#মাউন্ট_এভারেস্ট নাকি #মাউন্ট_রাধানাথ_শিকদার
কলকাতার জোড়াসাঁকোয় ১৮১৩ সালের অক্টোবর মাসে জন্ম হয় বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি গনিতজ্ঞ রাধানাথ শিকদার মহাশয়ের। রাধানাথ বাবুর যখন ১৯ বছর বয়স তখন তাঁর শিক্ষক হিন্দু কলেজের (প্রেসিডেন্সি কলেজ) অঙ্কের অধ্যাপক Professor John Tytler তাঁকে Survey of India র জরিপের কাজের জন্য সুপারিশ করেন। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার দ্বারা পরিচালিত Survey of India মাসিক তিরিশ টাকা বেতনে রাধানাথ বাবুর সাথে আরও সাতজনকে জরিপের কাজে “COMPUTER” হিসেবে নিয়োগ করে।
সেই সময় তৎকালীন Surveyor General of India George Everest একজন গনিতে পন্ডিত ভারতীয় “Computer” এর সন্ধান করছিলেন। অন্যদিকে সংসারের দারিদ্রতা কাটানোর জন্য রাধানাথ বাবুরও রোজগারের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। স্যার Tytler এর সুপারিশে রাধানাথ বাবু ১৮৩১ সালের ডিসেম্বর মাসে Trigonometrical Survey of India তে যোগদান করেন। তিনি Geodetic Survey র কাজে নিযুক্ত হন George Everest এর অধীনে। বয়স অল্প হওয়ার কারণে George Everest এর প্রথম দিকে রাধানাথ শিকদারের উপর বিশেষ ভরসা ছিল না। কিন্তু রাধানাথ বাবু নিজের কাজের দক্ষতার দ্বারা নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেন এবং George Everest সাহেবের পছন্দের পাত্র হয়ে ওঠেন। ১৮৪৩ সালে Everest সাহেব কর্ম বিরতি নেন এবং সেই জায়গায় তার ই অনুগামী Colonel Andrew Scott Waugh সাহেব যুক্ত হন। এরপর Waugh সাহেবের নির্দেশে রাধানাথ বাবু ভারতের পর্বত গুলির উচ্চতা পরিমাপের কাজে নিয়োজিত হন। এই কাজ করা কালিন তিনি ৩২ ডিগ্রি ফারেনহাইট (০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এ ব্যারোমিটার রিডিং কমানোর জন্য নিজেই সূত্র উদ্ভাবন করেন। ১৮৫১ সালে যখন Survey Manual প্রকাশ পায় তখন Technical এবং Mathematical অংশটির সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দেওয়া হয় রাধানাথ শিকদারকে। এই Manual প্রতিটি কর্মচারীর কাজে লাগে।
১৮৫২ সালে রাধানাথ শিকদার আবিষ্কার করেন কাঞ্চনজঙ্ঘা পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ নয়, তার চাইতেও বড় শৃঙ্গ আছে। Peak -XV এর উচ্চতা পরিমাপ করে (২৯০০০ ft) তিনি ঘোষণা করেন ঐটিই সর্বোচ্চ। ১৮৫৬ সালে Waugh সাহেব এই সংবাদটি ঘোষণা করেন এবং পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ Peak -XV কে তিনি Mount Everest নামে অভিহিত করেন George Everest এর নাম অনুসারে।
যে পর্বতকে বিশ্বের দরবারে সর্বোচ্চ মান দান করলেন রাধানাথ শিকদার সেই পর্বতের নামকরণে কোথাও তাঁর উল্লেখ করা হল না। বাস্তবে অনেক তথ্য থেকে জানা যায় যার নামে নামকরণ করা হল Peak -XV কে সেই George Everest সাহেব নাকি কোনওদিনও Mount Everest দর্শন পর্যন্ত করেননি। অবশ্য দেশ ঐ সময় স্বাধীন থাকলে হয়ত আজ Peak -XV এর নাম হত – “Mount Radhanath Shikdar”। আরও একটি দূঃখের বিষয় হল এই যে, ১৮৫১ সালের Survey Manual এ রাধানাথ শিকদারের অবদান উল্লেখ করা হলেও ১৮৭৫ সালে তাঁর মৃত্যুর পর যখন Survey Manual এর Third Edition বের করা হয় তখন তার মধ্যে কোথাও রাধানাথ শিকদারের কথা উল্লেখ করা হয়নি। ব্রিটিশ সরকারের এই অস্বীকৃতির ফলে এবং ভারতীয়দের মধ্যে এ বিষয়ে সঠিক তথ্যের চর্চার অভাবে আজও অনেক ভারতীয় ভ্রান্ত ধারণা করেন Mount Everest George Everest সাহেবের এর আবিষ্কার।
