নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। আজকের থিম রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে রাজস্থান রয়্যালসের টিকে থাকা। কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
দেখতে দেখতে একেবারে অন্তিম লগ্নে চলে এসেছে চলতি আইপিএল। ইতিমধ্যেই ফাইনালে পৌঁছে গেছে শ্রেয়াস আইয়ারের কলকাতা নাইট রাইডার্স। এবার সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ও রাজস্থান রয়েলসের মধ্যে যে জিতবে সে মুখোমুখি হবে কেকেআরের আসছে রবিবার, অর্থাৎ ২৬শে মেতে। বহু ক্রিকেটপ্রেমী আবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে ইতিমধ্যে ভবিষ্যদানি করতে শুরু করে দিয়েছেন ফাইনাল নিয়ে। সবমিলিয়ে, মহাযুদ্ধের আগে গোটা ভারতবর্ষের উন্মাদনা এই মুহূর্তে একেবারে তুঙ্গে পৌঁছে গেছে। আসছে রবিবারের দিকে মুখিয়ে রয়েছে দেশের সকল ক্রিকেটপ্রেমী।
তবে একটি দুর্দান্ত ম্যাচের সাক্ষী হলো গুজরাটের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে উপস্থিত সকল দর্শকরা। টান টান উত্তেজনায় শেষ হলো রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও রাজস্থান রয়েলস ম্যাচ। জয় রাজস্থান পেলেও তা একেবারেই সোজা হয়নি। একেবারে লড়াই করে জিততে হয়েছে তাদের। চার উইকেটের ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তুলেছে সঞ্জু স্যামসনরা। অর্থাৎ টুর্নামেন্টে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে সফল হয়েছে তারা। অন্যদিকে ফের কাছে এসে হতাশ হতে হয় আরসিবিকে। এবারও ট্রফি জেতার স্বপ্নপূরণ হলোনা তাদের। হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়লো তারা। তাদের অপেক্ষা করতে হবে পরের বছরের জন্য।
এদিন ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয় রাজস্থান রয়েলসের তারকা স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “শেষ কয়েকটি ম্যাচে আমরা একেবারেই ভালো পারফর্ম করতে পারিনি। পার স্কোর যা আছে, আমরা সেটাও বোর্ডে তুলতে পারিনি। এমনিতেই আমরা বাটলারকে হারিয়েছি, তার উপর হেটমায়ারও চোট ছিল। আমরা রান তাড়া করার সময় একটু হালকা ছিলাম ঠিকই, তবে এই জয় আমাদের সকলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে এবং এটার দরকারও ছিল।”
এরপরই নিজের শরীর প্রসঙ্গে মুখ খোলেন অশ্বিন। তিনি বলেন, “মরশুম শুরুর প্রথমার্ধে মনে হচ্ছিল যে আমার শরীর একেবারেই মুভ করাতে পারছিনা। যদিও আমার চোট ছিল। তাছাড়া আমার বয়সও হচ্ছে। টেস্ট ক্রিকেট খেলে টুর্নামেন্টে আসা অত্যন্ত শক্ত। আমার কিছু সময়ের প্রয়োজন ছিল সেই ছন্দে ফেরার জন্য। কিন্তু একবার যদি আপনি আপনার ফ্র্যাঞ্চাইজিকে কথা দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে পুরো মরশুমটাই খেলে যেতে হবে।”
এরপরই তারকা স্পিনারকে প্রশ্ন করা হয় দলের ক্রিকেটারদের পারফরমেন্স প্রসঙ্গে। সেই প্রশ্নের উত্তরে অশ্বিন বলেন, “আমার মনে হয় যে আজকে আমাদের বোলাররা একেবারে ঠিক লেন্থেই বোলিং করছিল। বিশেষ করে যেভাবে বোল্ট বোলিং করছিল, তা সত্যিই দেখার মতো ছিল। ও সুইং বা সিম মুভমেন্ট দুটোই পেয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে মনে হয়না খুব বেশি শিশির ছিল। আমাদের দলের ছেলেরা বেশ ভালো ব্যাটিং করেছে এবং দুর্দান্ত কয়েকটা শট খেলে দলকে ম্যাচ জিতিয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “আমি মনে করি যে আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হল দলের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী তরুন ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রয়েছে। এছাড়াও তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে লাগাতার সহযোগিতা করে চলেছে অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। এখন তো হেটি ফিরে এসেছে আর রোভমান কয়েকটা বাউন্ডারি হাকাতে পেরেছে। এছাড়াও কেশব মহারাজ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। আগে এগিয়ে যাওয়ার মত যেই গতি দরকার তা আমাদের দলের মধ্যে রয়েছে।”
অন্যদিকে, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দলের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন বলেন, “ক্রিকেট আর জীবন আমাদের যেটা শিখিয়েছে, সেটা হল যে ভালো সময় আর খারাপ সময় দুটোই আসবে। কিন্তু আমাদের মধ্যে সেই ব্যাপারটা থাকা উচিত ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য। যেভাবে আমরা ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং, তিনটেই করেছি, আমি তার জন্য খুব খুশি। দলের বোলারদের আমি এটার জন্য ক্রেডিট দেবো কারণ ওরা প্রথম থেকেই নজরে রেখেছিল আরসিবির ব্যাটাররা কি করছিল এবং সেই অনুযায়ী ফিল্ড সেটআপ করেছিল। এছাড়াও আমি ক্রেডিট দেবো কুমার সাঙ্গাকারা ও দলের বোলিং কোচ শেন বন্ডকেও। ওরা হোটেল রুমে এসব নিয়ে আলোচনা করে অনেক সময় খরচ করেছে। এছাড়া বোল্ট আর অশ্বিন দুজনেই অভিজ্ঞ এবং নিজেদের কাজটা করে দেখিয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “রিয়ান আর যশস্বী দুজনেরই ২২ বছর বয়স। জুড়েলও একই বয়সী। অল্প অভিজ্ঞতা নিয়েও ওরা যেভাবে পারফর্ম করে চলেছে সেটা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। আমিও ১০০ শতাংশ ফিট নই। আমাদের ড্রেসিংরুমে একটা বাগ আছে। সবাই খুব কাশছে এবং অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। রোভমান আজকের শেষটা ভালোই করেছে। আমার মনে হয় আজ আমরা অনেকটাই সফর করেছি এবং বিশ্রাম নিতে হবে। এবার আমাদের মনোযোগ পরবর্তী ম্যাচের উপর।”
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।