনবমীর জন্য ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়েলসের মধ্যে ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিল বিসিসিআই। কলকাতা পুলিশ মনে করছে যে রামনবমীর দিন ম্যাচ খেলানো হলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবেনা। অন্যদিকে কেকেআরও জানিয়ে দেয় যে ইডেন ছাড়া অন্য মাঠে তারা খেলবেনা। এমন পরিস্থিতিতে নাইটরা জানিয়ে দেয় যে ১৬ এপ্রিল খেলা সম্ভব হবে এবং সেই অনুযায়ী ওদিনই খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অন্যদিকে, ১৬ই এপ্রিলের গুজরাট টাইটান্স ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ খেলা হবে ১৭ তারিখে আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।
উল্লেখ্য, চলতি আইপিএলে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম দুটি ম্যাচেই জয় পেয়েছে তারা এবং এর জেরে পয়েন্টস টেবিলে সুবিধাজনক অবস্থায়ও রয়েছে। ব্যাটিং হোক কি বোলিং, দুই বিভাগই রয়েছে দারুন ফর্মে। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে চলতি মৌসুমে পরবর্তী অধ্যায় খেলার একটা বড় সম্ভাবনা রয়েছে শ্রেয়াস আইয়ারদের। এখানেই শেষ নয় বহু ক্রিকেটপ্রেমী এমনও দাবি করেছেন যে এবারের খেতাব হয়তো যেতে পারে নাইটদের ঝুলিতেই। কি হবে তা বলবে সময়।
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।