নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক নতুন সপ্তাহের শুরুতে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হয় সপ্তাহের সেরা গল্প। এই সপ্তাহের সেরা গল্প ‘রাশি হত্যাকারী’।
**আমি এই লেখার মাধ্যমে কোনো ভাবে জ্যোতিষ বিদ্যা কে অপমান করছি না এটি একটি কাল্পনিক কাহিনী।**
শহরে অনেক অপরাধ মূলক কাজ দিন প্রতিদিন বেড়েই চলছে , জনগণ রুষ্ট হয়ে পড়েছে কী করবে কেউ জানে না। সেইসময় এক অফিসার এলেন সেই শহরে নাম ধ্রুব ভট্টাচার্য। এসআই এর পরীক্ষায় পাশ করেছেন ৫ বছর হলো। খুবই শিক্ষিত মানুষ , এসআই পরীক্ষা তে প্রথম , ট্রেইনিংয়েও প্রথম সব কিছুতেই অস্বাভাবিক। নতুন শহরে এসেই দেখছেন অপরাধ ও নেশা বেড়েই চলছে তাই সে শক্ত হাতে সেগুলোকে দমানোর চেষ্টা করলেন। মাত্র তিন মাসে সব নিয়ন্ত্রণে আসলো। উচ্চ অধিকারিকরা খুবই খুশি তাকে সম্মান জানানো হলো। রিপোর্টার এসে তাঁকে চারিদিক থেকে এসে ধরে ফেললেন এক রিপোর্টার তাঁকে জিজ্ঞেস করলো : ” আপনি কীভাবে সব নিয়ন্ত্রণ করলেন”?
ধ্রুব: পুলিশের চোখে কেউ ফাঁকি দিতে পারেনা , আর আমরা অপরাধীদের থেকে চিন্তায় অনেক এগিয়ে তাই সব সম্ভব আমাদের কাছে। এদিকে কেউ একজন সেই ভিড়ের মাঝে তাঁকে দেখে যাচ্ছে।
এরপর ২ সপ্তাহ কেটে গেলো সকাল সকাল ধ্রুব থানায় এলো ফাইল ঘাটতে গিয়ে তাঁর কাছে একটা ফোন এলো ।
ধ্রুব : হ্যালো!
অপরজন : বলছি আমাদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটা খুন হয়েছে ! আপনারা আসুন স্যার!
ধ্রুব: ঠিক আছে আসছি ।
এই এলাকা টি বেশ পোর্স এলাকা সবাই বড়লোক পুলিশ প্রথমে ভাবলো যে হয়তো ছিনতাই কেস কিন্তু পরে বুজলো ইটস আ মার্ডার! লাশ আর মাথার খুলি মনে হচ্ছে কেউ চিবিয়ে নিয়েছে। লোকটি একজন বড় ব্যবসায়ী বাড়ির লোকজন দুদিনের জন্য বাইরে গিয়েছে সেই ফাঁকেই হয়তো খুন হয়েছে আবার কোথাও কোনো চিহ্ন ছাড়েনি খুনি।
তাঁর ঠিক দুদিন বাদে আরেকটি খুন একইভাবে । এইবারের লোকটিও বড় নামকরা একজন ব্যবসায়ী ।
পুলিশ ভাবছে এটা হয়তো টাকা দেয় নি জন্য কোনো গ্যাং মেরে ফেলেছে কিন্তু ডাকাতির কোনো লক্ষণ নেই ! এদিকে উপর থেকে চাপ আসছে মিডিয়া থেকে চাপ আসছে , পুলিশ কোনো কথা বলছে না । হঠাৎ একদিন থানা তে একজন এলো এবং বললো এসআই ধ্রুব এর সাথে কথা আছে খুন নিয়ে , সঙ্গে সঙ্গে তাকে কেবিনে নিয়ে যাওয়া হলো ।
ধ্রুব : হ্যাঁ বসুন! বলুন আপনি কী কী জানেন ?
সে: আমার নাম অমর।
ধ্রুব : হ্যাঁ অমর বলুন ?
অমর: দেখুন আমি একজন জ্যোতিষী! আমি এই কেস গুলো দেখেছি এঁদের খুনের সময় গুলো একী এবং রাশি গুলো প্রথম থেকে শেষ অবধি !
ধ্রুব : দেখুন এই কেস নিয়ে আমার কেস নিয়ে অনেক মাথা ব্যথা অতএব দয়া করে আপনি চলে যান ।
অমর : আমার কথাটা শুনুন !
