নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। রাজ্য থেকে দেশ, কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
ঈদের দিন দাবা খেলে আড্ডা সায়নী ঘোষের! কি বললেন তিনি?
লোকসভা নির্বাচনের ঘন্টা বাজতেই ব্যস্ততা ছেয়ে গেছে গোটা দেশে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলই নিজেদের মতো করে প্রচার শুরু করে দেয়। জনসভা থেকে শুরু করে পদযাত্রা, কোনকিছুই বাদ দিচ্ছেনা তারা। এছাড়াও একে অপরের দুর্নীতিকে হাতিয়ার করার পাশাপাশি প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিচ্ছে সকলে। সবমিলিয়ে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের আগে বুদ্ধিযুদ্ধের খেলায় লেগে রয়েছে সকলে।
কিন্তু এমন ব্যস্ততার আবহাওয়ায় এক আলাদা রূপে দেখা গেল, বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের যাদবপুর থেকে নির্বাচিত প্রার্থী, সায়নী ঘোষকে। ঈদের দিন আড্ডা দিতে দেখা গেল শাসকদলের এই দাপুটে নেত্রী, তথা বিশিষ্ট অভিনেত্রীকে। বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ১১ই এপ্রিল, ছিল খুশির ঈদ এবং সেদিন বিকেলে গরিয়াহাট মোড়ে দাবা খেলতে দেখা যায় সায়নী ঘোষকে।
কিছুদিন আগে ‘দাবাড়ু’ ছবির পোস্টার মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটির পরিচালনায় রয়েছেন পথিকৃৎ বসু। তারই প্রচারে দেখা যায় সায়নী ঘোষকে দাবা খেলতে। সেই মুহূর্তে তিনি মুখোমুখি হন আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এবং জানান বেশকিছু কথা। প্রথমেই দাপুটে নেত্রীকে প্রশ্ন করা হয় প্রচার সম্পর্কে। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “দেখুন দুটো কাজই একসাথে চলছে। নেত্রী হিসেবে প্রচারের ফাঁকেই অভিনেত্রী হিসেবে প্রচার করছি। তাছাড়া পথিকৃৎ আমার খুব ভালো বন্ধু এবং ওর সঙ্গে আগে কাজ করেছি। তাই ওর কথা ভেবেই আজ আমি একটু দাবা খেলতে এলাম। এছাড়া দেখতে গেলে বুদ্ধির খেলা কিন্তু লুকিয়ে রয়েছে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের মধ্যেও।”
এদিন একের পর এক চাল চলার পাশাপাশি ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে হাসাহাসি করতে ও আড্ডাও দিতে দেখা যায় সায়নী ঘোষকে। এরপরই তাঁর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়। আনন্দবাজার অনলাইন জিজ্ঞেস করে যে বোর্ডের কোথাও তিনি নিজের প্রতিপক্ষদের দেখতে পাচ্ছেন কিনা। এই প্রশ্ন করতেই একটি মজাদার উত্তর দেন সায়নী। তিনি বলে বসেন, “অনির্বাণ বোর্ডে কোথাও নেই। রইল কথা সৃজনের তাহলে আমি বলবো যে ও বাড়িতে বিশ্রাম করছে।”
উল্লেখ্য, বাংলায় ভোট হবে সাত দফায়। ইতিমধ্যেই, কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে উপস্থিত হয়েছে রাজ্যে। তৃণমূল হোক কি বিজেপি দুজনেই একে অপরের দুর্নীতি মানুষের সামনে তুলে ধরছে নিজেদের সভা থেকে। এবার দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত কে বাজিমাত করে। তৃণমূল না বিজেপি? জানা যাবে আর কিছুদিনের মধ্যে।
কেন এলএসডি ২তে জায়গা দেওয়া হল তিনজন নতুন মুখকে? জানালেন দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়
বরাবরই পরিচালক হিসেবে সকলের থেকে আলাদা দিবাকর বন্দোপাধ্যায়। দর্শকদের ‘অফ-বিট’ সিনেমা উপহার দেওয়ার জন্য জনপ্রিয় তিনি। দিয়েছেন একের পর এক হিট ছবি। পাশাপাশি, ছবির স্টোরিলাইন হয় টানটান উত্তেজনায় ভরা। সবমিলিয়ে, এই মুহূর্তে পরিচালক হিসেবে একটা আলাদা নাম করে ফেলেছেন দিবাকর বন্দোপাধ্যায়। আর কিছুদিন বাদেই সিনেমা হলগুলিতে মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর নতুন ছবি ‘এলএসডি ২’। তার আগে তিনি মুখোমুখি হন আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এবং তুলে ধরেন বেশকিছু কথা।
এই ছবিতে সুযোগ পেয়েছেন তিনজন নতুন মুখ। বনিতা রাজপুরোহিত, পরিতোষ তিওয়ারি এবং অভিনব শর্মা। প্রথম প্রশ্ন তাদেরকে নিয়েই হয়। দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয় ঠিক কি কারণে তিনি তিনজন নতুন মুখকে জায়গা দিয়েছেন এই সিনেমায়। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “দেখুন এর পেছনে কারণটা হলো যে আমি ওদের সস্তায় পেয়েছি। এমনিতেও আমি এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটাকে প্রথমদিন থেকেই সস্তায় বানাতে চেয়েছিলাম। কারণ সচরাচর যেই ধরনের বিষয় আমরা এই ছবিতে দেখে থাকি, প্রযোজক পাওয়া খুব চাপের সেটার জন্য।”
এর সঙ্গে নিজের পছন্দ-অপছন্দের কথাও বলেন দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিচালকের বক্তব্য, “দেখুন সত্যি কথা বলতে গেলে আমাদের স্টার সিস্টেমে যেভাবে কাজ হয়, সেটা আমার কোনদিনই খুব একটা পছন্দ ছিলোনা। তাছাড়া আরও একটা ব্যাপার হলো যে আমিও ওইভাবে কাজ করতে গেলে বোর হয়ে যাবো। তবে হ্যাঁ আমি অর্থ উপার্জন করতে খুবই ভালোবাসি আর সেই কারণেই একেবারে নিরুপায় না হলে আমি কোন বড় অভিনেতা বা অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করিনা।”
এরপর দিবাকার বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয় নতুন তিনজনকে নিয়ে তাঁর মতামত। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে যে যেই ধরনের চরিত্রে এরা তিনজনে কাজ করেছে তার জন্য প্রয়োজন ছিল কিছু নতুন মুখের। মানে যাদের কেউ চেনেনা, তাদেরই দরকার ছিল। যখন আমি ‘এলএসডি ১’ বানিয়েছিলাম, তখন রাজকুমার ও নুসরাতকে কেউ চিনতোনা। কিন্তু আজ দেখুন ওরা কোন জায়গায় পৌঁছে গেছে। এখন সকলেই ওদের চেনে। এবার যদি কেউ আমাকে প্রশ্ন করে এই তিনজনের ভবিষ্যৎ কি এবং তা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তাহলে আমি একটাই উত্তর দেবো যে আমি জানিনা। কারণ ওরাই নিজেদের ভবিষ্যৎ তৈরি করবে।”
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।