দেবজিৎ মুখার্জি, উত্তর ২৪ পরগনা: কলকাতা হাইকোর্টে মামলা বিচারাধীন। এছাড়া বেআইনি চিকিৎসার সঙ্গে কিভাবে অভিযোগকারী চিকিৎসক যুক্ত, তা ফাঁস করা হয়েছিল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও লাগাতার হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। এমন পরিস্থিতিতে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজের ৫ই সেপ্টেম্বরের ঘটনার ছবি সহ সত্যি ফাঁস করা হলো সংগঠনের সদস্যদের তরফ থেকে। প্রসঙ্গত, ১৫ জুনিয়র চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কামারহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় সিনিয়র চিকিৎসকদের উপর জুনিয়রদের হামলার অভিযোগ তুলে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় সংগঠনের সদস্যরা বলে, “মনোজিৎ মুখোপাধ্যায় যে কাঁচ ভেঙে আহত হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন, আসলে কাঁচ ভেঙে তার আঘাত লাগেনি। একটি চেয়ারে লেগে আগে আহত হন উনি। কিন্তু তা সত্বেও আমাদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী হামলার অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।” পাশাপাশি, তাদের প্রশ্ন, “আমরা এটাই জানতে চাই যে যেই কাঁচটি ভাঙার অভিযোগ করা হয়েছে, তার পিছনে লাগা কাগজটি কেন ছেড়েনি কাঁচ ভাঙা সত্ত্বেও। আমরা অনেকবার এই বিষয় নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করেছি কিন্তু আমাদের সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি।”
তাঁদের আরো অভিযোগ, “ঘটনার দুদিন পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দায়ের করে। তবে সেটাও জোর করে দায়ের করায় আরডিএ এবং জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। আমরা ভিডিও সহ সেই তথ্য পেশ করার দাবীও জানাই। যাবতীয় সব প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। এছাড়া মামলাও কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন। কিন্তু তা সত্বেও মিডিয়া ট্রায়ালের কারণে আমাদের ও আমাদের পরিবারকে শিকার হতে হচ্ছে সামাজিক হেনস্তার।”