ধ্রুব : না প্লিজ আপনি যান।
অমর: ঠিক আছে তবে পরের বারের টা বৃষ রাশির ব্যক্তি হবে ।
ধ্রুব তাঁকে মন দিয়ে শুনল কিন্তু ভাবলো কোন্ পাগল এসেছে মাথা খেতে ধুৎ! ঠিক তাঁর ৫ দিন পরে আরেকটা খুন এবার সে একজন বড় বিল্ডার নামকরা। হঠাৎ ধ্রুব এর মাথায় এলো রাশি চেক করি দেখা গেলো সত্যি সত্যিই সে বৃষ রাশি। এবারের জনের পা কেটে ফেলা হয়েছে মারার পর। থানায় এসে সঙ্গে সঙ্গে সে জিজ্ঞেস করলো সেদিনের সেই যুবকের কি নম্বর টা আছে ? সে কী দিয়ে গিয়েছে ?? হাবিলদার এসে নম্বর টা দিলো । সে ফোন করলো বললো আস্তে তাঁকে।
অমর আসলো এবং বললো কী স্যার বলেছিলাম না ? ধ্রুব চুপ করে সব শুনল ! সে বলল আমি আপনাকে সাহায্য করবো কে কখন খুন হতে পারে তাঁর জন্য । ধ্রুব রাজি হলো । অমর বললো এরপরের টা হবে মাস পড়ে ঠিক ৩ ও ৬ কারণ সেটা মিথুন রাশি এবং সে কোনো মিডিয়া তে কাজ করা ব্যক্তি । পুলিশ পুরো দমে লেগে পরলো, সব মিডিয়া বড় বড় লোকদের পেছনে পুলিশ লেগে পরলো ।
ঠিক ৩ তারিখে একটা খুন হলো সে মিডিয়ার কিন্ত একজন ইউটিউবার ধ্রুব বললো অমরকে তুমি যে বললে মিডিয়া লোক তাহলে এটা কিভাবে ? অমর বললো ইউটিউব ও তো মিডিয়া তাই না ? সে ভাবতে লাগলো তাহলে এবার ? ৬ তারিখ তো আরেকটা খুন হবে ! এবারের টা কীভাবে আটকানো যায় ?
৬ তারিখ আসলো এবার একজন নামি মিডিয়ার লোক খুন হলো তারপর পুরো শহর জুড়ে আন্দোলন এবার সিপি ধ্রুব কে বকা দিলেন এবং বললেন যত তাড়াতাড়ি হোক কেস সলভ করো।
ধ্রুব ভাবতে লাগলো আর নিজেকে বলল এদের সবার মধ্যে কী কমন আছে ? যেটা সে দেখতে পাচ্ছে না ।
অমর কে বলল এরপর কে বলল যে সবচেয়ে একা কর্কট ও মীন রাশি ।
ধ্রুব বললো কেন তাঁরাই কেনো অমর বললো একটা জিনিস দেখো খুনি কিন্তু তাঁদের কেই মারছে যাঁরা একা এবং হালকা তুলনামুলক ভাবে ।
ধ্রুব : সিংহ , মকর, ধনু, বৃশ্চিক , কুম্ভ এরা কি করলো ? এদের কেনো টার্গেট করলো না ?
অমর: এরা সকলেই ভারি রাশি এবং শক্তিমান এদের ও এখন মারবে না মারলে পরে মারবে ।
ধ্রুব : তাহলে সে ভীতু এবং একা জনদের মারে বেশি করে ।
অমর : হ্যাঁ ঠিক ।
থানায় এসে ভাবতে লাগলো এদের মধ্যে কি কমন ! ভাবতে ভাবতে সে বললো তাঁদের সম্পর্কে যা কিছু তথ্য আছে দিতে । তাঁর এক এ এসআই তাঁকে বললো –
এ এসআই – স্যার এরা সকলেই বড়লোক এবং অনেক ডোনেশন দিয়ে থাকে , মানুষের অনেক কল্যাণ করেছেন এরা জীবিত থাকাকালীন।
ধ্রুব : হয়তো এটাই খুনীর পছন্দ নয়।
ধ্রুব সব তথ্য জোগাড় করতে থাকলো দেখলো খুনি তাঁদের পূর্ণিমা এবং অমাবস্যা এই দিন গুলিতে হত্যা করেছে। ধ্রুব : অমর খুনি এই পূর্ণিমা ও অমাবস্যা কেই
কেনো নির্ধারণ করলো ?
অমর: কারণ পূর্ণিমাতে মানুষের মন উপরের দিকে ওঠে এবং অমাবস্যা তে মন নিচের দিকে ।
ধ্রুব : তাহলে যেই রাশি গুলোকে সে নির্ধারণ করেছিল সেগুলো তাহলে ওইদিন গুলোতে কমজোর হয়ে যায় ?
অমর : আজ্ঞে হ্যাঁ স্যার । তবে সামনে একটা শুভ দিন আছে মনে হয় এই রাশি গুলো একই জায়গায় যাবে ।
ধ্রুব : কোন দিন ?
