রাজনীতির থেকে খেলার ময়দান, গত সপ্তাহের সেরা খবরগুলি কোনটি?
নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক নতুন সপ্তাহের শুরুতে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে গত সপ্তাহের সেরা সব খবর। রাজ্য থেকে দেশ, কি ঘটলো শেষ সপ্তাহে? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বঙ্গ বিজেপিতে যোগ দেওয়া
গতসপ্তাহের সেরা নিউজের তালিকায় প্রথম স্থানে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বঙ্গ বিজেপিতে যোগদান। ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করার দিনই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে কোন রাজনৈতিক দলের টিকিট পেলে তিনি নিশ্চয়ই ভেবে দেখবেন। যেমন কথা তেমন কাজ। ইস্তফা দিয়েই তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এবং জানিয়ে দেন যে তিনি গেরুয়া শিবিরের পতাকা ধরবেন।
বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের উপস্থিতিতে প্রাক্তন বিচারপতি তাদের পতাকা হাতে তুলে নেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি রীতিমতো তুলনা করেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে। তিনি বলেন, “আমি তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়বো বলেই বিজেপি দলে নিজের নাম লিখিয়েছি। আমার এটা ভেবে খুব ভালো লাগছে যে আমি এমন একজন দলের সদস্য হয়েছি যার মাথার উপর রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মতো ব্যক্তিত্বরা। এই মুহূর্তে আমার ও গোটা দলে প্রধান লক্ষ্য এটাই হলো বাংলা থেকে তৃণমূলকে সরানো।”
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসও বিন্দুমাত্র দেরি করেনি পাল্টা কটাক্ষ করতে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “উনার আসল মুখোশটা সকলের সামনে খুলে গেছে।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়ও একই সুর শোনা যায়। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে কলকাতার একটি সভা থেকে তিনি প্রাক্তন বিচারপতিকে বিজেপি বাবু বলে কটাক্ষ করেন এবং বলেন, “বিজেপি বাবু বিচারপতির চেয়ারে বসে বলছেন বিজেপিতে যোগদান করার কথা। আপনারা কি করে এদের থেকে ন্যায়ের আশা রাখেন।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে জানান, “আপনি যেখানেই দাঁড়াবেন সেখানেই আমি ছাত্রদের নিয়ে যাব। আপনি ওদের চাকরি কেড়েছেন। এবার গোটা বাংলা আপনার বিচার করবে।”
কি হতে পারে এবার বঙ্গ রাজনীতিতে 👉🏻 রাজনৈতিক মহল মনে করছে যে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বঙ্গ বিজেপিতে যোগদান করা চাপে ফেলতে পারে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে। এখানেই শেষ নয় অনেকে এটাও মনে করছেন যে এবার গেরুয়া শিবির ধীরে ধীরে মজবুত হবে এবং বাংলায় আরো বেশকিছু জায়গা দখল করতে সফল হবে। যদিও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেমন ফলাফল হয়, সেটা দেখার বিষয়।
কাটলো সমস্ত জট! তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেডের দিনই খেলা হবে কলকাতা ডার্বি ম্যাচ
গতসপ্তাহের সেরা নিউজের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে চলতি আইএসএলের ফিরতি ডার্বি ম্যাচের জট কাটা। যেদিন ডার্বি ম্যাচ হওয়ার কথা, অর্থাৎ ১০ই মার্চ, সেদিন একটি ব্রিগেডের ঘোষণা করে রাজ্যে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রথমদিকে জানানো হয়েছিল যে সেদিন ম্যাচ খেলা হবেনা। স্বাভাবিকভাবে হতাশায় পড়ে যায় দুই দলের সমর্থক সহ সকল ফুটবলপ্রেমী। ছুটির দিন এমন ‘হাই ভোল্টেজ ম্যাচ’, দেখতে পাবেনা ভেবে ভেঙে পড়ে সকলেই।
বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের সঙ্গে আলোচনায় বসে আয়োজক ইস্টবেঙ্গল এবং সেখানে ৯ তারিখে খেলার প্রস্তাবও রাখা হয় লাল হলুদ ক্লাবের তরফ থেকে। কিন্তু তাতেও না করে দেয় পুলিশ। তাদের বক্তব্য ব্রিগেডের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবেনা। অবশেষে লাগাতার প্রচেষ্টা দেয় সফলতা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ১০ই মার্চই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মুখোমুখি হবে আন্তনিয় হাবাস লোপেজ ও কার্লেস কুয়াদ্রতের ছেলেরা।
