নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। আজকের থিম ‘আইপিএল ২০২৪ ফাইনাল’। কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
রবিবার, অর্থাৎ ২৬শে মে, এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে খেলা হবে আইপিএল ২০২৪এর ফাইনাল। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই একে অপরের মুখোমুখি হবে কলকাতার নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। মেঝ ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমীদের উন্মাদনা এই মুহূর্তে তুঙ্গে পৌঁছে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে ইতিমধ্যেই পোস্টের বন্যা বইছে আইপিএলের ফাইনাল ঘিরে। কেউ দাবি করছে যে কলকাতা জিতবে আবার কেউ দাবি করছে যে হায়দ্রাবাদের ঝুলিতে উঠবে এবারের খেতাব। সবমিলিয়ে, বড় ম্যাচের আগে হইচই পড়ে গেছে চারিদিকে।
তবে বড় ম্যাচের আগে নিজেদের মনের কথা বা অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন দুই দলের তারকা ক্রিকেটার থেকে শুরু করে দলের মালিকরা। দুই পক্ষেরই দাবি যে এবার তাদেরই দল জিতবে। যদিও শেষ পর্যন্ত কার কপালে জুটবে জয়ী তকমা, তা জানা যাবে আর কিছুক্ষণের মধ্যে। দুই দলেরই ব্যাটিং ও বোলিং সমান শক্তিশালী। সুতরাং ম্যাচ যে হাড্ডাহাড্ডি হবে তা কার্যত স্পষ্ট। কে কাকে শেষ প্রান্তে এসে টেক্কা দেয়, সেটাই দেখার বিষয়। কোন দল হাসবে শেষ হাসি? সেটার উপর এই মুহূর্তে নজর রয়েছে দেশের সকল ক্রিকেটপ্রেমীর।
ফাইনালের আগে একরকম বোমা ফেললেন কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। তিনি বলেন, “বিশ্বকাপের পর আমি কষ্ট করছিলাম বড় ফরম্যাটে। যখন আমি এই ব্যাপারটা তুলি, তখন কেউই আমার সঙ্গে সহমত হয়নি। কিন্তু একই সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা ছিল আমার নিজের সঙ্গে আমার নিজেরই।” আইপিএল প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “যখন আইপিএলে এগিয়ে আসছিল, আমি যেটা দেখতে চেয়েছিলাম সেটা হল যে আমি যেন আমার সেরাটা তুলে ধরতে পারি আর যা পরিকল্পনা করেছি, সেগুলি যেন ঠিকঠাকভাবে মাঠে কাজে লাগাতে পারি। টেস্ট ক্রিকেট খেলার পর সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলা একেবারেই সহজ নয়। কিন্তু একবার মানিয়ে নিতে পারলে, সবকিছু সহজ হয়ে যায় এবং সুবিধে হয়।”
অন্যদিকে ফাইনালের আগে দলের সকল ক্রিকেটারের মনোবল চাঙ্গা করলেন দলের মালিক কিং খান, অর্থাৎ জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খান। এক সাক্ষাৎকারে তিনি প্রশংসা করেন খেলোয়াড়দের পারফরমেন্সের। তিনি বলেন, “কেকেআর বিশ্বের সেরা দল। কিন্তু একটা সময় গিয়েছিল যখন আমরা লাগাতার পরাজয়ের মুখোমুখি হচ্ছিলাম। আমার মনে আছে লোকে আমাদের জার্সি নিয়ে সেই সময় খুব সমালোচনা করতো। সকলে এটাই বলতো যে আমাদের জার্সি রং ভালো, কিন্তু দল নয়। মালিক হয়ে সেই সময় খুব দুঃখ পেয়েছিলাম। এমনকি ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও একই কথা বলতেন। গোটা বিষয়টা আমার কাছে খুব কষ্টকর ছিল।” এরপর দল ঘুরে দাঁড়ানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জিজি মেন্টর হয়ে আসায়, আমাদের দল যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেটা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। এই যাত্রা আমাদের একটা জিনিস শিখিয়েছে যে কিভাবে হারা উচিত এবং ‘পরাজিত’ তকমা গায়ে না লাগিয়ে রেখে এগিয়ে চলা উচিত।
অন্যদিকে, ফাইনালের আগে স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় অত্যন্ত খুশি সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ দলের তরুণ বিধ্বংসী ক্রিকেটার, তথা ওপেনার, অভিষেক শর্মা। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় আমার বাবা খুব খুশি হবে কারণ উনি নিজে একজন বাঁহাতি স্পিনার এবং আমার বোলিংয়ের উপর অনেক কাজ করেছেন। কোথাও না কোথাও আমি ভালো করেই জানতাম যে যদি আমি আমার বোলিংয়ের উপর বেশি কাজ করি তাহলে আমি নিজের দলের জন্য কিছু করতে পারবো। জুনিয়র ক্রিকেট থেকেই আমি বল হাতে উইকেট নিতাম এবং আমি এই সুযোগটার জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করেছিলাম।” এরপরই টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন তারকা যুবরাজ সিংয়ের বিষয়ে মুখ খোলেন অভিষেক। তিনি বলেন, “যতবারই আমার যুবি পাজির সঙ্গে বোলিং নিয়ে কথা হয়েছে, উনি আমাকে বলেছেন যে আমি ওনার চেয়েও ভালো বোলার হতে পারবো। এই জিনিসটা সব সময় আমার মাথায় থাকে এবং আমি মনে করি যে উনি আমার এমন বোলিং পারফরম্যান্স দেখে খুশি হয়েছেন।”
ফাইনালের আগে নিজের মতামত জানান দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও। তিনি বলেন, “যদি খেতাব পাই তাহলে এর চেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারেনা। তবে এই দৌড় কোথাও না কোথাও গিয়ে ঠিক শেষ হবেই। গত দুই বছর আমার খুব ভালোই গেছে, কিন্তু এর আগে আমি কোন টি-টোয়েন্টি দলকে নেতৃত্ব দিনি। তাই আমি জানতামনা যে কি আশা করবো। তবে সবকিছু যেন খুব দ্রুতই শেষ হয়ে গেল।”
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।