অমর : অক্ষয় তৃতীয়া!
ধ্রুব : তাহলে কি মন্দিরে ?
অমর : হ্যাঁ
কথা বলতে বলতে তাঁর কাছে একটা ফোন আসলো সে অমর কে চলে গেলো সেখানে গিয়ে সে কিছু লিড পায় । একটা ভিডিও । সেটা দেখে সে কিছুটা অবাক যেটা আমরা পরে জানতে পারবো ।
এরপর সে অপেক্ষা করে সেই দিনটির এবং তাঁর সহকারীকে বলে গ্রহ এবার খপ্পরে পরবে। তাঁর চোখে একটা আগুন দেখতে পারে ।
সেইদিনটি চলে আসে সে অমর কে বলে আচ্ছা তুমি বলো কোথায় যেতে হবে ?
অমর : মন্দির !
ধ্রুব : আচ্ছা তুমি চলো আমাদের সাথে !
অমর : কেনো ? আমি কী করব গিয়ে ?
ধ্রুব : আরে কিছু না ! চলো তো !
এরপর সে শিব মন্দিরে নিয়ে যায় তাকে এবং অপেক্ষা করে ।কিন্তু কোনো কিছু হয় না চারিদিকে পুলিশ টহল দিচ্ছে । অমর বলে – হয়তো সে আন্দাজ করেছে ।
ধ্রুব : না ! কারণ খুন এখানে হবে না ।
অমর : তাহলে কোথায় হবে ! আর আমরা এখানে কেনো ?
ধ্রুব : খুন হবে এক হোটেলে যেখানে সেই সব রাশি গুলি রয়েছে । তাঁদের মধ্যে একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক , একজন ডাক্তার এবং একজন বিজ্ঞানী আছেন । তারা সবাই নামকরা এবং পুরস্কারে ভূষিত ।
অমর : তাহলে আমরা এখানে কি করছি ? কিলার তো ওখানে যাবে তাঁদের মারতে ?
ধ্রুব : হাসি দিয়ে ! না কিলার এখানেই আছে । সে নিজেকে খুব চালাক মনে করে কিন্তু সে একটা ছোট্ট ভুল করে বসেছে ! জানো কি ?
অমর : কী?
ধ্রুব : আমি যখন পুরস্কার প্রাপ্ত হলাম এবং দুটি খুন হওয়ায় পর রিপোর্টার যখন এলো সেখানে সে উপস্থিত ছিল । আর সেই কিলার যাদের মেরেছে তার আগে সে তাদের সাথে দেখা করেছিল যেটা সিসি টিভি তে ধরা পড়েছে । জানো কে ?
অমর : কে ? কে ?
বলতে বলতে সে দৌড়াতে লাগলো পুলিশ তাঁর পেছনে ধ্রুব বললো দেব দাড়াও নইলে আমি তোমাকে গুলি করবো ! স্টপ নাও! অনেক দূর দৌড়া দৌড়ির পর গুলি চালালো ধ্রুব ঠিক সেটা অমরের পায়ে ।
ধ্রুব : নাও ইউ আর আন্ডার অ্যারেস্ট মিস্টার দেব চ্যাটার্জী।
এরপর হাসপাতাল থেকে সোজা লোক আপ এ নিয়ে আসা হলো । তাঁকে জিজ্ঞেস করলো ধ্রুব –
ধ্রুব : কেনো করলে খুন গুলো ?
দেব : আমি এই সমাজের ভালো দেখতে পারিনা ।
ধ্রুব : কেনো ?
দেব : ছোট বেলা থেকেই দেখতাম মা বাবা অন্যদের বেশি ভালোবাসতো । সবসময় বলতো তুই কিছু ভালো করতে পারবি না । আমার শিক্ষক রাও একী কথা বলতো আমি নাকি রাক্ষস । দৈবিক কাজ করতে পারব না । আমাকে অনেক মারতো।
ধ্রুব : তোমার ছোট ভাইয়ের হত্যা কে করেছিল ?
দেব : আমি করেছি হা হা হা কারণ ওকে সবাই বলতো খুব ভালো , মানুষ পশু পাখি সবাই ওর কাছেই আসতো কিন্তু আমার কাছে কেউ আসতো না তাই মেরে ফেলেছিলাম । জানো কি রাশি ?
ধ্রুব : মকর ! যে প্রকৃতির সাথে জড়িয়ে থাকে । যে মানুষের ভালো চায় ।
দেব : হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক ঠিক । ইউ আর রাইট অফিসার ।
ধ্রুব : মিনা কে কে মারলো ? যে তোমার সহপাঠী ছিল ? তোমার সাথায্য করতো ! যে তোমায় বুঝত ?
