নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। আজকের থিম ‘পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচন’। কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তলব এড়ালেন তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী
লোকসভা ভোটের মাঝেও অব্যাহত কেন্দ্রীয় এজেন্সির আক্রমণ। তলব করা হয় তৃণমূল কাউন্সিলর, তথা বিধায়িকা অদিতি মুন্সির স্বামী, দেবরাজ চক্রবর্তীকে। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে তলব করলো সিবিআই। জানা গিয়েছে যে মঙ্গলবার, অর্থাৎ ২৮শে মে, তাঁকে নোটিশ পাঠায় তারা এবং বুধবার, অর্থাৎ ২৯শে মে, তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তা এড়িয়ে যান।
সিবিআই তাঁকে এবার হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের ফলের দিন। কিন্তু তিনি জানিয়ে দেন যে সেদিন ফল ঘোষণা করা হবে চলতি লোকসভা নির্বাচনে এবং সেই কারণে তিনি ব্যস্ত থাকবেন। সুতরাং তিনি জানিয়ে দেন যে তিনি ৪ঠা জুন হাজিরা দিতে পারবেন না। যদিও সবরকম নথি জমা দেওয়া সত্বেও, এবার কি কারনে তৃণমূল নেতাকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেটি এখনো জানা যায়নি। এবার দেখার বিষয় যে তিনি কবে সিবিআই দপ্তরে উপস্থিত হন।
কয়লা পাচার মামলায় বুধবার সিবিআই তলব এড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা
বুধবার, অর্থাৎ ২৯শে মে, আরো এক তৃণমূল নেতাকে তলব করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই। তিনি ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকাত মোল্লা। জানা গিয়েছে যে কয়লা পাচার মামলায় তদন্তের স্বার্থে ডাকা হয়েছিল তৃণমূল বিধায়ককে। সিবিআইয়ের কাছে খবর আসে যে আসানসোলের কয়লাখনি থেকে যে কয়লাগুলি অবৈধভাবে তোলা হয়েছিল, সেগুলি গিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু ইট ভাটায়। তাদের আরো বক্তব্য যে তারা তদন্ত করে দেখতে চায় যে গোটা গঠনের সঙ্গে শওকত মোল্লার যোগ রয়েছে কিনা।
যদিও দেবরাজ চক্রবর্তীর মতো শওকাত মোল্লাও এড়িয়ে যান তলব। তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে তাঁর পক্ষে এই মুহূর্তে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয় কারণ তিনি ব্যস্ত রয়েছেন প্রচারে। এবার দেখার বিষয় যে তিনি কবে সিবিআই দপ্তরে এসে উপস্থিত হন এবং আধিকারিকদের মুখোমুখি হয়ে সব প্রশ্নের জবাব দেন। কি তথ্য উঠে আসবে এবার? তা জানা যাবে আর কিছুদিনের মধ্যেই।
কাকদ্বীপের জনসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে চলতি লোকসভা নির্বাচন। মাত্র একটি দফা বাকি রয়েছে এবং তারপরেই শেষ হবে ভোট। কিন্তু তার আগেও রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের উপর আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তথা ভারতীয় জনতা পার্টি। বুধবার, অর্থাৎ ২৯শে মে, কাকদ্বীপে একটি জনসভা আয়োজন করা হয় গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে এবং একাধিক ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন।
তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ যে বিজেপিকে এতো ভালোবাসে, তা তৃণমূল একেবারেই সহ্য করতে পারছেনা। এগুলো দেখে ওরা খেঁপে গেছে। তৃণমূল যে বাংলার মানুষকে দেখতে পারেনা, তা বেশ স্পষ্ট। ওদের একমাত্র অস্ত্র, এটা হতে দেবেনা। মোদি বিকাশের জন্য যা করে, তৃণমূল বলে সেটা হতে দেবেনা।”
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “আমরা আয়ুষ্মান প্রকল্প এনেছি বয়স্কদের জন্য। কিন্তু তৃণমূল বলছে বাংলায় এটা হতে দেবেনা। কতো যোজনা চলছে মৎস্যজীবীদের জন্য। কতো টাকা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেগুলি হতে দেয়নি ওরা। মানুষের জন্য কোন ভালবাসাই নেই তৃণমূলের। ওদের যতো ভাবনা, সব তোলাবাজ আর কাটমানি নিয়ে। সাজা দেবেন না আপনারা তৃণমূলকে? কেন্দ্রের তরফ থেকে টাকা পাঠানো হয় মথুরাপুরে নদী কাটা বন্ধ করতে। কিন্তু সেই টাকা খেয়ে নিয়েছে তৃণমূল। ওদের সব কাজেই কাটমানি চাই। এমনকি বাচ্চাদের মিডডে মিল পর্যন্ত ছাড়েনি ওরা। ওখানেও কাটমানি চাই।”
বারুইপুরের জনসভা থেকে ভারতীয় জনতা পার্টিকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
একদিকে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাকদ্বীপের জনসভা থেকে একাধিক ইস্যু নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন, ঠিক তখন বারুইপুরের জনসভা থেকে এজেন্সিরাজ ও রাম-বাম সেটিং নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “আমি শুনেছিলাম কিছু আসনে সেটিং রয়েছে। দমদম তাদের মধ্যে একটা। সেখানে সিপিএমের এক বর্ষীয়ান নেতা যিনি দাঁড়িয়েছেন, তার সঙ্গে বিজেপির কথা হয়েছে। সব ভোট সিপিএম বিজেপিকে দেবে। বরানগরে যে বিধানসভা ভোট হয়েছে সেখানেও সিপিএমের ভোট বিজেপিতে যাবে।”
অন্যদিকে, এজেন্সিরাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এতো ভয় কিসের যদি তোমরা জানো যে তোমরা জিতবে? কেন মাঝরাতে হাজিরার নোটিশ পাঠাচ্ছ?”
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।