নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। রাজ্য থেকে দেশ, কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
“সব সমস্যার সমাধান হলো মোদি সরকার” রায়গঞ্জ থেকে দাবি শাহের
রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে এবার বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার, অর্থাৎ ২৩শে এপ্রিল, রায়গঞ্জে জনসভা থেকে তিনি দাবি করলেন যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে চরম পর্যায়ের হিংসা হয়েছে বাংলায়। এখানেই শেষ নয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও দাবি করেন যে বাংলাকে হিংসা থেকে মুক্ত করতে হলে মোদি সরকারকে দরকার।
এদিন মঞ্চ থেকে অমিত শাহ বলেন, “সোমবার হাই কোর্টে চাকরি বাতিল করা হয়েছে। ৫১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে তৃণমূলের এক মন্ত্রীর বাড়ি থেকে। বাংলায় কাটমানি থেকে চাকরি নিয়ে দুর্নীতি, এই সবকিছুই আটকানো প্রয়োজন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপনারা দেখেছেন কেমন হিংসা হয়েছে। চরম পর্যায়ের হিংসা হয়েছে এবং এর জন্য দায়ী আর কেউ নয় তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া।”
এরপরই বাংলায় মোদি সরকারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহ বলেন, “আগে যেই তৃণমূল নেতারা ঝুপড়িতে থাকতো, এখন তারা বড় বাড়ি করে ফেলেছে এবং গাড়িতে করে ঘোরে চারিদিকে। মনে রাখবেন এই টাকা কিন্তু আপনাদের। বাংলা থেকে হিংসা মেটাতে গেলে মোদি সরকারকে দরকার। আপনারা যদি চান অনুপ্রবেশ বন্ধ হোক বা শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাক, তাহলে এর একমাত্র উপায় হলো ফের নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী বানানো। এই রাজ্যে অনুপ্রবেশ বন্ধ হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু মমতাদিদি তা করতে পারবেন না। এটা যদি কেউ রুখতে পারে, তাহলে সেটা হলো আপনাদের সকলের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।”
“চক্রান্ত করে বন্দি করা হয়েছে কেষ্টদের”: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এজেন্সি ব্যবহার নিয়ে এবার কেন্দ্র সরকার, অর্থাৎ ভারতীয় জনতা পার্টিকে, একহাত নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার, অর্থাৎ ২৩শে এপ্রিল, বীরভূমের হাসনের জনসভা থেকে তিনি দাবি করলেন যে পরিকল্পনা করে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর কন্যাকে বন্দি করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, তৃণমূল সুপ্রিমো আরো দাবি করেন যে লোকসভা নির্বাচন শেষ হলেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এদিন মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজ এই এলাকায় কেষ্ট নেই। ওকে আর ওর মেয়েকে চক্রান্ত করে বন্দি করা হয়েছে। তবে আমি আপনাদেরকে আজ এখানে দাঁড়িয়ে এই কথাটা বলছি যে একবার লোকসভা নির্বাচনটা শেষ হতে দিন, দেখবেন ওদের ছেড়ে দেওয়া হবে। এগুলো সব ইচ্ছাকৃত করা হয়েছে যাতে ভোটের সময়ে ওরা ঠিকভাবে কাজ না করতে পারে। সেই কারণেই ওদের আটকে রাখা হয়েছে।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “এই নির্বাচনে কৈফিয়ৎ আমাকে দিতে হবেনা। যদি কাউকে কৈফিয়ৎ দিতে হয়, তাহলে সেটা ওদের দিতে হবে। আমরা লোককে যা গ্যারান্টি দিয়েছি, তা ১০০ শতাংশ করেছি। বিজেপি এতটাই ঘাবড়ে গেছে যে আজ কিসব ভয়ানক কথাবার্তা বলছে। যদিও আমি আজ এখানে এই কথাগুলো বলে ভেদাভেদ সৃষ্টি করতে চাইনা। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে কথাগুলি বলেছেন, সেটার মূল্য আগামীদিনে ওনাদের দিতে হবে।”
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি তৈরি হচ্ছে দেউচা পাচামিতে। এটা বিনিয়োগ করা হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা এবং চাকরি হবে ১ লক্ষ ছেলেমেয়েদের।”
‘এক দেশ এক ভোট’ নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে একহাত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
‘এক দেশ এক ভোট’ নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে, একহাত নিলেন বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, তথা ডায়মন্ড হারবার আসনের নির্বাচিত প্রার্থী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার, অর্থাৎ ২৩শে এপ্রিল, দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির গোঁসাইপুরে, উত্তরা টাউনশিপ ময়দানের জনসভা থেকে তিনি দাবি করলেন যে বিজেপিকে জেতালে আসন্ন ২৬ তারিখই হবে সকলের জীবনের শেষ ভোট। এখানেই শেষ নয়, তিনি একটি নতুন স্লোগানও তোলেন। নাম “অনেক হয়েছে শাসন, ২৬ তারিখ বিসর্জন”।
এদিনের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই কথাটা মনে রাখবেন যে যদি এবার আপনারা বিজেপির হাত শক্ত করেন, তাহলে এই ২৬ তারিখই আপনাদের জীবনের শেষ ভোট হবে। ওদের সংকল্পপত্রে এক দেশ এক ভোটের কথা রয়েছে। মানে এই যে ৫ বছর পর আপনারা লোকসভা হোক কি বিধানসভা, বা হোক পৌরসভা ভোট, এগুলি আপনারা আর দিতে পারবেন না। যা ভোট দেওয়ার একবারই দেবেন।”
এরপরই গোপাল লামাকে ভোট দেওয়ার কথা বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “গত ৫ বছরে রাজু বিস্তা দিল্লির দালালি করে বাংলার আবাসের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। ওদেরকে আপনি শুধু ভোটের সময়েই বাংলায় দেখতে পাবেন। তবে এটা বলে রাখছি যে যতবার নির্বাচন হবে আর যতবার ওদের বড় নেতারা বাংলায় আসবে প্রচার করতে, ততবারই ৫ হাজার করে ভোট কমবে। আপনারা যদি গোপাল লামাকে জেতান, তাহলে আপনাদের সকল দার্জিলিংবাসীর আবাসের টাকার প্রথম দফার কিস্তির টাকা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আপনাদের অ্যাকাউন্টে চলে আসবে।”
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।