নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। রাজ্য থেকে দেশ, কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
“যারা পাহারা দেবে, তাদের বেশি করে সতর্ক থাকতে হবে”: পুরুলিয়া জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির উপর বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের আক্রমণ অব্যাহত। ফের গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন দলের সুপ্রিমো, তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটবাক্সে চিপ ঢুকিয়ে দিতে পারে বিজেপি, এমনটাই দাবি করেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন যে ভবিষ্যতে গোটা ভারতবর্ষ বিজেপিকে ঘৃণা করবে এবং তাদের বর্জন অবধি করবে।
রবিবার, অর্থাৎ ৭ই মার্চ, পুরুলিয়ায় জনসভা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন অজস্র মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে ভিড় জমান। মঞ্চ থেকে বিজেপির উপর কড়া আক্রমণ করে দাবি করেন যে ভোট পাওয়ার জন্য বিজেপি নানা পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারে এবং সেই কারণেই সকলকেই সতর্ক থাকতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলার মানুষের ভোট যাতে সুরক্ষিত থাকে, সেই কারণে নির্বাচনের পরে যারা ভোটকেন্দ্রগুলিতে ভোটবাক্সগুলি পাহারা দেবে, তাদের বেশি করে সতর্ক থাকতে হবে। ওরা টাকা দিয়ে, মাদক মিশিয়ে, লোডশেডিং করিয়ে, নানা পদ্ধতি অবলম্বন করবে। এমনকি ওরা ভোটবাক্সগুলোতে চিপ অবধি ঢুকিয়ে দিতে পারে। সুতরাং এগুলো যাতে না হয়, তাই সকলকে নজর রাখতে হবে।”
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী নিজের প্রকল্পগুলির কথা উপস্থিত সকল কর্মী ও সমর্থকদের কাছে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আজ আপনাদের এখানে আমি এই কথা বলে যাচ্ছি যে বিজেপি যা করছে তাতে আগামীদিনে মানুষ ওদের ঘৃণা করবে এবং বর্জন করে দেবে। আমরা সব প্রতিশ্রুতি রাখবো। আমরা থাকলে লক্ষ্মীর ভান্ডার, কৃষক ভাতা, আদিবাসী ভাতা, তফশিলি ভাতা, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, সব চলবে। আমরা আপনাদের জন্য সব কাজ করবো।”
“ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শুরু হবে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ”: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
রবিবাসরীয় দুপুরে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিলো বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। একদিকে, পুরুলিয়ার সভা থেকে উপস্থিত সকল কর্মী ও সমর্থকদের একাধিক প্রতিশ্রুতি দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে ঘাটালে সভা থেকে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিলেন দলের সেনাপতি, তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি দাবি করলেন যে তৃণমূল কংগ্রেস জিতলে ডিসেম্বরে আবাসের টাকার প্রথম কিস্তি পৌঁছানোর পাশাপাশি ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।
রবিবার, অর্থাৎ ৭ই মার্চ, টলিউড অভিনেতা, তথা ঘাটালের নির্বাচিত প্রার্থী, দেবের সমর্থনে জনসভা ছিল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন বহু কর্মী ও সমর্থক তাঁকে দেখতে ভিড় জমায়। সভামঞ্চ থেকে একাধিক প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে তিনি দাবি করেন যে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষদিনে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ শুরু করে দেবে তৃণমূল কংগ্রেস।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দেবকে পাশে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকদিন আগেই বলেছিলেন যে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান করে দেবেন। আমি আজ আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে কথা দিলাম যে ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের তরফ থেকে এই প্ল্যানের কাজও শুরু করে দেওয়া হবে। এটা আমার প্রতিশ্রুতি, আর আপনারা ভালো করেই জানেন যে আমি যদি কাউকে কোন কথা দি, সেটা আমি রাখি।”
এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত সকলকে বলেন, “আরো কিছু ঘোষণা করার কথা ছিল। সেটা কি আজই করবো?” সকলেই তখন হ্যাঁ বলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আবাসের আবেদনকারীদের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু হবে। এটা আমার কথা যে যেই এলাকায়, পঞ্চায়েতে, পুরসভায়, বিধানসভায় আপনারা আমাদের হাত শক্ত করবেন, সেখানেই মানুষের অ্যাকাউন্টের মধ্যে আবাসের প্রথম কিস্তি চলে আসবে।”
“তৃণমূলকে শিক্ষা দিতে হবে”: ধুপগুড়ি থেকে বিস্ফোরক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তার প্রাক্কালে ফের তৃণমূলের দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে ঘাসফুল শিবিরকে একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার ধুপগুড়ির সভা থেকে তিনি রাজ্য সরকারকে ‘গরিববিরোধী’ তকমা দিয়ে দাবি করেন যে তারা রাজ্যে কোন কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু হতে দিচ্ছেনা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস গরিবদের কথা ভাবেনা। ওরা রাজ্যে কোন কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু হতে দিচ্ছেনা। রেশন দুর্নীতি থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, সিন্ডিকেট, তোলাবাজি, এরা কোনকিছুই বাদ দেয়নি। এদের কি আপনারা ছেড়ে দেবেন? আইন বা সংবিধান, ওরা কিছুই মানেনা। কিন্তু এবার এদের শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। প্রতিটা বুথে তৃণমূলের জমানত জব্দ করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “তৃণমূল চায় ওদের দাপট অব্যাহত থাকুক। তদন্তকারীরা তদন্ত করতে গেলে ওদের উপর হামলা করানো হয়। সন্দেশখালিতে আপনারা ভালো করেই দেখেছেন কি হয়েছে। এই রাজ্যে প্রতিটা ব্যাপারে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।”
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।