প্রিয় পাঠক নতুন সপ্তাহের শুরুতে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে গত সপ্তাহের সেরা সব খবর। তবে এবার থেকে প্রকাশিত হবে সপ্তাহের সেরা গল্পগুলি। এই সপ্তাহের সেরা গল্প ‘অদৃশ্য বদলা’।
লাক্ষাদ্বীপের উল্টো পদ্ধতি বিবাহ
লাক্ষাদ্বীপের সমাজ মাতৃতান্ত্রিক। এখানে প্রত্যেকটি গৃহের কর্ত্রী হলেন একজন নারী। বিবাহের পর পুরুষ বা মহিলা কেউই কারোর গৃহ ত্যাগ করেনা। শুধু স্বামীকে কিছু কর্তব্য পালন করতে হয়। যেমন প্রতি রাতে স্ত্রীয়ের গৃহে সাক্ষাৎ করতে হয় স্বামী কে। এটুকুই তাদের কনজুগাল লাইফ। এছাড়াও স্ত্রীকে বস্ত্র, চাল, নারকেল, গয়নাগাটি, সাজের জিনিস ও বিভিন্ন ধরনের উপঢৌকন স্বামীকে দিতে হয়। বিবাহের পর স্বামী নিজের স্ত্রীর পদবী গ্রহণ করেন। সন্তানরাও তাদের মায়ের পদবী লাভ করে। সন্তানরা মায়ের সাথে মায়ের বাড়িতেই বাস করে। এবং মায়ের বংশের বলে গণ্য করা হয় তাদের। ঠিক সেরকমই তাদের পিতার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। সেও তার মায়ের বাড়িতে থাকে এবং মায়ের বংশের পুরুষ হিসেবে গণ্য হয়। বিবাহের পর সে পত্নীর পদবী গ্রহণ করেন বলে সে তার স্ত্রী য়ের মায়ের বংশের অন্তর্ভুক্ত হয়।
সম্পত্তির অধিকারের ক্ষেত্রেও তেমনই নিয়ম। যদি একজন পুরুষ মারা যান, তাহলে তার সমস্ত সম্পত্তি তার নিজের মায়ের বাড়ির হয়ে যায়। সেই মৃত পুরুষের অর্থ বা সম্পত্তির উপর তার স্ত্রী বা সন্তানদের কোনো অধিকার থাকে না। কিন্তু একজন মহিলার মৃত্যু হলে তার সম্পত্তির উপর তার নিজের বাড়ির ও নিজের সন্তানদের অধিকার থাকে। লাক্ষাদ্বীপে একটি সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে যৌথ পরিবারের চল বজায় আছে। পরিবার ভাঙা বা আলাদা করার প্রবণতা এখানে খুবই কম বা নেই বললেই চলে। কারণ সম্পত্তি এখানে সকলের। সম্পত্তি ভাগ করা যাবে না, এমন ই নিয়ম।
লাক্ষাদ্বীপে খুব অল্প বয়সে বিবাহের রীতি এখনও প্রচলিত। এখানে পঁচিশ বছর বয়সের মধ্যেই বেশিরভাগ মানুষ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সামান্য ঝগড়া, সামান্য অপমান এখানে ডিভোর্স করার উপযুক্ত কারণ বলেই ধরা হয়। ৫৫ শতাংশ পুরুষ ও ৫১ শতাংশ মহিলা এখানে ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেন। ডিভোর্স ও একাধিকবার পূনর্বিবাহ এই স্থানে খানিক স্বাভাবিক ঘটনা।
বি.দ্র. – লাক্ষাদ্বীপের আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল বিশেষ একটি বীচ ছাড়া গোটা লাক্ষাদ্বীপে মদ ও নগ্নতা নিষিদ্ধ এবং পাবলিক প্লেসে স্মোক করাও নিষিদ্ধ। এছাড়াও আরও অনেক আশ্চর্য বিষয় এই স্থানে আছে।
যাহাই হউক, আমি কোনো মতামত বা বিশ্লেষণ দিলাম না। কিছু মতামত দিতে গেলেই লোকজন লাঠি সোটা নিয়ে তেড়ে আসেন।ডিডি নিউজের মত টুকরো খবর দিলাম। বিচার বিশ্লেষণ আপনাদের উপর।
“বিশ্ব-আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস”
কিছুদিন আগে একটা কথা পুরো শরীর-মনে ছেয়ে গেছিল l যে সমাজে প্রাণ বাঁচানো দায় , সেখানে আত্ম-সন্মান নিয়ে কথা বলাটা বাতুলতা ছাড়া অন্য কিছু নয় l পেশাগত কারণে , যে স্কুলে পড়াই , সেখানে বছরে আত্মহত্যার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেই l গতবছর ঠিক এই সময়ে একটি ফুটফুটে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীর অন্তিম-সজ্জায় , ভাঙা মন নিয়ে সামিল হয়েছিলাম l আসলে কিছু মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা থাকেই , কিন্তূ মনস্তাত্ত্বিকেরা বলেন , যিনি এই আত্মহননের পথ বেছে নিতে যাচ্ছেন , তিনি কাওকে না কাওকে , কোন না কোন ভাবে আভাস দেন l অনেক সময় সচেতনতার অভাবে আমরা সেগুলি হেলায় হারিয়ে ফেলি l আসলে আমাদেরও বোধ হয় দোষটা পুরোপুরি না l আসলে বিমূর্ত কিছু আকাশ-কুসুম বাসনার পিছনে ছুটতে ছুটতে আমরা , আমাদের নিজেদের স্বাভাবিকতা কে নষ্ট করে ফেলেছি l এই আত্মকেন্দ্রিক জীবন , অন্যের পিছিয়ে পড়া, তাদের সমস্যা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামাতে দেয় না l এ সময় সত্যি বড় অসময় l বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(হু ) (world health orgination)এর পরিসংখ্যান বলছে , বিশ্বে প্রতি বছরে প্রায় ৮লক্ষ মানুষ আত্মহত্যা করেন l ব্যক্তিগত জীবনে আমার কাছের বেশ কয়েকজনকে এই পথ বেছে নিতে দেখেছি ,সুতরাং এই বেদনার সুর আজও মাঝে-মধ্যে বেজে ওঠে মনে l একটি কথা বলব , জীবন অনেক বড় , আজকে যেটা সমস্যা বলে মনে হচ্ছে , আগামীতে গিয়ে দেখব , ওটা কোন সমস্যাই ছিল না l এটা আমার জীবনের অভিজ্ঞতা l জীবনটা কে প্রতি দিনের নিরিখে বাঁচবার চেষ্টা করা জরুরি l সত্যিই ত , tomorrow is an another day .আগামী মানেই আশা l আমাদের চাওয়া-পাওয়ার সমতা বিধান সুস্থিত মন গঠনে সহায়তা করে l প্রত্যেকে ভালো থাকুন l জীবন সত্যিই অনেক বড় l‘
ফিরে দেখা সাতদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামী সপ্তাহে আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো সপ্তাহের সব নজরকাড়া গল্প নিয়ে। ধন্যবাদ। সুপ্রভাত।