নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। রাজ্য থেকে দেশ, কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রা শেষে মুবাইয়ে কংগ্রেসের র্যালি! থাকার কথা ইন্ডিয়া জোটের তাবড় তাবড় নেতাদের
বাজলো যুদ্ধের ঘন্টা। শনিবার, অর্থাৎ ১৬ই মার্চ, নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ঘোষণা করে দেওয়া হয় লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ। নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার সরাসরি জানিয়ে দেন যে এবারের নির্বাচন হবে সাত দফায়। যদিও তার আগে থেকেই লাগাতার প্রচার ও প্রার্থী বাঁচাই করতে শুরু করে দিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলি। সকলের লক্ষ্য একটাই আর সেটা হল নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখা।
কিন্তু তার আগে রবিবার মুম্বাইতে শেষ হচ্ছে হাত শিবিরের ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রা। এদিন বাণিজ্য নগরীতে যাত্রা শেষে র্যালির আয়োজন করেছে জাতীয় কংগ্রেস। তবে র্যালির চেয়েও বিশেষ চমক হল ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের উপস্থিতি। জানা গিয়েছে যে অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব থেকে শুরু করে উদ্ধব ঠাকড়ে, সকলেই উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও থাকার কথা মল্লিকার্জুন খারগে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীরও।
তবে এদিন থাকবেনা সিপিএম এবং সিপিআই। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি দলীয় কাজে থাকবেন ত্রিপুরায় এবং সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা থাকবেন দিল্লিতে। তবে অন্দরের খবর যে কংগ্রেসের এমন মনোভাবে একেবারে খুশি নন দুই বাম দলের শীর্ষ নেতারা এবং অভিযোগ করেছে যে কোন রাজ্যেই হাত শিবির দুই বাম দলকে ১-২টি আসন অবধি ছাড়তে চাইছেনা। এক বাম নেতা বলেন, “আমরা ইন্ডিয়া জোটের বিরুদ্ধে কথা বলছিনা বা তাতে ফাটল ধরাতে চাইছিনা। তবে আসন রফার বিষয় কংগ্রেসের আরো নমনীয় হওয়া উচিত ছিল।”
রাজনৈতিক মহল মনে করছেন দেশের সর্বোচ্চ নির্বাচনের আগে এমন মতপার্থক্য ব্যাকফুটে ফেলতে পারে ইন্ডিয়া জোটকে। এখানেই শেষ নয়, তাদের আরো বক্তব্য যে এর জেরে অনেক ভোট কাটাকাটি হতে পারে যা বাড়তি সুবিধা দেবে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। এবার দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ভারতের সবচেয়ে পুরানো দলের পক্ষ থেকে।
“আইপিএল হবে ভারতেই” জল্পনায় ইতি টানলেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ
আর কদিন বাদেই শুরু হবে ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। ইতিমধ্যেই সমস্ত দল এবং ক্রিকেটার জোরদার প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে। তবে মাঝে লোকসভা নির্বাচনের জন্য খবর আসে যে বিসিসিআই হয়তো বিদেশের মাটিতে খেলাতে পারে আইপিএলের বাকি পর্ব। স্বাভাবিকভাবেই, অনেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এই খবর শুনে। বহু ক্রিকেটপ্রেমী সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে এই সংক্রান্ত পোস্ট করে নিজেদের দুঃখ প্রকাশ করে।
কিন্তু এবার সকল ক্রিকেটপ্রেমীদের মুখে হাসি ফোটানোর মতো খবর দিলেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। অবসান ঘটালেন সমস্ত জল্পনার এবং ক্রিকবাজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিলেন যে লোকসভা নির্বাচন হলেও আইপিএল ভারতের মাটিতেই হবে। তবে তিনি এটাও স্পষ্ট করে দিলেন যে নির্বাচনের দিনক্ষণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই বাকি সূচি তৈরি করা হবে।
সম্প্রতি, অর্ধসূচি ঘোষণা করা হয় আসন্ন আইপিএলের এবং জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে বাকি ঘোষণা করা হবে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার পর। শনিবার, অর্থাৎ ১৬ই মার্চ, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় কবে শুরু হবে ভোট। তবে তার আগে একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে যা দাবি করে যে আসন্ন আইপিএল মরসুমের দ্বিতীয় পর্ব খেলা হতে পারে বিদেশের মাটিতে। খবর উঠেছিল যে ২০২০ সালের মতো ফের দুবাইয়ে বল গড়াবে। টিভিতে বসে ম্যাচ দেখার ক্ষেত্রে অসুবিধে না হলেও, চাপে পড়েছিলেন তারা যারা স্টেডিয়ামে গিয়ে ম্যাচের আনন্দ উপভোগ করতে বেশি ভালোবাসেন।
তবে সকল ক্রিকেটপ্রেমীদের মুখে হাসি ফোটাতে বিন্দুমাত্র দেরি করেননি বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। ক্রিকবাজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “না বিদেশের মাটিতে আইপিএল হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। সব ম্যাচ এখানেই খেলা হবে। নির্বাচনের দিনক্ষণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই সমস্ত ম্যাচ খেলা হবে।” ভারতের ক্রিকেট সমর্থকেরা এই খবর পেয়ে অত্যন্ত খুশি হয়। ইতিমধ্যেই, অনেকে ভবিষ্যদ্বাণী শুরু করে দিয়েছেন টুর্নামেন্ট প্রসঙ্গে। কেউ বলছেন ধোনি, আবার কেউ বলছেন বিরাট ও রোহিতের মধ্যে একজন এবার ট্রফি তুলতে পারে। এবার দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত কোন দল এবারের খেতাব নিজেদের ঝুলিতে তোলে।
কেন লোকসভা নির্বাচনের সাথে বিধানসভা নির্বাচন করানো যাবেনা কাশ্মীরে? কারণটা ঠিক কি?
বেজে গেছে লোকসভা নির্বাচনের দামামা। শনিবার দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেয় নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। সাত দফার এই ভোট এবার শুরু হবে ১৯শে এপ্রিল এবং ভোট গণনা হবে ৪ঠা জুন। কিন্তু ২০১৯ সালের মতো ২০২৪এও বিধানসভা নির্বাচন করানো সম্ভব হবেনা কাশ্মীরে।
গতবার কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল যে মেহেবুবা মুফতির সরকার থেকে বিজেপি প্রত্যাহার করায় নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকছে। বলে রাখা ভালো যে সেই বছর ৩৭০ ধারা বাতিল করে উপত্যকাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে দেওয়া হয়। কিন্তু এবার বলা হয়েছে যে রমজানের মাসে সমস্যায় পড়তে পারে প্রার্থীরা এবং এই কারণেই তা করা সম্ভব নয়। তবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে আদালতের নির্দেশ মেনে সেপ্টেম্বর মাসেই নির্বাচন করানো হবে।
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।