নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। আজকের থিম ‘জয় দিয়ে টিম ইন্ডিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অভিযান শুরু’। কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
দুর্দান্তভাবে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সফর শুরু করল রোহিত শর্মা ব্রিগেড। একেবারে দাপটের সঙ্গে জিতে নিল টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচ। শুধু জয় নয়, একেবারে বড় ব্যবধানে জয় পেলো ‘মেন ইন ব্লু’। একটি নয়, দুটি নয়, একেবারে ৮ উইকেটে ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তুলে নিল টিম ইন্ডিয়া। চোখের নিমেষে গুড়িয়ে দিল আইরিশ বাহিনীকে। এদিন আয়ারল্যান্ডের ব্যাটারদের রীতিমতো হাবুডুবু খেতে দেখা যায় ভারতের বোলারদের সামনে।
অন্যদিকে ব্যাট হাতে রীতিমতো তান্ডব দেখান টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক হিটম্যান, অর্থাৎ রোহিত শর্মা। ঝড়ের গতিতে রান করেন তিনি। ৩৭ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে যদিও তিনি রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এছাড়া দীর্ঘদিন বাদে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কামব্যাক করা ক্রিকেটার, তথা দলের বিধ্বংসী উইকেটরক্ষক ব্যাটার, ঋষভ পান্থও একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তিনিও রোহিত শর্মার মতোই ঝড়ের গতিতে রান করেন এবং অপারাজিত থাকেন ৩৬ রানে। তবে এদিন একেবারেই প্রভাব ফেলতে পারেনি দলের চেজ মাস্টার বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদব। দুজনেরই পারফরম্যান্স হতাশ করিয়েছে সকল ক্রিকেটপ্রেমীদের। তবে মনে করা হচ্ছে যে দুজনেই অতি সহজে দ্রুত কামব্যাক করবে।
ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয় টিম ইন্ডিয়ার দাপুটে পেসার জাস্প্রীত বুমরাহকে। এদিন তিন ওভার বল করে তিনি দেন মাত্র ৬ রান এবং পকেটে তোলেন ২ উইকেট। একেবারে কোমর ভেঙে দেন আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারের। রীতিমতো মাথানত করতে দেখা যায় আইরিশ ব্যাটারদের। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দলের জয় ও নিজের পারফরমেন্স প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তিনি। বুমরাহ বলেন, “যেভাবে আজকের দিনটা আমাদের পক্ষে গেছে এবং আমরা জয় পেয়েছি, এটাতে আমি অত্যন্ত খুশি।”
এরপরই বুমরাহকে প্রশ্ন করা হয় পিচ ও নিজের পারফরমেন্স প্রসঙ্গে। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ভারতের মতো পরিস্থিতি থেকে এসে, যেখানে বল সিম করে, আমি নালিশ করবোনা যখন পিচ থেকে বোলাররা সাহায্য পাচ্ছে। এই ফরম্যাটে আপনাকে সর্বদা সজাগ থাকতে হয় এবং পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। এছাড়া আজ আমি নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করছিলাম এবং যেটা মনে হচ্ছিল কাজ দিচ্ছে সেটার দিকেই ফিরে যাচ্ছিলাম। এমন পরিস্থিতিতে আপনাদের সবদিকটাই কভার করতে হয়। আপনাকে আগে থেকে প্রস্তুত থাকতে হয়।”
এছাড়াও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও নিজের মতামত জানান ম্যাচ ও জয় প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, “হ্যাঁ বাহুতে একটু ব্যথা আছে। এছাড়া টসেও আমি বলেছিলাম এই কথাটা যে আমি বুঝতে পারছিনা পিচ থেকে কি আশা করা যায়। পাঁচ মাস পুরনো পিচে কি করবো বুঝতে পারছিলামনা আমরা। আমার মনে হয়না যখন আমরা রান তাড়া করতে নেমেছিলাম, তখনও উইকেট ঠিক হয়ে গেছিল। এটা পুরোপুরি বোলারদের জন্য ছিল। ওটাই একমাত্র স্পষ্ট ছিল তাই আমরা বারবার ঠিক লেন্থে হিট করার চেষ্টা করছিলাম।”
এরপরই দলের বোলারদের নিয়ে নিজের মতামত জানান হিটম্যান। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে রোহিত শর্মা বলেন, “অর্ষদীপ সিং ছাড়া দলের সকলেই অনেক টেস্ট খেলেছে। তবে ম্যাচ শুরু হতেই ওর দুটো উইকেট তুলে নেওয়া আমাদের কাজ সহজ করে দিয়েছে। ওটাই রাস্তাটা পরিষ্কার করে দিয়েছে আমাদের জন্য। তবে আমার মনে হয়না যে এই পিচে চার স্পিনারকে নিয়ে খেলা উচিত ছিল। যখন আমরা দল বেছে নিয়েছিলাম, তখন আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল যেন সবকিছু ব্যালেন্স থাকে। যদি দেখে মনে হয় যে পিচ সিমারদের জন্য ভালো, তাহলে আমরা সেভাবেই দল বাঁচবো। যদিও পড়ে স্পিনের একটা ভূমিকা থাকবে। আজকের পিচটা পুরোপুরি সিমারদের জন্যই ছিল। তবুও আমরা দুজন স্পিনার খেলিয়েছি যারা অলরাউন্ডার। সত্যি বলতে গেলে আমি বুঝতে পারিনি যে পিচ থেকে কি আশা করা যায়।”
এরপরই ‘মেন ইন ব্লু’ অধিনায়ককে প্রশ্ন করা হয় পাকিস্তান ম্যাচের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে। সেই প্রশ্নের উত্তরে রোহিত শর্মা বলেন, “আমরা পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেদের প্রস্তুত এবং পরিকল্পনা করবো। এটা এমনই একটা ম্যাচ যেখানে দলের সকল ক্রিকেটারকেই অবদান রাখতে হবে। একটু চাপের ছিল ঠিকই, তবে ক্রিজে সময় কাটিয়ে বেশ ভালই লাগছে এবং বুঝলাম যে কোন ধরনের শট খেলা উচিত।”
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।