নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। ক্রিকেট থেকে ফুটবল, কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
আইপিএল ২০২৪: দিল্লি বনাম রাজস্থান ম্যাচ চলাকালীন মেজাজ হারালেন সৌরভ ও পন্টিং
চলতি আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। ইতিমধ্যেই প্রথম দুটি ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তুলে নিয়েছে তারা। সৌজন্যে দলের ব্যাটারদের দুর্দান্ত ব্যাটিং এবং বোলিং বিভাগের আক্রমণাত্মক বোলিং। দুই বিভাগই রয়েছে দারুণ ছন্দে। সবমিলিয়ে, এখনো পর্যন্ত নিজেদের দাপট ধরে রাখতে সফল হয়েছে সঞ্জু স্যামসনের ছেলেরা। পাশাপাশি, খেতাব জয়ের আশা তুঙ্গে মরুরাজ্যের সমর্থকদের।
কিন্তু এবার আইপিএলের প্রথম মরসুমের জয়ী দলের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ আনলেন সৌরভ গাঙ্গুলি ও রিকি পন্টিং। অর্থাৎ দিল্লি ক্যাপিটালস। কি সেই অভিযোগ? দিল্লির দুই বড় মাথা নালিশ করেন যে নিয়ম ভেঙে বেশি বিদেশি ক্রিকেটার খেলানো হচ্ছে রাজস্থানের তরফ থেকে। এমনকি ভিডিওটি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতেও এবং এরপরই ক্রিকেটপ্রেমীরা নিজেদের মতামত পেশ করতে শুরু করেন।
বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ২৮শে মার্চ, জয়পুরে মুখোমুখি হয় দুই দল। প্রথমে ব্যাট করে, রিয়ান পারাগের ঝড়ো ইনিংসের উপর ভর করে, স্কোরবোর্ডে একটি লড়াকু রান তোলে রাজস্থান। এরপরই ঘটে মূল ঘটনা। অর্থাৎ দিল্লির ইনিংসের সময়ে। সবে দুটো বল হয়েছে এবং রিয়ান পারাগের পরিবর্তে মাঠে নামে রোভমান পাওয়েল। সেই সময়ে ক্ষুব্ধ রিকি পন্টিংকে দেখা যায় চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে কিছু নিয়ে আলোচনা করতে। পরে সেটাতে জড়ায় সৌরভ গাঙ্গুলিও। তিনিও ‘ডাগ আউটে’ বসে চতুর্থ আম্পায়ারকে কিছু বলছিলেন।
পরে জানা যায় যে দিল্লির দুই বড় মাথা অভিযোগ করেন যে বেশি বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে ময়দানে নেমেছে রাজস্থান, যা নিয়মের বিরুদ্ধে। যদিও জানানো হয়েছে যে নিয়ম ভাঙেনি তারা কারণ তাদের প্রথম একাদশে তিনজন বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ছিল জস বাটলার, শিমরন হেটমায়ার ও ট্রেন্ট বোল্ট। হেটমায়ারকে তুলে নিয়ে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামানো হয় দক্ষিণ আফ্রিকার নান্দ্রে বার্গারকে এবং পাওয়েল নামে পারাগের জায়গায় ফিল্ডিং করতে। সুতরাং বিদেশি ক্রিকেটারের সংখ্যা চারই ছিল। যদিও এই ভিডিওটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে ক্রিকেটপ্রেমীরা কমেন্টের বন্যা বইয়ে দেয়। কেউ দিল্লির পক্ষ নেয়, তো কেউ রাজস্থানের। সবমিলিয়ে, বাকযুদ্ধ তুঙ্গে পৌঁছে যায় দুই দলের সমর্থকদের।
উল্লেখ্য, এদিন প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান নির্ধারিত ২০ ওভারে করে ৫ উইকেটে ১৮৫। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে দিল্লির ইনিংস শেষ হয় ৫ উইকেটে ১৭৩ রানে। অর্থাৎ ১২ রানে জেতে রাজস্থান। ম্যাচের সেরা হন রিয়ান পারাগ।
“কলকাতায় কুয়েতের বিরুদ্ধে হারলে আমি পদত্যাগ করবো” নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন ইগর স্টিম্যাচ
এই মুহূর্তে জোরদার প্রস্তুতি চলছে ভারতীয় ফুটবল দলের কারণ আর কিছুদিনের মধ্যেই তারা বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামবে কুয়েতের বিরুদ্ধে। যদিও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে পরাজয়ের পর দল কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছে। তবে এখনো আশা ছাড়েনি তারা। সকল ফুটবলারই আশাবাদী যে কুয়েতকে তারা সহজেই হারাতে পারবে এবং এর সঙ্গে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার টিকিটও পাকা করে নেবে।
কিন্তু এমন আবহাওয়ায় একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে বসলেন দলের কোচ ইগর স্ট্যিম্যাচ। কি সেই সিদ্ধান্ত? ‘ব্লু টাইগার্স’ কোচ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে ৬ জুন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কুয়েতের বিরুদ্ধে হেরে গেলে, তিনি পদত্যাগ করবেন। যদিও কলকাতার মাঠে শেষ হাসি ভারত হাসবে, এই বিষয়ে তিনি আশাবাদী।
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রথমদিকে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাস চরম ছিল ইগর স্ট্যিম্যাচ সহ গোটা ভারতীয় ফুটবল দলের। বিশেষ করে যেভাবে গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল, তাতে স্ট্যিম্যাচ আশাবাদী ছিলেন যে দলকে তৃতীয় রাউন্ডে নিয়ে যেতে পারবেন তিনি। কিন্তু একটি পরাজয়, বদলে দেয় সমস্ত অংক। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথমে অ্যাওয়ে ম্যাচে ড্র এবং তারপর ঘরের মাঠে হার চাপে ফেলে দেয় ভারতকে। এরপরই শুরু হয় সমালোচনা।
তবে এরপর ইগর স্টিম্যাচের ভবিষ্যতের পরিকল্পনা কি, তা এবার প্রকাশ্যে এলো। ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন যে কলকাতায় কুয়েতের বিরুদ্ধে পরাজয়ের শিকার হলে তিনি ইস্তফা দেবেন পদ থেকে। তবে তিনি নিশ্চিত ভারত কুয়েতকে বধ করতে পারবে। তাঁর বক্তব্য কুয়েত ম্যাচের আগে দল যদি টানা তিন সপ্তাহ অনুশীলন করতে পারে, তাহলে জয় নিশ্চিত। এছাড়াও তিনি আরো জানিয়েছেন যে এর আগেও বহুবার দলকে এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে এবং তা সত্ত্বেও তারা ঘুরে দাঁড়াতে সফল হয়েছে। সুতরাং, এবারও তার ব্যতিক্রম হবেনা। এমনটাই তাঁর দাবি।
প্রসঙ্গত, কেন লাগাতার ব্যর্থতার মুখোমুখি হচ্ছে ভারতীয় ফুটবল দল, তা নিয়ে ইগর স্টিম্যাচের কাছে সরাসরি জবাব চাইলো কেন্দ্র সরকার। পাশাপাশি, ফেডারেশনের উপর বাড়লো চাপ। তাদেরকেও প্রশ্ন করা হয়েছে এই বিষয়ে। এবার দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত ইগর স্টিম্যাচ নিজের চাকরি বাঁচাতে পারেন কিনা। কলকাতার মাঠে কে হাসবে শেষ হাসি? ভারত না কুয়েত? জানা যাবে আর কিছুদিনের মধ্যেই।
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।