নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। আজকের থিম ‘জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু ওয়েস্ট ইন্ডিজের’। কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
দেখতে দেখতে শুরু হয়ে গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। একেবারে ধুমধামের সাথে শুরু হয় টুর্নামেন্ট। মোট ২০টি দল একে অপরের বিরুদ্ধে ময়দানে নামবে জয়ের জন্য। শুধু জয় নয়, একেবারে খেতাবের উপর নজর রয়েছে সকল অংশগ্রহণকারী দলের। দর্শকদের উন্মাদনাও একইভাবে তুঙ্গে। সকলেই নিজেদের প্রিয় তারকাদের দেখার জন্য মাঠে ভিড় জমিয়েছে। পুরো হাউসফুল স্টেডিয়াম।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দুর্দান্তভাবে শুরু করল আয়োজক দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একেবারে জয় দিয়ে শুরু করলো তারা টুর্নামেন্টের যাত্রা। পাপুয়া নিউগিনিকে তারা পরাজিত করল ৫ উইকেটে। তবে তার জন্য তাদের খেলতে হয় ১৯ ওভার। এদিন পাপুয়া নিউগিনির বোলারদের বোলিং ছিল দেখার মতো। সামান্য কটি রান ডিফেন্ড করেছে সাহসের সঙ্গে। ম্যাচ না জিতলেও, তাদের বোলিং বিভাগের পারফরম্যান্স ছিল প্রশংসার যোগ্য। চাপে রেখেছিল ক্যারিবিয়ানদের।
তবে এদিনের ম্যাচের মূল আকর্ষণ ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা অলরাউন্ডার রস্টন চেজ। বল হাতে তিনি উইকেট না পেলেও, তাঁর বোলিং দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সকল ক্রিকেটপ্রেমী থেকে শুরু করে উপস্থিত দর্শকদের। অন্যদিকে, ব্যাট হাতে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। এক কঠিন পরিস্থিতি থেকে তিনি দলকে ম্যাচ জেতান। একদিকে উইকেট পড়তে থাকলেও তিনি পাপুয়া নিউগিনির বোলারদের উপর আক্রমণ অব্যাহত রাখেন এবং এর জেরে ম্যাচ অবশেষে নিজেদের ঝুলিতে তুলে নেয় রোভমান পাওয়েলের বিধ্বংসী বাহিনী।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিজের পারফরমেন্স নিয়ে খুশি প্রকাশ করেন রস্টন চেজ। তিনি জানান যে কিভাবে তিনি সময় নিয়ে নিজের ইনিংস তৈরি করেছেন। পাশাপাশি, তিনি আরো জানান যে কিভাবে তিনি দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করেছেন টুর্নামেন্টের জন্য। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের বক্তব্য, “জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করতে পেরেছি, এটা ভাবতেই আমার খুব ভালো লাগছে এবং এর মধ্যে যে আমার একটা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে, এটার জন্য আমি খুব খুশি। যদিও আমি প্রথমেই বুঝতে পেরেছিলাম যে এসেই ব্যাটারদের পক্ষে খুব একটা সুবিধা হবেনা খেলা, তবুও আমি নিজেকে সময় দিই এবং ব্যাক করি নিজের প্রতিভাকে। আমি লক্ষ্য করলাম যে কিভাবে পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটাররা নিজেদের সময় দিয়েছে এবং ওর পরে কিভাবে রান করা সহজ হয়ে গেল।”
এরপরই রস্টন চেজ নিজের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, সেই প্রশ্নের উত্তরে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে পরিশ্রম করেছি। একটা অনুশীলন শিবির হয়েছিল এন্টিগুয়াতে এবং সেখানকার আত্মবিশ্বাসটা আমি আজকের ম্যাচে কাজে লাগিয়েছি।” তিনি আরো বলেন, “আমরা কোন দলকেই হালকাভাবে নিতে চাইনা। পাপুয়া নিউগিনি এই টুর্নামেন্ট খেলছে মানে তাদের ক্রিকেটারদের মধ্যে সেই ক্ষমতা ও যোগ্যতা রয়েছে। আমরা ভারত বা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যেভাবে খেলতে চাই, আমরা বাকি দলগুলির বিরুদ্ধেও একইভাবে খেলবো।”
এছাড়া ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দলে পারফরমেন্স নিয়ে নিজের মতামত জানান ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক রোভমান পাওয়েল। প্রথমেই দলের বোলিং প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় ক্যারিবিয়ান অধিনায়ককে। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ওদের পরিকল্পনা খুবই সহজ ছিল আর ওরা বেশ ভালো ক্রিকেট খেলে। আমাদের দুই পয়েন্ট পাওয়া অত্যন্ত জরুরি ছিল এবং আমরা সেটা করে দেখিয়েছি। পাপুয়া নিউগিনির যা অবস্থা ছিল, তার চেয়ে ১০-১৫ রান ওরা বেশি করেছে। বোলিং বিভাগ হিসেবে আমাদের প্রথম উদ্দেশ্য ছিল সামান্য রানের মধ্যে দলগুলিকে আটকানো। যবে থেকে আমি অধিনায়ক হয়েছি, ৭০-৮০ শতাংশ দল একসঙ্গে খেলছে।”
এরপরই ক্যারিবিয়ান অধিনায়ককে প্রশ্ন করা হয় রস্টন চেজের পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে। সেই প্রশ্নের উত্তরে রোভমান পাওয়েল বলেন, “শুরু করছি ওর বোলিং নিয়ে। বল হাতে ও নিজের দায়িত্বটা খুব ভালো করেই পালন করেছে। দারুন বোলিং করেছে রস্টন। এরপরে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ব্যাট হাতেও ও ভালো খেলা দেখিয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর তার উপর চাপের ম্যাচ, সেখানে ও নিজের মাথা ঠান্ডা রেখে খেলেছে। এটা দেখে গোটা দলেরই খুব ভালো লেগেছে। তবে আমরা যেই মাত্রার খেলা দেখাতে চেয়েছিলাম সেই অনুযায়ী আমরা খেলা দেখাতে পারিনি। আমরা ৬০-৭০ শতাংশ মাত্রায় ছিলাম। তবে আমি আশা করছি যে পরবর্তী ম্যাচে আমরা এই সবকটি ভুল শুধরে নেবো।”
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।