ইন্ডিয়া জোটের ঘোষণা থেকে কুনাল ঘোষের ভবিষ্যদ্বাণী, কি হলো আজ সারাদিন?
নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। রাজ্য থেকে দেশ, কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
কাটাহা দিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানের সূচনা
দীর্ঘদেহী গঙ্গা এবং শীর্নদেহী ফুলহার নদীর মধ্যবর্তী বক্ষদেশকে দীর্ঘকাল ধরে শিক্ষা দীক্ষায় আলোকিত করে আসা দিয়ারা অঞ্চলের যতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের মধ্যে সুবিখ্যাত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম কাটাহা দিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়। হাটি হাটি পা পা করে এই শিক্ষালয় টি ৭৫ বছর অতিক্রম করতে চলেছে। এই পৌনে ১০০ বছরের সাধনার মাধ্যমে বিকশিত হয়েছে বহু মহীরুহ। এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের মধ্যে অনেক জন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক,মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, কলেজের প্রিন্সিপাল,বিদ্যালয় এর শিক্ষক-শিক্ষিকা, হাই এবং হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের হেডমাস্টার-হেড মিস্ট্রেস, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সিভিল অফিসার, আর্মি অফিসার, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, পঞ্চায়েত লেভেল থেকে আরম্ভ করে পশ্চিমবাংলার বিধানসভার সদস্য, সমাজ কর্মী, লেখক, সাংবাদিক হয়ে দেশকে সেবা দান করে চলেছে।
রতুয়া থানার অন্তর্গত এই বিদ্যালয়টি উত্তর মালদার পশ্চাদপদ এলাকার শিক্ষাক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সকলের নজর কেড়েছে। এই শিক্ষা কেন্দ্রটির প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী এবং বর্তমান শিক্ষার্থী, পরিচালন কমিটি, শিক্ষক-শিক্ষিকা সর্বসম্মতভাবে পঁচাত্তর বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য আয়োজন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রস্তাবিতভাবে অনুষ্ঠানটি উদযাপিত হবে জুন মাসের ২২-২৩ তারিখে। গত ১৭ মার্চ বিদ্যালয় ভবনে প্রাক্তনী এবং শিক্ষক দের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয় তাতে এই আয়োজনের বিশেষ বিশেষ বিষয় আলোচিত হয়, এই সভায়, গোপাল চন্দ্র প্রামাণিক, স্বপন চক্রবর্তী, অতুল চন্দ্র মন্ডল, ড: নাজিবর রহমান, পলাশ মুখার্জী, চিন্ময় কুমার দাস, আাশারি মন্ডল, দেবেন যাদব, গোরা মজুমদার, বিধু বাবু সহ ৩০ জন সদস্যের উপস্থিতিতে কর্ম পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়। সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে প্রোগ্রাম সার্বিকভাবে সাফল্যমন্ডিত হবে বলে সকলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ফের ভবিষ্যদ্বানী কুনাল ঘোষের! কি বললেন তিনি?
সম্প্রতি, লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। এরপরই সকল রাজনৈতিক দল নেমে পড়েছে নিজের দলের হয়ে প্রচার করতে। এছাড়াও প্রার্থী বাছাই করার উপরও মনোযোগ রয়েছে সকলের। সবার লক্ষ্য একটাই এবং সেটা হল যে যার রাজ্যে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখা বা বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসকদলকে ভালো ফলের মাধ্যমে ধাক্কা দেওয়া। সবমিলিয়ে, ভোটযুদ্ধ একেবারে তুঙ্গে পৌঁছে গেছে দেশজুড়ে।
কিন্তু এরই মাঝে বাংলায় তৃণমূলের দাপট নিয়ে একটি বড় মন্তব্য করে ফেললেন দলের বিশিষ্ট নেতা কুনাল ঘোষ। নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি টুইটের মাধ্যমে তিনি স্পষ্ট করে দিলেন যে বাংলায় ক্ষমতা আবার তৃণমূলের ঝুলিতেই আসবে। এখানেই শেষ নয়, প্রাক্তন মুখপাত্রের আরো বক্তব্য যে শতাংশের ভিত্তিতে শীর্ষে থাকবে তৃণমূল এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকবে গেরুয়া শিবির। তবে বাম-কংগ্রেস জোট যে এখনো শূন্যই থাকবে, সেটা থেকে অনড় তিনি।