তবে যেই সময় খেলা শুরু হওয়ার কথা, অর্থাৎ সন্ধ্যে সাতটায়, তা হবেনা। তার পরিবর্তে নির্ধারিত সময়ের ঘন্টাখানেক বাদে খেলা শুরু হবে। যদিও দুই দলের সমর্থকদের বাড়ি ফেরার কথা মাথায় রেখে ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে পরিবহন মন্ত্রী থেকে শুরু করে কলকাতার মেট্রোরেলে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয় পর্যাপ্ত বাস ও মেট্রোর জন্য।
এই সমস্যাগুলি মেটার পর, দেখা দেয় টিকিট নিয়ে সমস্যা। মোহনবাগান সমর্থকরা ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে দাবি করেন যে, সবুজ-মেরুন গ্যালারির টিকিটের দাম লাল-হলুদ গ্যালারির টিকিটের চেয়ে বেশি হওয়ায়, তাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে আয়োজকদের তরফ থেকে। যদিও ইস্টবেঙ্গল একটি বিবৃতির মাধ্যমে এর পেছনে কারণের কথা জানান। তাতে বলা হয়েছে যে সর্বত্রই একই নিয়ম হয় টিকিটের দাম নিয়ে এবং শেষবার মুখোমুখি হওয়ায় মোহনবাগান নিজেদের সমর্থকদের জন্য টিকিটের দাম কমিয়েছিল। এবার সেই একই কাজ করে দেখিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। যদিও এরপরে তারা আরো বলেন যে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে গোটা ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনায় বসা হয় এবং অবশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে সকল ফুটবলারদের কথা মাথায় রেখে টিকিটের মূল্য একই হবে।
কি হতে পারে এই ম্যাচে 👉🏻 ‘প্লে অফ’ খেলার রাস্তা বন্ধ ইস্টবেঙ্গলের। অন্যদিকে, টুর্নামেন্টে এখনো টিকে রয়েছে মোহনবাগান। সুতরাং মনে করা হচ্ছে যে এবার ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তুলবে সবুজ-মেরুন শিবির। তবে দিনের শেষে আসল ফলাফল কি হয় সেটাই দেখার বিষয়।
নবীন-প্রবীণ মিশ্রণে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয় ভারতের
‘হিট’ নয় একেবারে ‘সুপার হিট’ হল নবীন-প্রবীণ জুটি! ধর্মশালায় পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের অন্তিম ম্যাচে একেবারে চোখের নিমেষে উড়ে গেল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। একদিকে, তরুণদের মারকুটে ইনিংস আবার অন্যদিকে সিনিয়রদের বিধ্বংসী বোলিং। সবমিলিয়ে ভারতের মাটিতে একেবারে গোহারান হারলো বেন স্টোকসরা। এক ইনিংস ও ৬৪ রানে ম্যাচ জিতলো ভারত। অর্থাৎ সিরিজের ফলাফল শেষে গিয়ে দাঁড়ালো ৪-১। তবে ম্যাচের প্রথম দিন থেকেই ইংল্যান্ডকে চাপে রেখেছিল রোহিত ব্রিগেড। ব্যাটিং হোক কি বোলিং, দুই বিভাগকেই রীতিমতো অপেশাদার দেখায় ‘মেন ইন ব্লু’র সামনে।
প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড তোলে ২১৮ রান। কুলদীপ যাদবের ফাইফার ভেঙে দেয় ইংল্যান্ডের বড় রান বোর্ডে তোলার পরিকল্পনা। অন্যদিকে, লিড নিতে নেমে একেবারে ইংল্যান্ডের উপর চড়াও হয় টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটাররা। একদিকে রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের সাজানো-গোছানো শতরান। অন্যদিকে, অর্ধশতরান এসেছে তিন তরুণ ব্যাটারের ব্যাট থেকে – যশস্বী জয়েসওয়াল, সারফারাজ খান ও দেবদত্ত পাদিক্কাল। শুধু লিড নয়, একেবারে বড় ব্যবধানে লিড নিতে সফল হয় ভারত। ২৫৯ রানে এগিয়ে যায় তারা। জবাবে সেটা টপকাতে নেমে, ১৯৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। তবে এবার ফাইফার নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ম্যাচের সেরা হন কুলদীপ যাদব এবং সিরিজের সেরা ঘোষণা করা হয় যশস্বী জয়েসওয়ালকে।
তবে পঞ্চম টেস্ট শুরু হওয়ার আগে দুই দলের তরফ থেকে বিশেষ সম্মান দেওয়া হয় রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও জনি বেয়ারস্টোকে। কারণ দুজনেই খেলেন নিজেদের শততম টেস্ট। অশ্বিনকে নিজের স্ত্রী ও সন্তানদের উপস্থিতিতে সম্মান দেওয়া হলেও, বেয়ারস্টোর বিষয় একটি বড় বক্তৃতা দেন জো রুট, যা শুনে রীতিমতো কেঁদে ফেলেন তিনি।
