নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। আজকের থিম, কলকাতা নাইট রাইডার্সের আইপিএল ফাইনালে পৌঁছানো। কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
চলতি আইপিএলের প্রথম থেকেই ছন্দে ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ব্যাটিং হোক কি বোলিং, দুই বিভাগই রীতিমতো আতংক ধরিয়েছে বিপক্ষ দলের মনে। একদিকে যখন ব্যাট হাতে বিপক্ষ দলের বোলারদের গুঁড়িয়ে দিচ্ছে রিংকু-রাসেলরা, ঠিক তখন অন্যদিকে বল হাতে বিপক্ষ দলের ব্যাটিং অর্ডারের কোমর ভেঙে দিচ্ছে সুনীল-বরুণরা। সবমিলিয়ে, এই মুহূর্তে গোটা কলকাতা অপেক্ষায় রয়েছে নাইটদের আইপিএল জয়ের জন্য।
কিন্তু এবার কলকাতা নাইট রাইডার্স আরো একটি ধাপ এগিয়ে গেল আইপিএল ট্রফি জয়ের দিকে। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে হারিয়ে তারা চলে গেছে টুর্নামেন্টের ফাইনালে। শুধু জয় নয়, একেবারে বড় জয় পেয়েছে তারা। মঙ্গলবার, অর্থাৎ ২১শে মে, তারা প্যাট কামিন্সের হায়দ্রাবাদকে হারায় ৮ উইকেটে। সৌজন্যে মিচেল স্টার্কের বিধ্বংসী বোলিং এবং শ্রেয়স আইয়ার ও ভেঙ্কটেশ আইয়ারের মারকুটে ইনিংস। সবমিলিয়ে, একেবারে দাপটের সঙ্গে ম্যাচ নিজেদের নামে করে নিয়েছে নাইট বাহিনী।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মিচেল স্টার্ক বলেন, “আমরা ভালো করে জানতাম পাওয়ারপ্লে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। টুর্নামেন্টের দুটি দলের মধ্যে এটি একটি যারা পাওয়ারপ্লেতে দাপিয়ে বেরিয়েছে ব্যাট হাতে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল দ্রুত ওদের টপ অর্ডারের কোমর ভাঙ্গা এবং মিডল অর্ডারের দিকে পৌঁছানো। যেভাবে হেড আর অভিষেক টুর্নামেন্টে খেলেছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে ওরা উইথ পছন্দ করে এবং তা পেলেই ওরা আক্রমণ করে। আমরা বেশি করে বল সুইং করিয়েছি এবং ওদের কোন উইথ দিনি।”
এরপরই বাকি বোলারদের প্রশংসা করেন মিচেল স্টার্ক। তিনি বলেন, “এছাড়া আমাদের স্পিন বিভাগও গোটা টুর্নামেন্টে প্রভাবশালী প্রমাণিত হয়েছে। আমি খুব ভাগ্যবান যে দ্রুত ট্রাভিস হেডকে প্যাভিলিয়ন ফেরাতে পেরেছি। যদিও তা সবসময় সম্ভব হয়না, কিন্তু তবুও এবার তা করতে পেরে বেশ ভালই লাগছে। অন্যদিকে হার্ষিত রানা ও বৈভব আরোরাকে বোলিং করতে দেখে খুব ভালো লাগছে কারণ দুজনের মধ্যেই প্রতিভা রয়েছে। প্রচন্ড পরিশ্রম করে দুজনে। বিশেষ করে হার্ষিত এই বছর দারুন বোলিং করেছে। আমাদের বোলিং বিভাগ দুর্দান্ত। তাই কাউকে আলাদা করে ভালো বলা সম্ভব নয়। একজন অভিজ্ঞ ও বিদেশী ক্রিকেটার হয়ে এগুলি দেখতে বেশ ভালই লাগছে এবং এটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই যে ওরা দুজনেই আগামীদিনে শুধু আইপিএলেই নয় টিম ইন্ডিয়ার হয়েও উইকেট তুলবে।”
অন্যদিকে, ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নাইট অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারও নিজের বক্তব্য পেশ করেন জয় প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, “অত্যন্ত খুশি আমি পারফরম্যান্স নিয়ে। গুরুত্বপূর্ণ একটা দায়িত্ব ছিল আমার উপর। তবে আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং সেই কারণে ম্যাচ জিতেছি। সবাইকে একসাথে ভালো পারফর্ম করতে দেখে বেশ ভালই লাগছে। এমন এনার্জি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের কাছে। যখন আপনাকে অনেকটা দূর সফর করতে হয়, তখন বাস্তবে দাঁড়িয়ে থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকেই কাজে লাগানোর দিনটা ছিল এবং আমরা সেটা করে দেখেছি। এটা এখন আমাদের একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
এরপরই দলের বোলারদের প্রশংসা করেন শ্রেয়াস আইয়ার। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় আজকের ম্যাচে প্রতিটা বোলারই নিজের কাজ করে দেখিয়েছে। ওদের থেকে যখন যেটা প্রয়োজন ছিল আমি তা পেয়েছি। যেভাবে ওরা এসেই উইকেট তুলেছে, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। আজ আমাদের বোলারদের দেখে মনে হচ্ছিল যেন ওরা এসেই উইকেট নেবে আর ঠিক সেটাই ওরা করে দেখিয়েছে। যখন আপনার বোলিং বিভাগে একাধিক বোলার রয়েছে, তখন সেটা আপনার কাছে বেশ সুবিধাজনকই হয়। ওরা প্রতিটা ম্যাচে ভালো পারফর্ম করে চলেছে এবং আশা করি ফাইনালেও ওরা একই খেলা দেখাবে।”
এরপরই দলের ব্যাটিং নিয়ে মুখ খোলেন শ্রেয়াস আইয়ার। সকলের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “এটা গুড়বাজের প্রথম ম্যাচ ছিল এবং আমরা ওর থেকে যা চেয়েছিলাম, ও সেটাই করে দেখিয়েছে। ও শুরুটা বেশ ভালো দিয়েছে দলকে। তবে এই বিষয়টা আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে এই একই রান রেট যেন আমরা আগামী ম্যাচে নিয়ে চলি। দেখুন আমি জানিনা তামিল ভাষায় কথা বলতে। কিন্তু আমি বুঝি। ভেঙ্কটেশ আইয়ার বেশি তামিলেই কথা বলে কিন্তু আমি ওকে জবাবটা হিন্দিতেই দি। ফাইনালে আমাদের বেশ সচেতন থাকতে হবে আমাদেরকে মাটি আঁকড়ে ধরে খেলতে হবে এবং নিজেদের সেরাটা দিতে হবে ট্রফি জিততে হলে।”
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।