কয়েকদিন আগে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ভবিষ্যদ্বানী করেছিলেন কুনাল ঘোষ। নিজের দেওয়া একটি ভিডিও বার্তায় প্রাক্তন মুখপাত্র দাবি করেছিলেন যে আসন্ন নির্বাচনে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস পাবে ৩০ থেকে ৩৫টি আসন এবং বাকিগুলি যাবে বিজেপির ঝুলিতে। তিনি বলেছিলেন, “দেখুন ৩০ থেকে ৩৫টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত। বাম-কংগ্রেস জোট একটিও আসন পাবেনা। পুরোপুরি শূন্যতে যাবে ওরা। আর রইল কথা বিজেপির, তাহলে সেক্ষেত্রে আমরা দেখবো যে কিভাবে ওদের তিন-চারটে আসনের মধ্যে বেঁধে রাখা যায়। আমাদের টার্গেট ৪২শে ৪২, যার মধ্যে ৩০-৩৫টা নিশ্চিত। এবার দেখার বিষয় যে এরপর আমরা আর কতটা এগোতে পারি।”
রবিবার ফের তিনি ভবিষ্যদ্বাণী দেন এই প্রসঙ্গে। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কুনাল ঘোষ লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে তৃণমূল কংগ্রেস এবার বাংলায় ৩০-৩৫ আসন পাবে। সংখ্যা বাড়ার সম্ভনা রয়েছে। ভোট শতাংশে দেখতে গেলে গড়ে ৫৮-৬২% ভোট তৃণমূলের কাছে যাবে। বিজেপির ৩০-৩২% ভোট পাবে। আসন সংখ্যা পাঁচ থেকে এগারোর মধ্যে থাকবে। বাম এবং কংগ্রেসের আসন শূন্য হবে। এটা ২৪/৩/২৪এর পরিস্থিতি অনুযায়ী বললাম।”
কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়াতে দিল্লির রামলীলা ময়দানে ইন্ডিয়া জোট করবে মহামিছিল
দিন যত এগোচ্ছে, ততই উগ্র হয়ে উঠছে দিল্লি দখলের লড়াই। বিরোধী হোক কি শাসক, সকলেই জয়কে পাখির চোখ করে এখন নিজেদের প্রস্তুতির গতি বাড়িয়ে ফেলেছে। একদিকে কেন্দ্র সরকার একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছে নিজেদের আয়োজিত সভা থেকে। আবার অন্যদিকে বিরোধী দলগুলিও লাগাতার আক্রমণ করে চলেছে। সবমিলিয়ে, এই মুহূর্তে একটা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে গোটা ভারতবর্ষ। সকলেই ময়দানে নেমে পড়েছে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে বা শাসকদলকে টেক্কা দিতে।
কিন্তু এরই মাঝে আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, তথা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। এরপর রীতিমতো চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় চারিদিকে। বিজেপি বিরোধী দলগুলি কড়া নিন্দা করে এই গ্রেফতারির। এছাড়াও রাতারাতি পাল্টে যায় দিল্লির রাজনৈতিক পরিস্থিতি। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে জোরদার ধস্তাধস্তিতে জড়ায় আপ কর্মী ও সমর্থকেরা। এমনকি বিজেপি সদর দপ্তর পৌঁছানোর রাস্তাগুলিতেও জলকামান হাতে নেওয়া নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। আটক করা হয় দলের দুই মন্ত্রীকেও।
তবে এবার অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ গোটা আপ দলকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ইন্ডিয়া জোট। রবিবার, অর্থাৎ ২৪শে মার্চ, জোটের নেতারা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। উপস্থিত ছিল বাম ও কংগ্রেস দলের নেতারাও। সেই সাংবাদিক সম্মেলনে আপ মন্ত্রী গোপাল রাই বৃহত্তর আন্দোলনের কথা ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, “অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পরিবারকে গৃহবন্দী করার পাশাপাশি দলের সদর দপ্তর অবধি সিল করা হয়েছে। ব্যাপারটা হচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিগুলিকে কাজে লাগিয়ে সকল বিরোধী নেতাদের ভয় দেখাতে চাইছেন। ওনার সকল পথের কাটা উনি সরানোর চেষ্টা করছেন। হেমন্ত সোরেন থেকে তেজস্বী যাদব, সকলের বিরুদ্ধেই মামলা ঝুলছে। তবে আমরা এর প্রতিবাদ করতে আগামী ৩১শে মার্চ রামলীলা ময়দানে মহামিছিল করবো।” যদিও অনুমতি পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে এখনো চিন্তা রয়েছে। তবে কংগ্রেস আশাবাদী এই বিষয়ে। কি হয় তা বলবে সময়।
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।