সিরিজ জয় প্রসঙ্গে দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় বলেন, “প্রচন্ড গর্ববোধ হচ্ছে ম্যাচ ও সিরিজ, দুটোই জিতে। প্রথম টেস্টে হার ধাক্কা দিয়েছিল ঠিকই তবে বরাবরই আমাদের দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ক্ষমতা রয়েছে কামব্যাক করার এবং সেটা তারা করেও দেখিয়েছে। যদিও বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার এই সিরিজে খেলেন, তবে আমাদের দেশের প্রতিভার অভাব নেই। দলের তরুণ ক্রিকেটাররা বেশ ভালো পারফর্ম করেছে। সত্যি বলতে গেলে ওদের থেকে আমি অনেককিছু শিখেছি। অধিনায়ক হিসেবে রোহিতও দারুন কাজ করেছে। ওর মতো অধিনায়ক খুব কমই দেখা গেছে। যেটা আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে, সেটা হলো যে আমাদের দলে যতগুলো তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে, সবাই ওর থেকে অনেককিছু শিখেছে।
কি মনে করা হচ্ছে 👉🏻 ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে এই বড় জয় আগামীদিনে আরও শক্তিশালী করে তুলবে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে। এখানেই শেষ নয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটাই যে ভবিষ্যতের জন্য এখন থেকেই ক্রিকেটার তৈরি করা শুরু হয়ে গেছে দলের তরফ থেকে। এবার দেখার বিষয় যে বিদেশের মাটিতে কেমন পারফর্ম করে দেখায় টিম ইন্ডিয়ার এই তরুণ ব্রিগেড। তা জানা যাবে শীঘ্রই।
অবশেষে সব অপেক্ষার হলো অবসান! সিবিআইয়ের জালে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশাহ শেখ শাহজাহান
সন্দেশখালি কান্ড নিয়ে উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি থেকে শুরু করে বাম-কংগ্রেস জোট সকলেই। এখানেই শেষ নয়, এমনকি রাজ্য পুলিশের ভূমিকাকেও কটাক্ষ করে বিরোধী দলগুলি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই বাংলায় এসে সভামঞ্চ থেকে এই বর্বরতার ঘটনা তুলে ধরে তুলোধোনা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন যে সব অভিযোগ মিথ্যে এবং এগুলি করা হয়েছে তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য। সবমিলিয়ে, এই নৃশংসতা প্রকাশ্যে আসতে একেবারে ব্যাকফুটে চলে গেছে তৃণমূল। মনে করা হচ্ছে যে লোকসভা নির্বাচনের আগে ভয়াবহ ঘটনা চাপে ফেলতে পারে শাসক শিবিরকে।
ঘটনার উৎস ৫ই জানুয়ারি, যখন একদল ইডি আধিকারিক সন্দেশখালি এসে পৌঁছয় রেশন বন্টন দুর্নীতির তদন্ত করতে। তবে সেখানে গিয়ে বিশ্রীভাবে আক্রান্ত হন তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে এবং তারপর থেকেই গা ঢাকা দেওয়া শুরু হয় শাহজাহানের। ৫৬ দিন ধরে লুকিয়েছিলেন তিনি। তবে এর মাঝে রণক্ষেত্রর চেহারা নেয় গোটা সন্দেশখালি। লাঠি ও ঝাঁটা হাতে প্রতিবাদ করতে নামে সেখানকার মহিলারা এবং দাবি করে যে দিনের পর দিন শেখ শাহজাহান ও তার সাগরেদরা জমি দখল থেকে শুরু করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের তুলে নিয়ে এসে পার্টি অফিসে যৌন নির্যাতন করতো। এরপর পরিস্থিতি উগ্র হয়ে যায়। রাজ্যের বিরোধী দলগুলি থেকে শুরু করে কেন্দ্রের দল সকলেই সেখানে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখোমুখি হয়।
অবশেষে ৫৬ দিন বাদে মিনাখা থেকে পুলিশি জালে ধরা দেয় শাহজাহান। তবে সিবিআইয়ের হাতে যাওয়া নিয়ে জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আদালত রায় সিবিআইয়ের পক্ষে দিলেও সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য, তবে সেখানেও ধাক্কা খায় তারা। অবশেষে নানা টানানপড়ানের সিবিআই নিজেদের হেফাজতে পায় সন্দেশখালির বাঘকে। যদিও গ্রেফতারের পর তিনি প্রথমবার সাংবাদিকদের সামনে জোকা ইএসআই হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার সময়ে। তিনি বলেন, “সব অভিযোগ মিথ্যে, আল্লাহ আছে। সব বিচার হবে।” যদিও এখনো তদন্ত চলছে। এবার দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত আর কি বেরোয়ে।
এবার কি হতে পারে 👉🏻 শাহজাহানের গ্রেফতারি রাজ্য সরকারকে ব্যাকফুটে ফেলতে পারে, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এছাড়াও মনে করা হচ্ছে যে শাহজাহান মুখ খুললে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উঠে আসতে পারে। এবার দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত আর কি তথ্য উঠে আসে। তা জানা যাবে শীঘ্রই।
‘ফিরে দেখা সাতদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামী সপ্তাহে আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো সপ্তাহের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। সুপ্রভাত।