দেব : আমি মেরেছি ! হা হা হা। একদিন বলল ওর বিড়ালকে নাকি মেরে ফেলছি কারণ সে আমাকে আচর দিয়েছিল যার কারণে তাকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছিলাম । রাশি ধনু ।
ধ্রুব: বাকিরা কি করেছিল ।
দেব : ওরা সমাজে ভালো কাজ করছিল একদিন বাবা বলে দেখে শেখো তুমি তো কিছুই পারেনা তাই দেখো হতচ্ছাড়া ।
ধ্রুব : তাই ধরে ধরে এদের কেই মারলে এবং তাঁর আগে নিজের মা বাবা কেও ! এতো রাগ ! মা বাবা সন্তানের ভালো চায় আর তুমি নিজের পরিবারকেই শেষ করে দিলে ।
দেব : রাশি কি ছিল শুনবে ? বাবা – কুম্ভ মা – সিংহ হা হা হা!
ধ্রুব : ইউ স্কাউন্ডাল, সাইকো আই কিল ইউ ।
বলে ধ্রুব কে মারতে থাকলো কিছুক্ষণ পরে বললো তুমি আমায় কেনো এসে বললে ?
দেব : কারণ তুমি আমাকে চ্যালেঞ্জে করেছো তাই আর আমি হি হি হি তোমাকে দেখিয়ে দিতে চেয়েছিলাম অফিসার ইউ আর নাথিং হা হা হা।
ধ্রুব : সব পাগলের একী কথা আমার চেয়ে বড় কেউ নয় কিন্তু দেব তুমি মিস করে গেলে কয়েকটা জিনিস
এক : তুমি যেখানে যেখানে গিয়েছিলে সেখানে নিজের কিছু চিহ্ন দিয়ে গিয়েছিলে আর দুই নিজেকে ওভার কনফিডেন্ট মনে করেছিলে। আসলে তুমি তোমার দুই চোখ দিয়ে দেখেছো ! কিন্তু ভুলে গেছো তোমাকেও হয়তো ১০০ টা চোখ দেখছে । বুঝলে বাছা ?
দেব : হা হা অফিসার এখনও বৃশ্চিক বাকি হা হা তুমি পারবেনা আটকাতে আমায়।
ধ্রুব : দেখা যাবে দেব ! আমি সেদিনও বলেছি আজও বলছি পুলিশকে হারানো সম্ভব নয় । আমরা এক কাঠি উপরের ভাবী।
দেব : দেখতেই পারবে ?
এক মাস কেটে গেলো । মাস খানেক পরে দেব কে আদালতে তোলা হলো এবং সব তথ্য তাঁর দিকে যাওয়ার কারণে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হলো । ধ্রুব কে জজ সাহেব বাহোবা জানালো । কোর্ট থেকে বেরনোর সময় হঠাৎ করে দেব পাশে থাকা পুলিশের বন্দুক নিয়ে দাড়িয়ে পড়লো ।
ধ্রুব : বন্দুক নামাও দেব ( চিৎকার করে ) ।
দেব : অফিসার এখনও একটি রাশি বাকি ! বৃশ্চিক তাঁকে মারতে হবে তো ?
ধ্রুব : তোমাকে বলছি বন্দুক নামাতে !
বলতে বলতে দেবকে ভুল বশতঃ বুকে গুলি চালিয়ে দিল এক পুলিশ ।
ধ্রুব : না ! ডোন্ট সুট ইডিয়েট ।
দেখতে দেখতে দেব মাটিতে পড়ে গেলো চারিদিকে রক্ত।
দেব : অফিসার আই এম স্করপিয়ন ( বৃশ্চিক ) । দে লাস্ট পয়জন ।
ধ্রুব : ইয়েস ইউ আর ! ঠিক তুমি সেই শেষ বিশ ।
এরপর দেব মারা গেলো এবং ধ্রুব আরেকটি কেস সলভ করলো । কিছু মাস পর কিছু খুন হলো একসাথে যাদের মারার প্ল্যান করেছিল দেব কর্কট ও মীন । যেখানে খুন হয়েছিল সেখানে একটি দেওয়ালে লেখা ছিল ” আই এম বেক অফিসার ”
ধ্রুব : তাহলে কী দেব একা ছিলো না এই খুন গুলোতে ? তাহলে এ কে ? কে ?
ধ্রুব চিন্তা করতে লাগলো এবং বুম।
লেখক: পৃথ্বীশ সরকার
‘সপ্তাহের সেরা গল্প’ আজ এই পর্যন্তই। আগামী সপ্তাহে আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো সপ্তাহের সব নজরকাড়া গল্প নিয়ে। ধন্যবাদ। সুপ্রভাত।