#Anti_Corruption_Day
২০১৭ সালে Corruption Monitoring System – India Corruption Study (CMS – ICS) তার সার্ভের পরে – হিমাচল প্রদেশকে দেশের সবচেয়ে কম দূর্নীতিযুক্ত রাজ্য হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করে। সেখানে ৩% বাড়ি থেকে জানানো হয় যে তারা দূর্নীতির শিকার হয়েছেন।
২০১৯ সালের India Corruption Survey এর সময় দেশের মোট ২০ টি রাজ্যে সার্ভে করা হয় (Excluded – J&K, Himachal Pradesh, 8 North-Eastern States of India, lakshadweep, Puducheri, Andaman, Daman & Diu)। India Corruption Survey, 2019 এর রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যায় –
দিল্লি, হরিয়ানা, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, গোয়া, উড়িষ্যার জনগণ কম দূর্নীতির শিকার হয়েছেন বিগত বছরগুলিতে। অপরদিকে রাজস্থান, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, ঝাড়খণ্ড, পাঞ্জাবের জনগন অতিমাত্রায় দূর্নীতির শিকার হয়েছেন বিগত বছরগুলোতে। ২০১৯ এর সার্ভেতে কোন রাজ্যে কী ধরনের দূর্নীতির পরিমাণ বেশি দেখা গেছে তারও উল্লেখ করা হয়েছে।
🔸According to Survey – State wise % of Citizen that paid a bribe:
0 to 49% – Gujrat, Haryana, Delhi, Odisha, West Bengal, Goa, Kerala.
50 to 59% – Uttarakhand, Madhyapradesh, Chhattisgarh, Andhrapradesh, Maharashtra.
60 % and above – Punjab, Rajasthan, Uttar Pradesh, Bihar, Jharkhand, Telangana, Karnataka, Tamilnadu.
🔸Authority citizen paid most bribe to:
Punjab, Haryana, Delhi, Uttar Pradesh, Jharkhand, Goa, Kerala – > Electricity Board, Transport Office, Tax Office etc.
Uttarakhand, Bihar, Rajasthan, Odisha, Maharashtra, Telangana, Andhrapradesh, Karnataka, Tamilnadu -> Property Registration and Land issues.
Madhyapradesh -> Municipal Corporation
Gujrat, Chhattisgarh, West Bengal -> Police.
সম্পূর্ণ রিপোর্টটি ভালো করে স্টাডি করলে বোঝা যায় যে, যে জনগণ দিবারাত্র দেশের সকল অবনতি ও দূর্দশা বিষয়ে সরকারের দোষারোপ করে সেই জনগনই কিন্তু ওতপ্রোতভাবে দূর্নীতির সাথে যুক্ত। সরকার কেবল সেই দূর্নীতিগ্রস্ত জনগনের প্রতিনিধি মাত্র। একটা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে শুরু করে বিশ্বাসযোগ্যতা পর্যন্ত ধুলিসাৎ হয়ে যায় এই দূর্নীতির কারনেই। ভারতের সাধারণ নাগরিকরা যতক্ষণ না নিজেরা দূর্নীতি মুক্ত হবেন, ততক্ষণ দেশের সামগ্রিক উন্নতি ঘটবে না। দূর্নীতি হতে হতে দেশ এমন জায়গায় চলে গেছে যে, আমরা প্রত্যেকেই কিছু না কিছু দূর্নীতি করেই ফেলছি। বুঝতেও পারছি না। আসলে আমাদের অনেকের সেই সাধারণ জ্ঞানটাই নেই যে কোনটা দূর্নীতি হল কোনটা নয়। তাই পাশের জনের কাজের বিচার করার আগে এবার নিজের কাজের চুলচেরা বিশ্লেষণ করাই শুরু করা উচিত।