নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। আজকের থিম মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে লখনৌ সুপার জায়েন্টসের জয়। কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
আইপিএলের চলতি মরশুম থেকে বিদায় নিলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও লখনৌ সুপার জায়েন্টসের মতো দুই প্রভাবশালী দল। এই দুই দলেই ছিল বেশকিছু তারকা ক্রিকেটার, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দাগ কাটতে সফল হলোনা। যদিও কিছুটা লড়াই করেছে লখনৌ। গ্রুপ পর্বের ১৪টি ম্যাচের মধ্যে জিতেছে ৭টিতে এবং হেরেছে ৭টিতে। অন্যদিকে, মুম্বাই জিতেছে চারটি ম্যাচ এবং হেরেছে দশটিতে। সবমিলিয়ে, দেখতে দেখতে সফর শেষ হয়ে গেল এই দুই হেভিওয়েট দলের।
শুক্রবার, অর্থাৎ ১৭ই মে, দুই দল খেলে ফেলে নিজেদের শেষ ম্যাচ গ্রুপ পর্বের। একে অপরের মুখোমুখি হয় তারা। গোটা স্টেডিয়াম সাক্ষী থাকে একটি হাই স্কোরিং ম্যাচের। প্লে অফে খেলার জন্য বড় ব্যবধানে জয় প্রয়োজন ছিল লখনৌয়ের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা জেতে মাত্র ১৮ রানে এবং এর সঙ্গে টুর্নামেন্ট থেকে তাদের বিদায় কার্যত পাকা হয়ে যায়। প্রথমে ব্যাট করে বড় রান স্কোরবোর্ডে তুলতে সফল হয় লখনৌ। তবে মুম্বাই ম্যাচটি না জিতলেও দারুন লড়াই দেয়। একেবারে কাছাকাছি চলে আসে টার্গেটের। কিন্তু অল্পের জন্য পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়। হার্দিক পান্ডিয়ারা শেষ করে পয়েন্টস টেবিলের দশ নম্বরে অর্থাৎ শেষে।
এদিন ম্যাচ শেষে লখনৌ সুপার জায়েন্টসের অধিনায়ক কেএল রাহুল বলেন, “জয় পেলেও এটা অত্যন্ত হতাশাজনক। যখন মরশুম শুরু হয়েছিল, তখন আমার মনে হয়েছিল যে আমরা একটা শক্তিশালী দল এবং আমাদের সমস্ত বিভাগই ঠিকঠাক আছে। হ্যাঁ এটা ঠিক যে কয়েকজন চোট ছিল, কিন্তু ওটা সব দলের সঙ্গেই হয়। আমরা একসাথে সেই খেলা দেখাতে পারিনি, যেটার আশা আমাদের ছিল। তবে আজকের পারফরম্যান্স দারুন ছিল। আমরা এমন ম্যাচ আরো অনেক খেলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা তা করে উঠতে পারিনি। তবে দলের সকল ক্রিকেটারের জন্য আমি খুবই খুশি।”
এরপরই এলএসজি অধিনায়ককে প্রশ্ন করা হয় ভারতীয় পেসারদের সম্পর্কে। সেই প্রশ্নের উত্তরে কেএল রাহুল বলেন, “ফ্রাঞ্চাইজি তাদের জন্য অনেকটা সময় ও শক্তি ব্যয় করেছে। এটা বছরে দুটো মাসের ব্যাপার নয়। আমরা ময়ঙ্ক ও যুধবিরকে দক্ষিণ আফ্রিকা পাঠিয়েছিলাম যাতে ওখানে ওরা মর্নে মর্কেলের থেকে পর্যাপ্ত ট্রেনিং পায় আর পরিশ্রম করলে তার ফল পাওয়া যায়। দুজনেই ভালো খেলা দেখিয়েছে এবারের টুর্নামেন্টে। তবে দল ও ফ্রাঞ্চাইজি ওদের পেছনে অনেকটা সময় খরচা করেছে।”
এরপর নিজের ব্যাটিং নিয়েও মুখ খোলেন রাহুল। তিনি বলেন, “নিজের ভূমিকা নিয়ে আমি এই মুহূর্তে সঠিকভাবে কিছু বলতে পারবোনা। এখন আর বেশি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নেই। তবে এটা এমন একটা মরশুম যেখানে আমি নিজের ব্যাটিং সম্পর্কে অনেককিছু জানলাম ও বুঝলাম। আমি এটা বুঝতে পারলাম যে কি করলে আমি আবার দলে নিজের জায়গা ফিরে পাবো। হয়তো মিডিল ওর্ডারে ব্যাট করতে হবে, হয়তো নয়।”
শেষে দলের ব্যাটিং প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় রাহুলকে। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম যে নিকোলাস পুরান উপরে এসে খেলুক। কিন্তু দিনের শেষে ব্যাটিং লাইন-আপের দিকেও আমাদের নজর রাখতে হয়। তাই আমরা আমাদের সিনিয়র বিদেশি ক্রিকেটারদের সেই জায়গাতেই ব্যাট করাতে চেয়েছিলাম যেখানে ওরা চাপ সামলাতে পারবে। আমরা কখনোই চাইনি যে আমাদের দুই বিদেশি ব্যাটার কাছাকাছি এসে খেলুক। তবে এই মুহূর্তে আমি আমার শ্বশুরমশাইয়ের দলে। আমরা দুজনেই শর্মাজির ছেলের জন্য আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের গলা ফাটাবো।”
অন্যদিকে ম্যাচের সেরা ঘোষণা হওয়া ক্রিকেটার নিকোলাস পুরান পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেন, “আমি মনে করি যে আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঠিক এমন ছিল যে আমাকে এসে রাস্তা খুঁজে বার করতে হবে দলকে ম্যাচ জেতানোর। যখন মরশুম শুরু হয়, আমি জানতাম যে আমাকে কি করতে হবে। সত্যি কথা বলতে গেলে আমার মধ্যে ধারাবাহিকতা একেবারেই ছিলোনা, তাই কিছু অভিজ্ঞতা আদায় করতে চেয়েছিলাম।”
তিনি আরো বলেন, “অনেক সময়ে লখনৌতে ইনিংস শেষ করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। আমি বহু বছর ধরে প্র্যাকটিস করছি এবং শেষে গিয়ে নিজের সমস্ত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দলকে ম্যাচ জেতানো হলো আসল কথা। এর আগে আমি ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, এই জায়গাগুলিতে এসে ব্যাটিং করেছি কিন্তু আপনি আমাকে যদি ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞেস করেন আমার প্রিয় ব্যাটিং জায়গা, তাহলে আমি বলবো পাওয়ারপ্লে। তবে আমার প্রধান শক্তি এটাই যে আমি যেকোনো নম্বরে এসে ব্যাট করতে পারি।”
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।