নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। আজকের থিম সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের আইপিএল ফাইনালে ওঠা। কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
দেখতে দেখতে একেবারে শেষে চলে এসেছে চলতি আইপিএল। প্রায় মাস দুয়েকের এই জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এবার শেষ হতে চলেছে। রবিবার, অর্থাৎ ২৬ মে, এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে খেলা হবে ফাইনাল। শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হবে কাভিয়া মারানের সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। দুই দলই এই মুহূর্তে জোরদার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ট্রফি জেতার জন্য।
শুক্রবার, অর্থাৎ ২৪ মে, এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান রয়েলসকে ৩৬ রানে হারায় প্যাট কামিন্সের সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। এদিন একেবারেই ছন্দহীন দেখায় রাজস্থানের ব্যাটিং অর্ডারকে। অন্যদিকে, দুর্দান্ত বোলিংয়ের উদাহরণ তুলে ধরেন হায়দ্রাবাদ। স্পিন ম্যাজিকে কোমর ভেঙে যায় রাজস্থানের ব্যাটিংয়ের। তবে হায়দ্রাবাদের স্কোরবোর্ডে লড়াকুর টোটাল তোলার পেছনে বড় হাত রয়েছে হেনরিক ক্লাসেনের। একটি দুর্দান্ত অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন প্রোটিয়া তারকা।
ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয় শাহবাজ আহমেদকে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমাদের দলের কোচ ও অধিনায়ক আমাকে এটাই বলেছে যে আমাকে প্রয়োজন মতো ব্যবহার করবে। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল নিচের দিকে ব্যাট করার। ওরা আমাকে বলেছিল যদি ধ্বস নামে তাহলে ওরা আমাকে পাঠাবে। যখন আমি ব্যাট করছিলাম তখন আমার মনে হচ্ছিল যে পিচে কিছু আছে আর যেভাবে সন্দীপ ও আবেশ বোলিং করেছে, সেটার পর আমি ভালো করেই বুঝতে পেরেছি।”
এরপরই দলের তরুণ স্পিনারকে প্রশ্ন করা হয় ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ পুরস্কার প্রসঙ্গে। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ পুরস্কার পাওয়ার পর অত্যন্ত খুশি আমি এবং গর্ববোধ হচ্ছে। এই মুহূর্তে পরিবেশটা অত্যন্ত ঠান্ডা শিবিরে। আমরা ফাইনাল জেতার পরই, উদযাপন করবো। আজকের রাতে আমরা একটু রিল্যাক্স করবো।”
এছাড়াও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বলেন, “পুরো মরশুম ছেলেরা ভালো খেলেছে। শিবিরে এই মুহূর্তে একটা দুর্দান্ত ভাইব আছে এবং প্রথম থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিল ফাইনাল খেলা এবং আমরা সেটা করে দেখিয়েছি। আমরা বুঝে গেছিলাম যে আমাদের শক্তি হচ্ছে ব্যাটিং। এছাড়াও আমাদের দলে অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা রয়েছে। ভুবি, নাট্টু আর উনাদকাত আমার কাজটা খুব সহজ করে দিয়েছে।”
এরপরই অজি তারকাকে প্রশ্ন করা হয় শাহবাজ আহমেদ ও অভিষেক শর্মা প্রসঙ্গে। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ড্যানিয়েল ভেট্টোরি নিজে একজন বাঁহাতি অর্থডক্স স্পিনার এবং উনি নিজে চাইছিলেন যে যত বেশি বাঁহাতি অর্থডক্স স্পিনার খেলানো যায়। সেই কারণে শাহবজ আহমেদকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে পাঠানো হয়। অভিষেক শর্মার বোলিংটা একটা বড় চমক ছিল। ওকে বল দিয়ে একবার পরীক্ষা করে দেখলাম এবং ও খুব ভালো বোলিং করেছে। ওরা দুজনেই বেশ ভালো কাজ করেছে এবং আমাদেরকে জিতিয়ে দিয়েছে মাঝের ওভারগুলোতেই। ১৭০ কঠিন চেজ ছিল এবং যখন আমরা দুটি উইকেট পেয়ে যাই তখন আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের কাছে একটা সুযোগ রয়েছে। অনেকেই এটার পেছনে নিজের সবটা দিয়েছে আর এবার মাত্র একটা ম্যাচ বাকি।”
এছাড়াও এদিন ম্যাচ শেষে সাক্ষাৎকার দেন দলের তরুণ ক্রিকেটার অভিষেক শর্মাও। তিনি বলেন, “সত্যি বলতে গেলে আমি জানতামনা যে এই ম্যাচে আমাকে পুরো চার ওভার বল করতে বলা হবে। তবে এটার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম। আমি বহুদিন ধরেই নিজের বোলিংয়ের উপর কাজ করছিলাম। ব্যাটিংটা আমি গত দুই বছর ধরে ভালোই করে চলেছি। কিন্তু আমার বোলিংয়ের উপর আমায় অনেক কাজ করতে হয়েছে। সেটা আমি আমার পিতার সঙ্গেই করি।”
এরপর অভিষেক শর্মাকে প্রশ্ন করা হয় পিচ প্রসঙ্গে। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “পিচটা একটু কুইকার ছিল যখন আমরা ব্যাট করছিলাম। তবে বল ঘুরতে শুরু করে দ্বিতীয় ইনিংসে। প্যাটি স্পিনারদেরকে বেশ ভালোই ব্যবহার করেছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে অনুশীলন করেছিলাম এবং তা দেখেই আজকে আমায় ও বোলিং করতে দিয়েছে। আমরা যেই ম্যাচটা পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে জিতি, সেখান থেকেই মোমেন্টাম ফিরে আসে। আমি প্রস্তুত ছিলাম এবং কঠোর পরিশ্রম করেছিলাম। আমাদেরকে একটাই বার্তা দেওয়া হয়েছিল যে মাঠে নেমে নিজেদের মতো করে খেলতে। আমার স্বপ্ন ছিল আইপিএলের মত এক বড় টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা এবং এটা সত্যি হতে চলেছে।
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।