নিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক দিনের শেষে বঙ্গ-ভারতী নিউজের তরফ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর। রাজ্য থেকে দেশ, কি ঘটলো ‘আজ সারাদিন’? দেখে নিন একনজরে এবং জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
২৪ ঘন্টার মধ্যেই ফের রাজ্য পুলিশের ডিজি বদল! ঠিক কি কারণে?
লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে কমিশন সরিয়েছিল রাজীব কুমারকে এবং তাঁর পরিবর্তে আনা হয় বিবেক সহায়কে। এরপরই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে কটাক্ষ করে বলা হয়েছিল যে বিজেপি সরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে চাইছে। যদিও বিজেপির বক্তব্য যে কমিশন এমন রদবদল করে নির্বাচনী বিধি লাগু হওয়ার পর।
তবে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ফের বদল হলো ডিজি। বিবেক সহায়ের পরিবর্তে এবার সেই পদে এলেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে যে মে মাসেই অবসর নেওয়া কথা বিবেক সহায়ের আবার অন্যদিকে ভোট শেষ হবে ১লা জুনে এবং গণনা হবে ৪ঠা জুনে। টাইম মাঝপথে বদল ঘটানোর থেকে তড়িঘড়ি বদল ঘটিয়ে ফেলল কমিশন। বলে রাখা ভালো যে আজ বাংলায় আসছেন কমিশনের তিনজন আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক – সঞ্জয় কুমার, মদনমোহন মীণা এবং শালম কে দুর্গেশ যাদব।
লোকসভা নির্বাচন হতে বাকি মাত্র কদিন! তার আগেই আসন রফা নিয়ে সমস্যা দেখা গেলো সংযুক্ত মোর্চা জোটের মধ্যে
আর মাসখানেক বাদেই দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন, তথা লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সমস্ত দল ময়দানে নেমে পড়েছে প্রচার করতে। এছাড়া প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও বাকি রয়েছে বেশ কয়েকটি দল। সবমিলিয়ে, ভোটের আবহাওয়ায় গোটা দেশ থেকে উঠে আসছে ব্যস্ততার চিত্র। কিন্তু এরই মাঝে, আসন রফা নিয়ে জটিলতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বাংলার ‘সংযুক্ত মোর্চা’, অর্থাৎ সিপিএম, কংগ্রেস ও আইএসএফ।
সকলেই নিজেদের শক্তঘাঁটি বা ঐতিহ্যের আসন ছাড়তে নারাজ। যার জেরে রীতিমতো চাপে পড়েছে তিন দল। বলা যায় একপ্রকার অশান্তি লেগে গেছে আসন রফা নিয়েই। এখানেই শেষ নয়, আরো জানা গিয়েছে যে আলিমুদ্দিনে বসে শরিকদের একমুখ বকুনিও দিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহাম্মদ সেলিম। এবার দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত কি সিদ্ধান্তে আসে জোট।
সিএএতে স্থগিতাদেশ দিলোনা সুপ্রিম কোর্ট! জবাব চাওয়া হলো কেন্দ্রর থেকে
একদিকে যখন লোকসভা নির্বাচনের আগে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) নিয়ে উত্তাল গোটা ভারতবর্ষ, ঠিক তখনই সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে এই বিতর্কিত আইন নিয়ে উঠে এলো একটি বড় খবর। এই আইন কার্যকর করার কথা ঘোষণা হতেই, একাধিক সংগঠন শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় অসাংবিধানিক ও মুসলিমবিরোধী অভিযোগ তুলে। শীর্ষ আদালত শুনানি হওয়ার নির্দেশ দেয় ১৯শে মার্চে।
সেই মতোই মঙ্গলবার, অর্থাৎ ১৯শে মার্চ, শুরু হয় মামলার শুনানি। দুই পক্ষের কথা শুনে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়ের বেঞ্চ এই আইনের স্থগিতাদেশ দেয়নি। তবে এখানেই শেষ নয়, মামলাগুলির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে তিন সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ ৮ই এপ্রিলের মধ্যে কেন্দ্রকে নিজের অবস্থান প্রকাশ্যে আনতে হবে এবং সেই অনুযায়ী মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৯ই এপ্রিলে। এবার দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত কি জবাব আসে সেদিন কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে।
অমিত শাহের সঙ্গে রাজ ঠাকরের সাক্ষাৎ! এমএনএস কি যোগ দিতে চলেছে এনডিএতে?
লোকসভা নির্বাচনের ঘন্টা বাজিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি নেমে পড়েছে প্রচারে। আবার এখনো বেশকিছু দলের বাকি রয়েছে প্রার্থী বাছাইও। সবমিলিয়ে, রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে চারিদিকে। তবে চলতি বছরে দেশজুরর শুধু লোকসভা নির্বাচনই নয়, মহারাষ্ট্রে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচনও। বলা যায় একপ্রকার রণক্ষেত্রের চেহারা নিতে চলেছে মহা রাজ্য।
কিন্তু এই সবকিছুর মাঝে ঘটে গেল এমন একটি কান্ড যা শোরগোল ফেলে দেয় চারিদিকে। কি সেই কান্ড? সোমবার গভীর রাতে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) প্রধান রাজ ঠাকরে ও তাঁর পুত্র অমিত ঠাকরে উড়ে যান দিল্লি এবং মঙ্গলবার, অর্থাৎ ১৯শে মার্চ, দুপুরে তাঁরা দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে। এরপরই মনে করা হচ্ছে যে নির্বাচনের আগেই হয়তো এনডিএর সঙ্গে হয়তো হাত মেলাতে পারে তারা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কট্টর বিরোধী বলে পরিচিত ছিলেন রাজ ঠাকরে। তবে মাঝেমধ্যে তাঁর মুখে শোনা যেত প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসাও। কিন্তু শেষ কয়েক মাসে একেবারে পাল্টে যায় পুরো হাওয়া। এরপর হঠাৎ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সঙ্গে সাক্ষাৎ দেখে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন যে শীঘ্রই হয়তো এনডিএতে যোগ দিতে পারে এমএনএস। সুতরাং বলা যায় যে একপ্রকার চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মারাঠাভুমে।
‘আজ সারাদিন’ আজ এই পর্যন্তই। আগামীকাল আমরা ফের আপনাদের কাছে ফিরে আসবো দিনের সব নজরকাড়া খবর নিয়ে। ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।